নিউজ ডেস্ক
সাময়িকী.কম
সাময়িকী.কম
নেপালে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৯ মাত্রায় আঘাত হানা এ ভূমিকম্পে বহু ভবন ও শত বছরের পুরনো বহু মন্দির ধসে পড়েছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে এ শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর এএফপি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এএফপির খবরে আরো জানানো হয়, ভূমিকম্প ৩০ সেকেন্ড থেকে দুই মিনিট স্থায়ী হয়। এই ভূ-কম্পন নয়াদিল্লিসহ ভারতের পুরো সীমান্তা এলাকাজুড়ে অনুভূত হয়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও সিকিমেও এ কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভবন হেলে পড়েছে।
ভূমিকম্পে রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রসিদ্ধ দারাহারা ভবনটি ধসে পড়েছে। এতে ভবনের ধ্বংসস্তূপে ৫০ জন আটকা পড়েছে। এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় কাঠমান্ডু বিমানের সব ধরণের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
শক্তিশালী ভুমিকম্পে এভারেস্টের বেসক্যাম্পে বড় ধরনের বরফ ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮জন পর্বতারোহী নিহত হয়েছেন। এখনো বহু পর্বতারোহী নিখোঁজ বলে জানা গেছে।
নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
নেপালের ৮১ বছরের ইতিহাসে এত বড় ভুমিকম্পের ঘটনা এটিই প্রথম। এর আগে নেপালে ১৯৩৪ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ওই ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৮ দশমিক ৩।
ভূমিকম্পে ১৯ শতকে নির্মিত একটি প্রাচীণ টাওয়ারভেঙে গেছে। ঐতিহাসিক ওই টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষে কমপক্ষে ৫০ জন মানুষ আটকা পড়েছে। ১৮৩২ সালে নির্মিত ওই টাওয়ারটি গত ১০ বছর ধরে পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওই টাওয়ার থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে ৮১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ১৫ কিলোমিটার। তীব্রতা ৭ দশমিক ৯। ভূমকম্পে কাঠমান্ডু ও পোখারায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় দশরথ স্টেডিয়াম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য নারী অনুর্ধ্ব-১৪ দলের বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল ম্যাচ স্থগিত করা হয়।