ফারজানা রিঙ্কি, সাময়িকী.কম
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_tQZNcmTRdpLd1VD5fzLVV_YonGwzSreV50ENmqPyWjAvBcmPcUAulQtMY2PnisGEvkYQihJDceV82JyaytuZhxxLKDq_NZzT7aoBmhH2Ij85zaOnAssc8N122JO-l3h2kE9y01hhRGTGc-ls2LIaKTPhngguCR=s0-d)
১. ইগাজু জলপ্রপাত :
সারা বিশ্ব থেকে আর্জেন্টিনাকে পর্যটকরা আসেন শুধুমাত্র এই ইগাজু জলপ্রপাত দেখতে। এটি ২৭৫ টি আলাদা জলপ্রপাত ও ঝর্ণার মিলনে তৈরি হয়েছে। পাশেই একটি পার্ক সমন্বিত এই জলপ্রপাতটি প্রকৃতিকভাবে খুবই সুন্দর। এখানকার সমস্ত জায়গাটির মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল এই অর্ধ-বৃত্তাকার জলপ্রপাতটি যেটিকে ‘শয়তানের গলা’ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এটি ৮০ মিটারের মত উঁচু এবং ২৭০০ মিটার চওড়া। এই সুন্দর জলপ্রপাতটি দেখতে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন পর্যটক আর্জেন্টিনাতে আসেন।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_u80LlPYrAp5e-KWrzz9PVJB4B-gJWxAa931v80-W9BZT1BoMJr4y7GIKfresxx3JlVQyiOKtKBer5AvNA14iWq5su9WtK5hL73oazq6MyvceaPVeN-6ClA1_S5tC-H01fWYIw61QTcgI9gMSm2M897GIIeiLYF=s0-d)
২. পেরাইটো মরেনো হিমবাহ :
এটি পানি সংক্রান্ত আরও একটি আকর্ষণ যা আর্জেন্টিনায় অবস্থিত। পেরাইটো মরেনো হিমবাহের কারণে যদিও পাশ্ববর্তী একটি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পার্কটি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ছে তারপরও এর সৌন্দর্যও পর্যটকদের বেশ মুগ্ধ করেছে। এখানে একটি বরফের নদী রয়েছে। এই হিমবাহটি আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চল প্যাটাগোনিয়াতে অবস্থিত। এটি মূলত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩০ কিলোমিটার প্রস্থ একটি বরফখন্ড যেটি বিশ্বের তৃতীয় বড় নিরাপদ পানির উৎস।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_tFrpQrDlETXZIooGl-z6-a68SrS5XlOlTBsuQR_E07GXoHSkSTdZ--1NdZ9um1AU6OrBtsgjTtZt94UrL-hElcH6VSWmRYgqWDD0Z5-A87gTTVNQvyh8xzc2BKxu_FoSh6aT5KvOn9iomSxbscDtqavCMNu8Ub=s0-d)
৩. এল চাল্টেন :
এল চাল্টেন আর্জেন্টিনার স্বল্প পরিচিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি যদিও সেভাবে বিখ্যাত নয় কেননা এতে কোনো এয়ারপোর্ট নেই, শুধু একটি বাস এখানকার অনুন্নত রাস্তা দিয়ে চলাচল করে যেটি শহর থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টায় পৌঁছিয়ে দেয় তারপরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই এল চাল্টেন অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের একটি স্থান। এল চাল্টেন মূলত ১৯৮৫ সালে চিলির সাথে বর্ডার এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। এরপর আস্তে আস্তে এটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর আশেপাশে লস গ্ল্যাসিয়ারিস ন্যাশনাল পার্ক, সিরো ফিৎজ রায় পর্বত এবং সিরো টোরি রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন পর্বতারোহী এবং সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের কাছে বেশ চাঞ্চল্যকর স্থান।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_szw2nJ4IM7nnwDtjbArKC4LsclhQ_hSMdT5VHCI17kZFc8cVz81SmRmVHZWo11N0TEJYdFYkexDDSQPWvz_EFKJ1CDsnsSJBXoXZIJTByAlBss_H8_lWb5mFgIX_2NmjfpHXQEXtjH2IG0dBq7QTGrHx4CX-MR=s0-d)
৪. মেংডোজা প্রদেশ :
