সাময়িকী.কম
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পূণ্যভূমি ভুটান। হিমালয়ের কল্যাণে উঁচু পর্বতমালা, সবুজ বন আর স্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার দেশ ভুটান যেন প্রকৃতির মমতায় সাজানো। তিব্বতের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত ভুটানকে বলা হয় “ল্যান্ড অব দ্য পিসফুল থান্ডার ড্রাগনস”। ভূটানের মোহময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনপিপাসুরা কখনোই উপেক্ষা করতে পারে না। ভুটান বেড়াতে যাওয়ার আগে জেনে নিন ভুটানের দৃষ্টি নন্দন ৭ টি স্থান সম্পর্কে:
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEgEY6uvJbWZg1AbjgJQ41Qbhg1gYOSwdo4uG_dHY2Qum6KjojK_BsIuI_gPgosaiRDxvXNjAUvCyZ5ukyEzEZXS1YrBSVtxcmqK9DSnWuw8yR0w1RHvmAbbKTqXqW2wPZDcz8wg0bfaDuFKxmrxFJ7tNfnELRFi2OvLUutb0CrbmNP8wc8NRekA9m_XHjAX14SpQ9s=)
১। তাকশাং বৌদ্ধবিহার:
পারো শহরের উত্তর দিকে একটি খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত তাকশাং বৌদ্ধবিহারবা লোকাল ভাষায় 'টাইগারস নেস্ট'। পুরো বিহারটিই স্থাপত্যশৈলির এক অপরূপ নিদর্শন। বলা হয় তাকশাং বৌদ্ধবিহার না গেলে ভূটান ভ্রমণই সার্থক হবে না আপনার।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEg-Ah1BeNKxknSyQCss8qC3QrBMLLoe5iTLZ5TedkkU0eyj8CL2SrTsdFvrfVElB-yM3pifUPa8qq5V-bWn2cWhXBr-Ystbp2fCcUt3y-jzHCBwNxDI7NgtrmoxGxvO3SU0XFuD5rml_Wf45OjFt0ro1P1jGmITKimx3kyLfeb2lDBAFeMhRhXDWWPUXyk9ZcSLgm0=)
২। ড্রুকগিয়াল জং:
জং হল এমন এক ধরনের স্থাপনা যা একাধারে প্রশাসনিক কেন্দ্র, দূর্গ, উপাসনালয়। প্রাচীনকালে এগুলো মূলত দূর্গ ছিল। বর্তমানে জংগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ড্রুকগিয়াল জং প্রাচীন একটা জং। ১৬৪৬ সালে সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল তিব্বতী আগ্রাসন থেকে ভূটানকে রক্ষা করতে এটি নির্মাণ করেন। ১৯৫১ সালে আগুনে পুড়ে গেলেও জংটি এখনো দৃষ্টি নন্দন হয়ে পুরনো ঐতিহ্যের চিহ্ন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEg0mv2T9m-f6FSgExkCvsJh_FkJbciEKhj4t58FYKzABhYNiTO-HzZrhdneS_Pw3V_0NB_OuW_ABwh2Utm_x9v3Z_hkVswiMho-me2nx6VCaDvsjUOIvZY_RXDe7WD5xAy4274cKxAbRYTcoEg_j7FeEGdHs9zDcOKBSffTXZC1c4WTnTCzeujYbzzWmOP-yWS8alA=)
৩। রিনপুং জং:
রিনপুং জং পারো জেলার সবচেয়ে বড় জং। ১৬৪৬ সালে পশ্চিম অঞ্চলের প্রশাসনিক ও সন্নাসী কেন্দ্র হিসেবে এই জংটি নির্মান করেন সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল। ১৯৯৩ সালে Little Buddha সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য এই জং-এ ধারণ করা হয়।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEhnJQfsBbFeK6WIbjspOlz_taLuV0nr_xK970BYt-Eq6SyMNRDho_FsODH4A1INVUrFXj4CoI1x8HvQGHfNE3Wiofo4-_kNNRHdNFkCZYAqUN5gAP-eb9KQ-CoKfkO2EMobt2a-7N6MIugaXZb3zhiDas614LERgZlRoXRmXtwGtOYFZ7pldfwXrgVFgLj2zUQt-es=)
৪। টা জং :
