এই গরমে একটু পর পরই তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যায়। আবার তৃষ্ণা সব সময় না পেলেও ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে যাওয়া পানির কারণে শরীরে মারাত্মক পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক না থাকলে পানিশুন্যতা, হিটস্ট্রোকই নয় বরং দেখা দিতে পারে কিডনির সমস্যাও। কিন্তু এই গরমে আশপাশের, রাস্তার বা দোকানের শরবত, পানীয়, কোল্ড ড্রিঙ্কস স্বাস্থ্যের জন্যে মোটেই ভালো নয়। কিন্তু শরীরের প্রতিদিনের ৫-৭ লিটার পানির চাহিদা পূরণে পানীয় তো পান করতেই হবে।
তাই জেনে নিন স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ৭ টি পানীয়ের কথা। যা কেবল আপনার তৃষ্ণাই মেটাবে না। বরং শরীরকে যোগাবে শক্তি।

১। লেবুর শরবতঃ

এক গ্লাস পানিতে কয়েক টুকরো লেবু, কয়েক চামচ মধু আর খানিকটা লবন মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় দিনভর আপনাকে সতেজ রাখবে।

২। ডাবের পানিঃ

ডাবের পানিতে কেবল আপনাকে গরমে তৃপ্তিই দেয় না বরং এতে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস আপনার ত্বক ও শরীরে যোগায় পুষ্টি। আপনার হাড়ের জন্যেও এটি ভালো।

৩। স্যালাইনঃ

টেস্টি বা ফ্রুট স্যালাইন নয়, পান করুন ওরস্যালাইন। এটি আপনার দেহে লবন ও পানির ভারসাম্য রক্ষা করবে। এটই আপনার ক্লান্তি দূর করে দেহের পানিশুন্যতাও রোধ করবে।এছাড়াও খেতে পারেন গ্লুকোজ মেশানো পানি।

৪। দইয়ের শরবতঃ

দই এই গরমে আপনাকে দেবে প্রশান্তি। এতে ল্যাকটিক এসিড থাকায় আপনাকে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করবে। এক গ্লাস পানিতে টকদই বা দই কয়েক চামচ মিশিয়ে পান করুন। এটি রক্তের টক্সিন কমিয়ে আপনাকে রাখবে দিনভর সতেজ।

৫। শসা ও টমেটোর জুসঃ

শসা ও টমেটো একসাথে জুস করে খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের পানির চাহিসা পূরণ হবার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন আপনি। সেই সাথে গরমের কারণে নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা থেকেও সহজেই রেহাই পাবেন।

৬। বিভিন্ন ফলের শরবতঃ

বিভিন্ন ফলের শরবত করে খেতে পারেন। যেমন বাঙ্গি, বেল, তরমুজ, কাঁচা আম ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখবেন রাস্তার পাশে বা দোকানের প্রক্রিয়াজাত জুস নয় বরং একটু কষ্ট করে ৫ মিনিট ব্যয় করে বানিয়ে ফেলুন ঘরেই। তাজা ফলের শরবত এই গরমেও দিনভর আপনাকে রাখবেন ক্লান্তিহীন।

৭। মিল্কশেকঃ

এই গরমে স্বস্তি ও শক্তি দুটোই পেতে খেতে পারেন ফলের রস মেশানো ঠান্ডা মিল্কশেক। এতে দেহ পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি আর আপনি থাকবেন সুস্থ ও সতেজ।
বৈশাখের তাপদাহ চলবে আরো বেশ কিছুদিন আর তাই একটু সচেতন থেকে আপনি থাকতে পারেন এই বৈশাখেও বসন্তের মতই প্রানবন্ত। সুস্থ থাকুন।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.