মেংডোজা প্রদেশের সাথে মদের সম্পর্ক যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেননা এই প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল প্রস্তুত করা হয়। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন চাষাবাসে এই প্রদেশ প্রচুর পানি সরবরাহ করে থাকে। মেংডোজা প্রদেশে অনেকগুলো উচু উচু টাওয়ার রয়েছে। এছাড়া প্রদেশটির পেছন দিকে আন্দিস পর্বতমালা এমনভাবে ছড়িয়ে রয়েছে যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এখানেও অনেক পর্যটকরা আসেন তাদের মনবাসনা পূরণ করতে।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_vAGrEYIwmIeS0t2JY1wZmGfjhJPVj39MhQ75SFMfzOHfYmEs5cLI4hQBhX5MP1sg2_ISDZqFdtXCG6j2F2no378K1HKqRbptGsA9UGv9WHom9b2OhuG0ucvXsEZOcMLBaSCIjMrM1dnl4vFxMcLkkSt5qZBlof=s0-d)
৫. বারিলোচি :
আপনি যেমন অ্যালকোহলের জন্য যেতে পারেন মেংডোজা প্রদেশে তেমনি বরফের জন্য যেতে পারেন এই বারিলোচিতে। এর পাশেই প্যাটাগোনিয়াও আর্জেন্টিনার একটি বিখ্যাত প্রদেশ যেটি সুইস জার্মান সুতোর জন্য প্রসিদ্ধ। আপনি যদি বরফের মাঝে স্কি করতে চান তাহলে যেতে পারেন আর্জেন্টিনার এই বারিলোচিতে। তবে বারিলোচিতে শুধু স্কিই নয় এখানে খেতে পারবেন মন ভুলানো সুইস চকোলেট, ভেলায় করে ঘুরতে পারবেন, ক্যাম্প বানিয়ে রাতযাপন করতে পারবেন, পাল তোলা নৌকাতে ঘুরতে পারবেন এবং লেকে মাছ ধরার মত মজাদার কাজও করতে পারবেন।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_suHzK3xSxNGrXLFoDEif03c8w4gHGh5XScN0wTfydHao-_n4JbmxtY84LVroq8ooztrHRQ59iJ8joU9Ub1Ms5HhBsbeQeGJQfsWNYVvHPlk7uDsgTtjbBGKNArjKuamQKI3V_wjUdJze9JWs3TDHbaSmg58iPP=s0-d)
৬. কিউব্রাডা দে হামাহুয়াকা :
ইগাজু জলপ্রপাত, পেরাইটো মরেনো হিমবাহ, বারিলোচি এবং মেংডোজা প্রদেশের মতই কিউব্রাডা দে হামাহুয়াকা আর্জেন্টিনার একটি পরিচিত পর্যটন এলাকা। এটি আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমে জুজুই প্রদেশে অবস্থিত। কিউব্রাডা আসলে একটি গিরিখাত যেটি ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সমুদ্রতল থেকে ২০০০ মিটার উপরে অবস্থিত। এটি আর্জেন্টিনার সাথে বলিভিয়ার সীমানা রেখা থেকে বেশ দূরে উত্তর অংশে অবস্থিত। শিলার গঠন এবং বহুবর্ণবিশিষ্ট পাহাড়ের চাকচিক্যে এটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_sZJrZvg21vHej2U4zCX-kxYN6puY_klPeetwsUXnxn1q-_UdkLJ5mjSbfXQv7jpzb6hfm-MkJeaFiYc8FQzUwalNhN967MnLFTNpxYUogqUYbyqIxwg3bVGgegoVXJ9XFGUHqjtpOkr9rd06jTLkKgsBSE4daN=s0-d)
৭. পুয়ের্তো মার্ডেইন :
আর্জেন্টিনার প্যাটাগোনিয়াতে অবস্থিত পুয়ের্তো মার্ডেইন আরেকটি সুন্দর পর্যটন এলাকা। এখানে দেখার মত ৩ টি ছবির মত আঁকা সুন্দর স্থান হল গুল্ফো নিউভোর দক্ষিণ রাইট হোয়েল, ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পান্টা টম্বো প্রাকৃতিক সুরক্ষিত এলাকার ম্যাজিলানিক পেঙ্গুইন উপনিবেশ, উপদ্বীপের সামনে পাখি এবং সামুদ্রিক প্রজাতির বিভিন্ন বন্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল। পুয়ের্তো মার্ডেইন মূলত ওয়েলশ ঔপনিবেশদের আবাসস্থল। এখানে দেখার মত একটি জায়গা হল ওয়েলশ টাউনের পাশে অবস্থিত গাইমেন যেটিতে ওয়েলশ ঔপনিবেশিকদের স্থাপত্য, ঐতিহ্য এবং ভাষা সংস্কৃতির পরিচয় লক্ষণীয়। এখানে একটি ওয়েলশ চা বলে একটি চা বাগানও রয়েছে।
![](https://lh3.googleusercontent.com/blogger_img_proxy/AEn0k_u8iA4Lr178FpPNA4j3Ic06Yo5DT2pEYJ-J3_WGsIOeO1xUTzxsgNiKLK9gwz0aarivwAFwv7kU6XsWC6L8hHp4EwGqHTDfMMF0WhalFPOzMAkExYF2ghVYoxZgP9NV7W26v0V67Ya84sVi9jsPaO2zGlMA4eyl=s0-d)
