দেশে আমদানি করা তৈজসপত্রে সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে দৈনিক বণিক বার্তা। শুধু পাইরেক্সই কেবল নয়, মাত্রাতিরিক্ত সিসার উপস্থিতি ধরা পড়েছে আমদানি করা সিরামিকের তৈজসপত্রেও।
সম্প্রতি পাইরেক্সের গোলাকার তিনটি ডিনার প্লেট পরীক্ষার জন্য বিসিএসআইআরে পাঠায় বাংলাদেশ সিরামিক ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিডব্লিউএমএ) বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে। পরীক্ষায় ২৫ সেন্টিমিটার ব্যাসের ডিনার প্লেটে সিসার উপস্থিতি ধরা পড়ে প্রতি বর্গডেসিমিটারে দশমিক ৯ মিলিগ্রাম । এছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চীন থেকে আমদানি করা সিরামিকের প্লেট আটক করে পরীক্ষার জন্য দুইবার বিসিএসআইআরে পাঠায়। ২৫ ও ২৭ সেন্টিমিটার ব্যাসের সিরামিক প্লেটে সিসা পাওয়া যায় প্রতি বর্গডেসিমিটারে দশমিক ১২ থেকে দশমিক ১৬ মিলিগ্রাম। যদিও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, পাইরেক্স ও সিরামিকের তৈজসপত্রে সিসার সহনীয় মাত্রা প্রতি বর্গডেসিমিটারে সর্বোচ্চ দশমিক ৮ মিলিগ্রাম।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সার্টিফিকেশন মার্কস) কমল প্রসাদ দাসের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পাইরেক্স বিএসটিআইয়ের বাধ্যতামূলক ১৫৫টি পণ্যের আওতাভুক্ত নয়। তাই এর মান নিয়ে বিএসটিআইয়ের করার কিছু নেই। সিরামিক তালিকাভুক্ত হওয়ায় আমদানি করার পর মান পরীক্ষার জন্য তা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। তবে পণ্যগুলোর ব্যবহার দিন দিন বাড়তে থাকায় এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর মিটফোর্ড, বায়তুল মোকাররম, নিউমার্কেট ও গুলিস্তান এলাকায় পাইরেক্স এবং সিরামিকের তৈজসপত্রের শতাধিক আমদানিকারক রয়েছেন। চট্টগ্রামের কিছু ব্যবসায়ীও এগুলো আমদানি করছেন। এরই মধ্যে পণ্যটির আমদানি ব্যয় ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানীসহ দেশের ছোট-বড় প্রায় সব দোকানেই এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সিরামিকের তুলনায় এসব তৈজসপত্রের দামও ৩০-৫০ শতাংশ কম। এ কারণে ক্রেতারাও সিরামিকের বিকল্প হিসেবে কিনছেন এসব তৈজসপত্র।