নদীতে নাব্য সংকটের কারণে গাইবান্ধার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী কুড়িগ্রাম, জামালপুর, বগুড়া ও এ জেলার ৫১টি খেয়াঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ওইসব নৌরুটে নৌকায় চলাচলকারী চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী এলাকার ২৫ লক্ষাধিক মানুষ এখন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা তীরবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথই হচ্ছে নৌরুট। নদীপথে ওইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অফিস-আদালতের কাজে এখন যাতায়াত করেন। এছাড়া এক সময় তিস্তামুখঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ এবং বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাটে রেলওয়ে ফেরি স্টিমার যাতায়াত করত। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বালু ও পলি জমে জমে নদীগুলো ক্রমেই ভরাট হতে শুরু করে। ফলে নদীর গভীরতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বর্তমানে শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার বুকে অসংখ্য চরাভূমি জেগে ওঠায় নদী ২টি অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলে। জেগে ওঠে এ অঞ্চলে ২ হাজারেরও বেশি বালুচর। ফলে স্বাভাবিক সময় নৌরুটে যত সহজ যোগাযোগের পথ হয় শুকনো মৌসুমে নাব্যতা হারানোর ফলে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় নৌকাগুলোকে। এর ফলে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি নৌ চলাচলে ব্যয়ও বেড়ে যায়। কিন্তু একপর্যায়ে মার্চের মাঝামাঝি এবং মে’র প্রথম দিকে এসে নদী ২টির শাখা-প্রশাখাতেও নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে নৌপথ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খেয়াঘাটগুলো বন্ধ হয়ে ইজারাদাররাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের সূত্র জানা যায়, বর্তমানে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ৫টি, রৌমারীতে ৪টি ও রাজিবপুরে ৩টি খেয়াঘাট, গাইবান্ধা সদরে ৮টি, ফুলছড়ির ১২টি ও সাঘাটার ৬টি, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ২টি, সারিয়াকান্দির ৩টি এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ৩টি ও দেওয়ানগঞ্জের ৫টি নৌ ও খেয়াঘাট একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এসব জেলা ও উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিতভাবে কিছু নৌকা চলাচল করলেও মাঝপথে গিয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। তখন যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
সাঘাটা নৌঘাটের ইজারাদার ভুট্টু মিয়া বলেন, এখন ঘাট লিজ নিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। বছরের প্রায় ৬ মাসই নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। ওই উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ী আবদুল করিম প্রামানিক জানান, তার ২টি নৌকা ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বড় নৌকা চলার মতো পানি না থাকায় সে ২টি এখন শুকনো বালুচরে পড়ে রয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, নৌপথে পানি না থাকায় লোকজনকে হেঁটেই মাইলের পর মাইল চলাচল করতে হচ্ছে প্রয়োজনের তাগিদে। তাদের ভোগান্তি দূর করার কোনো বিকল্প পথ নেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল মিয়া জানান, নভেম্বর থেকেই নদীতে পানি কমতে শুরু করে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে নদীতে মারাÍক পানি সংকট দেখা দেয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে নদীতে আবার পানি বাড়তে শুরু করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা তীরবর্তী কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুরের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান পথই হচ্ছে নৌরুট। নদীপথে ওইসব এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত যোগাযোগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অফিস-আদালতের কাজে এখন যাতায়াত করেন। এছাড়া এক সময় তিস্তামুখঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ এবং বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাটে রেলওয়ে ফেরি স্টিমার যাতায়াত করত। কিন্তু উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বালু ও পলি জমে জমে নদীগুলো ক্রমেই ভরাট হতে শুরু করে। ফলে নদীর গভীরতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বর্তমানে শুকনো মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার বুকে অসংখ্য চরাভূমি জেগে ওঠায় নদী ২টি অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলে। জেগে ওঠে এ অঞ্চলে ২ হাজারেরও বেশি বালুচর। ফলে স্বাভাবিক সময় নৌরুটে যত সহজ যোগাযোগের পথ হয় শুকনো মৌসুমে নাব্যতা হারানোর ফলে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় নৌকাগুলোকে। এর ফলে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি নৌ চলাচলে ব্যয়ও বেড়ে যায়। কিন্তু একপর্যায়ে মার্চের মাঝামাঝি এবং মে’র প্রথম দিকে এসে নদী ২টির শাখা-প্রশাখাতেও নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে নৌপথ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খেয়াঘাটগুলো বন্ধ হয়ে ইজারাদাররাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ এবং সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের সূত্র জানা যায়, বর্তমানে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ৫টি, রৌমারীতে ৪টি ও রাজিবপুরে ৩টি খেয়াঘাট, গাইবান্ধা সদরে ৮টি, ফুলছড়ির ১২টি ও সাঘাটার ৬টি, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ২টি, সারিয়াকান্দির ৩টি এবং জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ৩টি ও দেওয়ানগঞ্জের ৫টি নৌ ও খেয়াঘাট একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে এসব জেলা ও উপজেলার অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিতভাবে কিছু নৌকা চলাচল করলেও মাঝপথে গিয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। তখন যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
সাঘাটা নৌঘাটের ইজারাদার ভুট্টু মিয়া বলেন, এখন ঘাট লিজ নিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। বছরের প্রায় ৬ মাসই নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিতে হয়। ওই উপজেলার দীঘলকান্দি গ্রামের নৌকা ব্যবসায়ী আবদুল করিম প্রামানিক জানান, তার ২টি নৌকা ব্যবসায়ীদের ভাড়া দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু বড় নৌকা চলার মতো পানি না থাকায় সে ২টি এখন শুকনো বালুচরে পড়ে রয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, নৌপথে পানি না থাকায় লোকজনকে হেঁটেই মাইলের পর মাইল চলাচল করতে হচ্ছে প্রয়োজনের তাগিদে। তাদের ভোগান্তি দূর করার কোনো বিকল্প পথ নেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল মিয়া জানান, নভেম্বর থেকেই নদীতে পানি কমতে শুরু করে। মার্চ ও এপ্রিল মাসে নদীতে মারাÍক পানি সংকট দেখা দেয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে নদীতে আবার পানি বাড়তে শুরু করে।