৮. এল বলসন :
এল বলসন ১৫০০০ জনসংখ্যাবিশিষ্ট একটি পরিচিত শহর যেটি বারিলোচি থেকে ২ ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত। এটি বরফাচ্ছন্ন পর্বতে আবিষ্ট একটি সুন্দর শহর যেখানেও মাছ ধরা, ভেলায় করে ঘোরা, স্কাইকিং করা যায়। এখানেও অনেক মাদক উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এই এলাকাটিও আর্জেন্টিনার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।
এখন চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা। তাই চারপাশে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের রব রব ধ্বণি। বাংলাদেশের লোকসংখ্যা গণনা করে দেখা যাবে যে প্রায় ৯০% সাপোর্টারের অর্ধেক রয়েছেন ব্রাজিল সাপোর্টার আর অর্ধেক রয়েছেন আর্জেন্টিনা সাপোর্টার। কোথাও কোথাও আবার ব্রাজিল আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের মাঝে বিভিন্ন মতানৈক্য বা হালকা পাতলা ঝামেলারও কথা শোনা যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বেশ সরগরমই হয়েছে বাংলাদেশের ভূখন্ড।
আজকের এই লেখাটা আর্জেন্টিনা প্রিয়দের জন্য। অর্থাৎ যারা আর্জেন্টিনাকে মনে প্রাণে সাপোর্ট করেন তাদের জন্য। ধরুন আপনি আর্জেন্টিনার একজন সাপোর্টার। আপনি কি জানেন আর্জেন্টিনা দেশটির এমন ৮ টি সুন্দর স্থানের নাম যেগুলো শুধু প্রাকৃতিকভাবেই নয় গুরুত্বের দিক থেকেও অনেক বেশি সুন্দর। তাহলে আসুন দেখে নিই এমনই ৮ টি স্থান।
১. ইগাজু জলপ্রপাত :
সারা বিশ্ব থেকে আর্জেন্টিনাকে পর্যটকরা আসেন শুধুমাত্র এই ইগাজু জলপ্রপাত দেখতে। এটি ২৭৫ টি আলাদা জলপ্রপাত ও ঝর্ণার মিলনে তৈরি হয়েছে। পাশেই একটি পার্ক সমন্বিত এই জলপ্রপাতটি প্রকৃতিকভাবে খুবই সুন্দর। এখানকার সমস্ত জায়গাটির মাঝে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল এই অর্ধ-বৃত্তাকার জলপ্রপাতটি যেটিকে ‘শয়তানের গলা’ বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। এটি ৮০ মিটারের মত উঁচু এবং ২৭০০ মিটার চওড়া। এই সুন্দর জলপ্রপাতটি দেখতে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন পর্যটক আর্জেন্টিনাতে আসেন।
২. পেরাইটো মরেনো হিমবাহ :
এটি পানি সংক্রান্ত আরও একটি আকর্ষণ যা আর্জেন্টিনায় অবস্থিত। পেরাইটো মরেনো হিমবাহের কারণে যদিও পাশ্ববর্তী একটি প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা পার্কটি নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ছে তারপরও এর সৌন্দর্যও পর্যটকদের বেশ মুগ্ধ করেছে। এখানে একটি বরফের নদী রয়েছে। এই হিমবাহটি আর্জেন্টিনার দক্ষিণাঞ্চল প্যাটাগোনিয়াতে অবস্থিত। এটি মূলত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩০ কিলোমিটার প্রস্থ একটি বরফখন্ড যেটি বিশ্বের তৃতীয় বড় নিরাপদ পানির উৎস।
৩. এল চাল্টেন :
এল চাল্টেন আর্জেন্টিনার স্বল্প পরিচিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। এটি যদিও সেভাবে বিখ্যাত নয় কেননা এতে কোনো এয়ারপোর্ট নেই, শুধু একটি বাস এখানকার অনুন্নত রাস্তা দিয়ে চলাচল করে যেটি শহর থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টায় পৌঁছিয়ে দেয় তারপরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই এল চাল্টেন অনেকের কাছেই বেশ পছন্দের একটি স্থান। এল চাল্টেন মূলত ১৯৮৫ সালে চিলির সাথে বর্ডার এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে। এরপর আস্তে আস্তে এটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর আশেপাশে লস গ্ল্যাসিয়ারিস ন্যাশনাল পার্ক, সিরো ফিৎজ রায় পর্বত এবং সিরো টোরি রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন পর্বতারোহী এবং সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের কাছে বেশ চাঞ্চল্যকর স্থান।
