পেটের মেদ বাড়লে আমরা সবাই বেশ চিন্তায় পরে যাই। ভুঁড়ি থাকা সুখী মানুষের লক্ষণ- এই প্রবাদটির বর্তমানে তেমন কোনো মূল্যই নেই। একটু পেটের মেদ বাড়লে তা কমানো এবং ঢাকার জন্য আমরা সবাই উঠে পড়ে লাগি। পেটের মেদ নানা রোগের জন্ম দেয়। এছাড়াও একটু স্টাইলিশ মানুষের সাথে পেটের মেদটা ঠিক মানায় না।
সে যাই হোক, কিন্তু আমরা কি জানি আমাদেরই ভুলে প্রতিনিয়ত পেটে জমছে মেদ? হয়তো আপনি অনেক চেষ্টা করছেন পেটের মেদ কমানোর জন্য, কিন্তু কমছে না। তার কারণ আপনারই কিছু বাজে অভ্যাস। বিশ্বাস হচ্ছে না? চলুন তবে দেখে নিন আপনার কোন বাজে অভ্যাসগুলোর কারণে প্রতিদিন বাড়ছে পেটের মেদ।

সফট ড্রিংকস পান করা

গরম থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন সফট ড্রিংকস আমাদের অনেক সাহায্য করে। গরমের কারণে অনেকেই ইদানিং সফট ড্রিংকস পান করা বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এই সফট ড্রিংকস পান করার এই বাজে অভ্যাসটি আপনার পেটে জমাচ্ছে মেদ খুব দ্রুত। এই সব সফট ড্রিংকসে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং প্রচুর চিনি যা পেটের মেদ জমতে সহায়তাকারী। তাই সফট ড্রিংকস পানের অভ্যাস বদলে ফলের রস, ফল এবং লেবুর সরবত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

একবারে অনেক কিছু খাওয়া

অনেকেই আছেন কাজের ব্যস্ততায় খাওয়ার সময় পান না। দেখা যায় সকালে না খেয়েই বের হয়ে যান। এবং একবারে দুপুরে খাবার খান। কিংবা বিকেলে কিছু না খেয়ে ক্ষুধা পেটে রাতে একবারে খান। এই কাজটি পেটে মেদ জমতে সাহায্য করে দ্রুত। আপি যখন কোনো বেলা খাবার বাদ দেন তখন আপনার পেটে ক্ষুধা থেকে যায় যা পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি খেতে বাধ্য করে আপনাকে। আপনি একবারে বেশি খেলে খাবার হজম হতে অনেক সময় নেয় এবং ততক্ষণে পেটে মেদ জমা শুরু করে।

রাতে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া

অনেকেই রাতে বেশ দেরি করে খাবার খেয়ে থাকেন। এবং খাওয়ার পরপরই বিছানায় শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আপানার এই বাজে অভ্যাসটিও পেটে মেদ জমার জন্য দায়ী। ভরা পেটে শুয়ে ঘুমিয়ে গেলে আপনার হজমের সমস্যা হয়। এতে করে পেটে মেদ জমে। তাই রাতে দেরি করে খাবেন না। আর যদি নিতান্তই দেরি করে খেতে হয় তবে খাওয়ার পরে অন্তত ২/৩ ঘণ্টা পরে ঘুমাতে যান।

রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়া

অনেকেই আছেন রেগে গেলে কিংবা বিষণ্ণতায় পড়লে অথবা কোন ব্যাপারে দুঃখ পেলে খাবার খান। কিছুটা খাবার খাওয়া অবশ্যই খারাপ কিছু নয়, যদি তা আপনার মুড ঠিক করতে সাহায্য করে। কিন্তু সমস্যা হলো এই ধরণের অনুভূতির সময় আমরা কতোটা খাচ্ছি তার হিসাব আমরা রাখতে পারি না এবং রাখার মতো মানসিকতায় থাকি না। তখন অনেক বেশি খাওয়া হয়ে যায় এবং সবই আজে বাজে খাবার যা বাড়ায় পেটের মেদ। তাই রাগ, বিষণ্ণতা এবং দুঃখ পেলে খাওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করাই ভালো।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.