আমাদের সমাজের বেশীরভাগ বিবাহ এবং প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন আসার মূল কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে একে ওপরের প্রতি অযথা সন্দেহ করার প্রবণতা। অনেকে বলেন ভালোবাসায় সন্দেহ থাকা ভালো এতে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। এই কথাটি একেবারেই ভিত্তিহীন। কারণ মূল কথা হলো যেখানে সন্দেহ আসে সেখানে ভালোবাসা থাকতে পারে না। একজন সন্দেহ প্রবন ব্যক্তি কোনোভাবেই মন থেকে ভালোবাসার ক্ষমতা রাখেন না।
সন্দেহ প্রবণতা একটি সুখী সম্পর্কে ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারে খুব সহজে। তাই এই সন্দেহ নামক বিষ থেকে যতো দূরে থাকা যায় ততোই ভালো। যদি আপনার মনে নিজের সঙ্গীকে নিয়ে কোনো প্রকাশ অমূলক সন্দেহ থেকে থাকে তবে তা আজই দূর করুন।
বিশ্বাস করুন
ভালোবাসার মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। আপনি যদি আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাসই করতে না পারলেন তবে আপনি তাকে আসলেই মন থেকে ভালোবাসেন নি। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসায় বিশ্বাসের কোনো কমতি থাকে না। বলতে পারেন বিশ্বাস তো ভঙ্গ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে একটু বুদ্ধিমান। সঙ্গীর প্রতি কোন সময় পর্যন্ত বিশ্বাস রাখা সম্ভব তা সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ নির্ণয় করতে পারেন। কথা হচ্ছে অমূলক সন্দেহ সম্পর্কের মাঝে নিয়ে এসে সম্পর্কে টানাপোড়ন আনবেন না। সঙ্গীকে বিশ্বাস করুন।
নিজেকে ব্যস্ত রাখুন
কোথায় বলে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। কথাটি প্রবাদ হলেও সত্যি। কারণ অলস ভাবে বসে থাকলে মনের মধ্যে অমূলক হাজার চিন্তা এসে হাজির হয়। আপনি অলস বসে আপনার সঙ্গীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন, কিন্তু আপনার সঙ্গী ব্যস্ত বলে পারছেন না। যিনি ব্যস্ত তার মনে কিন্তু আপনাকে নিয়ে কোনো সন্দেহ আসবে না। সন্দেহ আসবে যিনি অলস ভাবে বসে আছেন তার মনে। অলস ভাবে বসে থেকে ভাবতে শুরু করবেন, ‘নিশ্চয়ই কোনো কারণে যোগাযোগ করছেন না’। তাই এই সকল অমূলক চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে নিজেকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন।
সঙ্গীর সাথে সরাসরি কথা বলুন
আপনার কাছে যদি আসলেই কোনো খটকা লেগে থাকে আপনার সঙ্গী সম্পর্কে তবে তা সরাসরি তাকে জিজ্ঞেস করুন। এতে করে অন্তত ভুল বোঝাবোঝির হাত থেকে সম্পর্ককে বাঁচাতে পারবেন। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে সম্পর্কে স্বচ্ছতা আসবে এবং সেই সাথে দূর হবে সন্দেহ। তবে সরাসরি জিজ্ঞেস করার ক্ষেত্রেও আপনাকে একটু সতর্ক হতে হবে। এমনভাবে কোনো কথা জিজ্ঞেস করবেন না যাতে সঙ্গী কষ্ট পান এবং তার আত্মসম্মানবোধে লাগে। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলুন।
আসল সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান করুন
আপনার মন থেকে আসলেই যদি সন্দেহের কাঁটা না সরে তবে আসল সমস্যাটি কোথায় তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। এতে করে দুটি কাজ হবে, প্রথমত, আপনি অমূলক চিন্তা করে থাকলে আপনার চিন্তা ও সন্দেহ দুটোই দূর হবে। এবং দ্বিতীয়ত, যদি আপনার সন্দেহ অমূলক না হয় তবে আপনি সত্যটা জেনে যাবেন। তখন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে আপনারই।