৪. মেংডোজা প্রদেশ :
মেংডোজা প্রদেশের সাথে মদের সম্পর্ক যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেননা এই প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল প্রস্তুত করা হয়। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন চাষাবাসে এই প্রদেশ প্রচুর পানি সরবরাহ করে থাকে। মেংডোজা প্রদেশে অনেকগুলো উচু উচু টাওয়ার রয়েছে। এছাড়া প্রদেশটির পেছন দিকে আন্দিস পর্বতমালা এমনভাবে ছড়িয়ে রয়েছে যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। এখানেও অনেক পর্যটকরা আসেন তাদের মনবাসনা পূরণ করতে।
৫. বারিলোচি :
আপনি যেমন অ্যালকোহলের জন্য যেতে পারেন মেংডোজা প্রদেশে তেমনি বরফের জন্য যেতে পারেন এই বারিলোচিতে। এর পাশেই প্যাটাগোনিয়াও আর্জেন্টিনার একটি বিখ্যাত প্রদেশ যেটি সুইস জার্মান সুতোর জন্য প্রসিদ্ধ। আপনি যদি বরফের মাঝে স্কি করতে চান তাহলে যেতে পারেন আর্জেন্টিনার এই বারিলোচিতে। তবে বারিলোচিতে শুধু স্কিই নয় এখানে খেতে পারবেন মন ভুলানো সুইস চকোলেট, ভেলায় করে ঘুরতে পারবেন, ক্যাম্প বানিয়ে রাতযাপন করতে পারবেন, পাল তোলা নৌকাতে ঘুরতে পারবেন এবং লেকে মাছ ধরার মত মজাদার কাজও করতে পারবেন।
৬. কিউব্রাডা দে হামাহুয়াকা :
ইগাজু জলপ্রপাত, পেরাইটো মরেনো হিমবাহ, বারিলোচি এবং মেংডোজা প্রদেশের মতই কিউব্রাডা দে হামাহুয়াকা আর্জেন্টিনার একটি পরিচিত পর্যটন এলাকা। এটি আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমে জুজুই প্রদেশে অবস্থিত। কিউব্রাডা আসলে একটি গিরিখাত যেটি ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং সমুদ্রতল থেকে ২০০০ মিটার উপরে অবস্থিত। এটি আর্জেন্টিনার সাথে বলিভিয়ার সীমানা রেখা থেকে বেশ দূরে উত্তর অংশে অবস্থিত। শিলার গঠন এবং বহুবর্ণবিশিষ্ট পাহাড়ের চাকচিক্যে এটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে।
৭. পুয়ের্তো মার্ডেইন :
আর্জেন্টিনার প্যাটাগোনিয়াতে অবস্থিত পুয়ের্তো মার্ডেইন আরেকটি সুন্দর পর্যটন এলাকা। এখানে দেখার মত ৩ টি ছবির মত আঁকা সুন্দর স্থান হল গুল্ফো নিউভোর দক্ষিণ রাইট হোয়েল, ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পান্টা টম্বো প্রাকৃতিক সুরক্ষিত এলাকার ম্যাজিলানিক পেঙ্গুইন উপনিবেশ, উপদ্বীপের সামনে পাখি এবং সামুদ্রিক প্রজাতির বিভিন্ন বন্য প্রাণীর আশ্রয়স্থল। পুয়ের্তো মার্ডেইন মূলত ওয়েলশ ঔপনিবেশদের আবাসস্থল। এখানে দেখার মত একটি জায়গা হল ওয়েলশ টাউনের পাশে অবস্থিত গাইমেন যেটিতে ওয়েলশ ঔপনিবেশিকদের স্থাপত্য, ঐতিহ্য এবং ভাষা সংস্কৃতির পরিচয় লক্ষণীয়। এখানে একটি ওয়েলশ চা বলে একটি চা বাগানও রয়েছে।
৮. এল বলসন :
এল বলসন ১৫০০০ জনসংখ্যাবিশিষ্ট একটি পরিচিত শহর যেটি বারিলোচি থেকে ২ ঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত। এটি বরফাচ্ছন্ন পর্বতে আবিষ্ট একটি সুন্দর শহর যেখানেও মাছ ধরা, ভেলায় করে ঘোরা, স্কাইকিং করা যায়। এখানেও অনেক মাদক উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এই এলাকাটিও আর্জেন্টিনার একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র।