এর নির্মানকাল ১৬৫১ সাল। এর অবস্থান রিনপুং জং এর পিছনে পাহাড়ের পাশে। দুর্গ আকৃতির এই ভবনটি একসময় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ১৯৬৭ সাল হতে এই জংটি একমাত্র জাতীয় জাদুঘর হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এ জাদুঘরটিতে রয়েছে নানা চিত্তাকর্ষক আর্ট এবং ধর্মীয় ভাবধারার পেইন্টিং এর সংগ্রহ।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEj3Nn4ebsS7S_g6tALx4J6sYF6BLFTUmRmkAEJGLehvqC0-ZoJmjNjbtgT92C1_pEET243setpeu6wxRzt_z3cWTTZ-D_CjV2WSpCZ1bSqO69NdQcAD4TB5adj3hrYu6l4g9HnQFRADSfXw8lRMNY0O6VtXhDpQwC_Rf6W2Lsf9fzyt48tmDJUYS6rp9BHTKAxfQ78=)
৫। পুনাখা জং:
পুনাখা জং-কে বলা আনন্দপ্রম প্রাসাদ। এটি আসলে পুনাখার প্রশাসনিক ভবন। ৬০০ ফুট সুদীর্ঘ এই জংটি তৈরী হয় সেই ১৬৩৭-৩৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯০৭ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভুটানের প্রথম রাজা উজেন ওয়াংচুক এই পুনাখা জং থেকেই তার রাজত্ব পরিচালনা শুরু করেন। বর্তমানে ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ এই পুনাখা জং-টি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শীতকালীন বাসস্থান। ভুটানে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা দানের সবচেয়ে বড় আশ্রম। এর মূল ভবনটি কাঠের তৈরি। ভবনের দেয়াল জুড়ে বিশ্বাস আর ধর্মীয় অনুভুতির চিত্রকর্ম।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEjhay-ebFRBd7SQAYRFwoWXeCV_RyzHVVMnfAVfgwtbNUa0fxagw6wwE-sdJ2yM23r8daO0qW6wjx81yO_uZ_QjE0QBmqXdAPR7tDPQ_nC0Bw3CAtdbuAZqW8ZpTFLLvJuNHXNr3xjOIuu78jqcDaZbZ_GYqtONnxMM-UfudrRbSDY5qHUJRZOkqutlLWM8xNp6kDc=)
৬। সিমতোখা জং:
থিম্পু থেকে ৩ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত সিমতোখা জং ১৬২৯ সালে নির্মাণ করেন সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল। এটি ভুটানের সবচেয়ে প্রাচীন জং। বর্তমানে এটি জোংখা ভাষার মহাবিদ্যালয়।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/proxy/AVvXsEhQvHzjJLm9tDyHqdYO0G5czrxbqy94eXrPZsp_NzsPyV6_WQTgAobm6Ihp4Ytvq2inM_JC6AIaQSXyJ0cThYEzu21YvC8hVg7UJ-p6TGxj1goV1F4Keu59fSmGhuiJreBfrepqT-mTbH37HPdDjwWvZkKo7k2wk_AbBAgiOe_bxraIZ0u7VYvkKLafYswEXqw8Tf8=)
৭। দোচুলা পাস:
ভূটানের সবচেয়ে পরিচিত পাস দোচুলা পাস। রাজধানী শহর থিম্পু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩১৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পাসটি শাদা মেঘে আচ্ছন্ন থাকে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এখান থেকে হিমালয়ের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক নৈসর্গিক পূণ্যভূমি ভুটান। হিমালয়ের কল্যাণে উঁচু পর্বতমালা, সবুজ বন আর স্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার দেশ ভুটান যেন প্রকৃতির মমতায় সাজানো। তিব্বতের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত ভুটানকে বলা হয় “ল্যান্ড অব দ্য পিসফুল থান্ডার ড্রাগনস”। ভূটানের মোহময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনপিপাসুরা কখনোই উপেক্ষা করতে পারে না। ভুটান বেড়াতে যাওয়ার আগে জেনে নিন ভুটানের দৃষ্টি নন্দন ৭ টি স্থান সম্পর্কে:
১। তাকশাং বৌদ্ধবিহার:
পারো শহরের উত্তর দিকে একটি খাড়া পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত তাকশাং বৌদ্ধবিহারবা লোকাল ভাষায় 'টাইগারস নেস্ট'। পুরো বিহারটিই স্থাপত্যশৈলির এক অপরূপ নিদর্শন। বলা হয় তাকশাং বৌদ্ধবিহার না গেলে ভূটান ভ্রমণই সার্থক হবে না আপনার।
২। ড্রুকগিয়াল জং:
জং হল এমন এক ধরনের স্থাপনা যা একাধারে প্রশাসনিক কেন্দ্র, দূর্গ, উপাসনালয়। প্রাচীনকালে এগুলো মূলত দূর্গ ছিল। বর্তমানে জংগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ড্রুকগিয়াল জং প্রাচীন একটা জং। ১৬৪৬ সালে সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল তিব্বতী আগ্রাসন থেকে ভূটানকে রক্ষা করতে এটি নির্মাণ করেন। ১৯৫১ সালে আগুনে পুড়ে গেলেও জংটি এখনো দৃষ্টি নন্দন হয়ে পুরনো ঐতিহ্যের চিহ্ন ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
৩। রিনপুং জং:
রিনপুং জং পারো জেলার সবচেয়ে বড় জং। ১৬৪৬ সালে পশ্চিম অঞ্চলের প্রশাসনিক ও সন্নাসী কেন্দ্র হিসেবে এই জংটি নির্মান করেন সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল। ১৯৯৩ সালে Little Buddha সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য এই জং-এ ধারণ করা হয়।
৪। টা জং :
এর নির্মানকাল ১৬৫১ সাল। এর অবস্থান রিনপুং জং এর পিছনে পাহাড়ের পাশে। দুর্গ আকৃতির এই ভবনটি একসময় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। ১৯৬৭ সাল হতে এই জংটি একমাত্র জাতীয় জাদুঘর হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এ জাদুঘরটিতে রয়েছে নানা চিত্তাকর্ষক আর্ট এবং ধর্মীয় ভাবধারার পেইন্টিং এর সংগ্রহ।
৫। পুনাখা জং:
পুনাখা জং-কে বলা আনন্দপ্রম প্রাসাদ। এটি আসলে পুনাখার প্রশাসনিক ভবন। ৬০০ ফুট সুদীর্ঘ এই জংটি তৈরী হয় সেই ১৬৩৭-৩৮ খ্রিষ্টাব্দে। ১৯০৭ সালের ১৭ই ডিসেম্বর ভুটানের প্রথম রাজা উজেন ওয়াংচুক এই পুনাখা জং থেকেই তার রাজত্ব পরিচালনা শুরু করেন। বর্তমানে ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ এই পুনাখা জং-টি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শীতকালীন বাসস্থান। ভুটানে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষা দানের সবচেয়ে বড় আশ্রম। এর মূল ভবনটি কাঠের তৈরি। ভবনের দেয়াল জুড়ে বিশ্বাস আর ধর্মীয় অনুভুতির চিত্রকর্ম।
৬। সিমতোখা জং:
থিম্পু থেকে ৩ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত সিমতোখা জং ১৬২৯ সালে নির্মাণ করেন সাবড্রং গুয়াং নামগিয়াল। এটি ভুটানের সবচেয়ে প্রাচীন জং। বর্তমানে এটি জোংখা ভাষার মহাবিদ্যালয়।
৭। দোচুলা পাস:
ভূটানের সবচেয়ে পরিচিত পাস দোচুলা পাস। রাজধানী শহর থিম্পু থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩১৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই পাসটি শাদা মেঘে আচ্ছন্ন থাকে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এখান থেকে হিমালয়ের সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।