সিগারেট এ যুগের ফ্যাশন বলা যায়। সিগারেট খেলে স্মার্ট হয় আর না খেলে আন-স্মার্ট। বর্তমানে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সবাই সিগারেট খাচ্ছে। আমরা যা ভেবেই সিগারেট খাই না কেন, আমরা হয়ত জানি সিগারেট মানুষের দেহের ক্ষতি করে কিন্তু জানি না তা ঠিক কিভাবে ক্ষতিটা করে। বেশিরভাগ মানুষ জেনেশুনেই এই বিষ পান করে থাকেন। কিন্তু কেন জেনে শুনে এই বিষপান? আসুন, জেনে নেই কিছু কারণ।
১. মজা করে খায় :
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ছাত্র থাকাবস্থায় বন্ধুদের সাথে মজা করে সিগারেট খেতে গিয়ে তা অভ্যস্ততায় পরিণত হয়। এই ধরনের মজা থেকেই সিগারেট খাওয়া শুরু করেন অনেকে। পরে আর ছাড়তে পারেন না।
২. মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে :
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য মানুষ সিগারেট খায় কিন্তু পরে আর ছাড়তে চায় না । বলা যায় ছাড়তে পারে না।
৩. তীব্র শোক থেকে :
অনেকের ধারণা সিগারেট এমন একটি জিনিস যা মানুষকে কোনো ধরনের আঘাত বা শোক থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
৪. সময় কাটানোর জন্য :
অনেক সময় দেখা যায় শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য বা একাকীত্বের সঙ্গী হিসেবে সিগারেট একটা বিরাট ভূমিকা পালন করে স্মোকারদের কাছে। কারো কাছে হয়ত কিছু না করে আধ-ঘন্টা অপেক্ষা করা বেশ কষ্টের মনে হতে পারে, কিন্তু সিগারেট ধরিয়ে নিলেই যেন মনে হয় সময় একদম দ্রুত কেটে যাচ্ছে। অনেকে সিগারেট সাথে থাকলে নিজেকে একা মনে করেন না, সিগারেটকে সাথীর মত মনে করেন।
৫. বড় হয়ে গিয়েছি :
টিনেজারদের মধ্যে একটা বিষয় দেখা যায় বিশেষ করে এখনকার টিন এজারদের মাঝে, তারা একটু বড় হলেই ভাবে আমি তো বড় হয়ে গিয়েছি। আমার বন্ধুনা সিগারেট খাচ্ছে, আমি না খেলে কেমন দেখায়। তাছাড়া ওরা হয়ত আমাকে অসামাজিক ভাবতে পারে। এসব চিন্তা ভাবনা থেকেই অনেক কমবয়সীরা সিগারেট খেতে শুরু করে।
৬. মেয়ে বন্ধুকে ইমপ্রেস করতে :
এমন অনেক মেয়ে আছেন যারা ছেলে বন্ধুর সিগারেট খাওয়াকে বেশ উপভোগ করেন। আবার তারা ভাবেন যে কোনো ছেলে সিগারেট না খেলে সে একটা আন-স্মার্ট। অর্থাৎ অনেক মেয়ে ছেলে বন্ধুর সিগারেট খাওয়া পছন্দ করেন। এ কারণেও অনেকেই সিগারেট খায়।