জীবনের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণের পথে সব চাইতে বড় বাঁধা হলো আমাদের নিজেদের অলসতা। আমাদের অনেকের মধ্যেই অনেক প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু আমরা সেই প্রতিভাবে শুধুমাত্র অলসতার কারণে কাজে লাগাই না। আবার অনেকে কাজে লাগার পরও অলসতা করে কাজটি পুরোপুরি শেষ করতে চান না। আমাদের সব চাইতে বড় শত্রু হচ্ছে আমাদের অলসতা। আমরা অনেকই আরামপ্রিয় বলে সকল কাজে প্রথমে আরাম খুঁজে নিই তারপর কাজে যাই। কিন্তু এই কাজটি কি আসলেই করা উচিৎ?
মোটেই নয়। অনেকে বলতে পারেন ইচ্ছা করে তো আর অলসতা করি না। কাজে বিফলতার ভয় ও নানান জিনিসের কারণে কাজ করতে যেতে পারি না। তাহলে আজকে আপনাদের জন্য রইল সেইসকল অজুহাত দূর করা এবং অলসতা কাটানোর বেশ ভালো কিছু উপায়। আশা করি ভবিষ্যতে এই উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে অলসতামুক্ত থাকতে পারবেন।
মোটেই নয়। অনেকে বলতে পারেন ইচ্ছা করে তো আর অলসতা করি না। কাজে বিফলতার ভয় ও নানান জিনিসের কারণে কাজ করতে যেতে পারি না। তাহলে আজকে আপনাদের জন্য রইল সেইসকল অজুহাত দূর করা এবং অলসতা কাটানোর বেশ ভালো কিছু উপায়। আশা করি ভবিষ্যতে এই উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে অলসতামুক্ত থাকতে পারবেন।
একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করুন
আমাদের মধ্যে তখনই অলসতা ভর করে যখন আমরা একটি লক্ষ্য স্থির করে কাজ করতে না পারি। যদি আমাদের মনের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকে তখন আপনাআপনিই কাজে ঢিলে ভাব চলে আসে। মনে ভর করে অলসতা। তাই অলসতা দূর করতে সবার প্রথমে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী।
একবারে একটি কাজ
অনেকেই আছেন যারা মনে করেন সময় বাঁচাতে চাইলে একসাথে দুই তিনটি কাজ করে ফেলা ভালো। কিন্তু এটি অনেক বড় একটি ভুল কাজ। একসাথে কাজগুলো করার অর্থ হচ্ছে আপনার অলস সময় কাটানোর প্রয়োজন। এতে করে আপনি নিজের ক্ষতি করছেন এবং সেই সাথে কাজগুলোরও বারোটা বাজাচ্ছেন। একবাড়ে একটি কাজই করুন। এতে করে শরীর ও মন উভয়ই সায় দেবে।
বড় কাজকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন
কাজে অলসতা আসার আরেকটি প্রধান কারণ হচ্ছে বড় একটি কাজ হাতে থাকা। যখন অনেক বড় একটি কাজ আমাদের সামনে থাকে তখন সেই কাজতিতে হাত দেয়ার আগে আমরা অনেকেই মনে করি আর একটু পরে কাজ শুরু করি, কাজটি অনেক বড়, অনেক সময় লাগবে ইত্যাদি। আর এইসকল চিন্তা থেকেই পিছিয়ে যায় কাজ। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি একটি কাজ করতে পারেন। আপনার বড় মাপের কাজটিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করেও নিতে পারেন। এতে আপনার কাজ করতে বোরিং ও লাগবে না এবং মনেও হবে আন অনেক বেশি সময় লাগছে। অলসতাও ভর করবে না মনে।
মনে মনে ইতিবাচক ফলাফল আশা করুন
যখনই মনের মধ্যে কাজের সফলতা নিয়ে সংশয়ের তৈরি হয় তখনই আমাদের মনে সেই কাজ নিয়ে ভর করে অলসতা। মনে করে থাকি, কাজতিতে তো সফলতা আস্তেও পারে নাও আসতে পারে, তাহলে কাজটি এতো কষ্ট করে না করাই ভালো। তাই কোনো কাজ শুরুর আগে মন থেকে সকল নেতিবাচক চিন্তা দূর করে দিন। ইতিবাচক চিন্তা আনুন কাজের সফলতা নিয়ে। দেখবেন অলসতা সুর হয়ে যাবে।
নিজের কাজটি নিয়ে চিন্তা করুন
যে কাজটি করতে যাচ্ছেন তা সম্পর্কে আগে থেকে চিন্তা শুরু করুন। যেমন, আপনি কাজটি কিভাবে করতে যাচ্ছেন, কিভাবে করলে ভালো হবে, কিভাবে করলে সফল হবেন, সফল হলে কি হবে ইত্যাদি। এই ধরণের চিন্তা আপনার মনের ভেতর একধরণের ছবির সৃষ্টি করবে। এই ছবিগুলো আপনার মনের ভেতর কাজটি শুরু এবং শেষ করার একধরণের স্পৃহা যোগাবে। আর এই অদম্য স্পৃহা আপনার মন থেকে দূর ঙ্করে দেবে সকল অলসতা।
নিজেকে একটি সময় বেঁধে দিন
আপনি যদি প্রতিটি কাজের জন্য একটি সময় বেঁধে নেন এবং সেই সময়ের ভেতরে কাজটি শেষ করার ইচ্ছা রাখেন তবে আপনার ভেতরের সকল অলসতা এক নিমেষে দূর হয়ে যাবে। যখন আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে চাই তখন আমাদের মনের ভেতর নিজেকে নিয়ে এক ধরণের প্রতিযোগিতার সূচনা হয় যা আমাদের সকল অলসতা দূর করে।