ফুটবল বিশ্বে কলা-ঝড়। ভিয়ারিয়াল-বার্সেলোনা ম্যাচে দানি আলভেসের ওপর কলা ছুড়ে মারার পর থেকে পুরো ফুটবল বিশ্ব যেন অভিনব প্রতিবাদে নেমেছে। কলা হাতে নিয়ে একের পর এক ছবি পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে স্পেনও। এর আগে স্টেডিয়ামে আজীবনের জন্য সেই সমর্থককে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার স্পেনের পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে সেই ব্যক্তিটিকে।
কলা নিক্ষেপকে ফুটবলে বর্ণবাদী আচরণ হিসেবে দেখা হয়। আলভেস বিষয়টি নিয়ে মজা করে সঙ্গে সঙ্গে নিক্ষিপ্ত কলাটি খেয়েছেন বটে, কিন্তু দর্শকের এ ধরনের আচরণ ঘৃণিত অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সেই ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে মৌলিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে।
গত মঙ্গলবার ২৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তিটিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির নাম বা ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
কলা নিক্ষেপকে ফুটবলে বর্ণবাদী আচরণ হিসেবে দেখা হয়। আলভেস বিষয়টি নিয়ে মজা করে সঙ্গে সঙ্গে নিক্ষিপ্ত কলাটি খেয়েছেন বটে, কিন্তু দর্শকের এ ধরনের আচরণ ঘৃণিত অপরাধ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। সেই ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে মৌলিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই আদালতে হাজির হতে হবে তাঁকে।
গত মঙ্গলবার ২৬ বছর বয়সী সেই ব্যক্তিটিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযুক্ত সেই ব্যক্তির নাম বা ছবি প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগেও স্পেনের কিছু কিছু দর্শকের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার আলভেস অবশ্য মনে করেন, সেই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করাই উচিত, ‘যদি সম্ভব হতো আমি সেই সমর্থকের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দিতাম, যেন তিনি লজ্জা পান। বিদেশি ফুটবলারদের বিরুদ্ধে এক ধরনের বর্ণবাদ চলে আসছে। এই দেশগুলো গর্ব করে বলে তারা উন্নত বিশ্ব। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে ওরা আসলে এখনো পশ্চাত্পদ দেশ হয়েই আছে।’
আলভেস এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও মনে করেন না। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার বলেছেন, ‘আশা করি সবাই বিষয়টি নিয়ে যেভাবে সরব হয়েছেন, তাতে ফুটবলে এ ধরনের আচরণ চিরতরে নিষিদ্ধ করা হবে। আশা করি বর্ণবাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, সেটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যাবে না। বরং একটি স্থায়ী সমাধান আসবে। এবং সেটি শুধু ফুটবলে নয়, ফুটবলের বাইরে ঘটা বর্ণবাদী আচরণেও একই ফল বয়ে আনবে।’
সুত্র: প্রথম আলো