সাময়িকী.কম
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আজ কয়েকজন ব্লগার, লেখক ও প্রকাশককে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছে।
শাহবাগ এলাকায় আজিজ সুপার মার্কেটে চালানো একটি হামলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন নিহত হয়েছেন।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকার লালমাটিয়ায় আরো একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরে ঢুকে হামলা করা হলে প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ সেখানে তিনজন আহত হন।
তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আহতদের অবস্থা গুরুতর।
এই দুটো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করা হয়েছিলো।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিজিৎ রায়কে ঢাকায় বইমেলার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এবছরেই প্রায় একই ধরনের হামলায় চারজন ব্লগার নিহত হয়েছে।
শনিবারের সবশেষ হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন, 'অধিকাংশ হত্যাকারীকেই ধরা হয়েছে। তবে নতুন করে যারা হত্যা করছে তাদেরকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।'
হত্যাকারীরা কেনো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি ব্লগারদেরকেও লেখালেখির ব্যাপারে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
দীপন হত্যা
ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেট বলে পরিচিত বহুতল একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল জাগৃতি প্রকাশনীর অফিস।
সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে তৃতীয় তলার অফিস কক্ষের বন্ধ দরজা ভেঙে বেড় করা হয় জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ।
তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল, অফিস কামরার মেঝে ছিল রক্তে প্লাবিত।
নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন
আজিজ সুপার মার্কেটটি মূলত বইপাড়া বলে পরিচিত, বহু প্রকাশনীর কার্যালয় এবং বইয়ের দোকান রয়েছে এখানে।
ঢাকার তরুণ বুদ্ধিজীবীদের আড্ডাস্থল বলেও এই আজিজ সুপার মার্কেটের খ্যাতি রয়েছে। নিহত দীপনের জাগৃতি প্রকাশনী এখানকার নামকরা একটি প্রকাশনা সংস্থা।
কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে, তা পুলিশ এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি।
পুলিশের রমনা জোনের এডিসি জসিম উদ্দিন বলেছেন, তদন্ত একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
তবে দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক অভিযোগ করছেন, আজ দুপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে ব্লগার ও প্রকাশকের উপর যারা হামলা চালিয়েছে এবং যে কারণে চালিয়েছে, দীপনকেও একই কারণে, একই ব্যক্তিরা হত্যা করেছে।
শাহবাগেরই আরেকজন প্রকাশকের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, জাগৃতি প্রকাশনী থেকে ইতিপূর্বে নিহত লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের দুটো বই প্রকাশিত হয়েছিল, তার মধ্যে একটি বইয়ের নাম ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বলে ওই প্রকাশক জানিয়েছেন।
সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায় ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এক ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে উৎসুক জনতা ও সাংবাদিকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই অপরাধ-স্থলে তদন্ত শুরু করতে পারেনি পুলিশ।
সুত্র: বিবিসি
নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন |
শাহবাগ এলাকায় আজিজ সুপার মার্কেটে চালানো একটি হামলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন নিহত হয়েছেন।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকার লালমাটিয়ায় আরো একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরে ঢুকে হামলা করা হলে প্রকাশক ও ব্লগার আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ সেখানে তিনজন আহত হন।
তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আহতদের অবস্থা গুরুতর।
এই দুটো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নিহত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করা হয়েছিলো।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিজিৎ রায়কে ঢাকায় বইমেলার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এবছরেই প্রায় একই ধরনের হামলায় চারজন ব্লগার নিহত হয়েছে।
শনিবারের সবশেষ হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসিকে বলেছেন, 'অধিকাংশ হত্যাকারীকেই ধরা হয়েছে। তবে নতুন করে যারা হত্যা করছে তাদেরকে খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।'
হত্যাকারীরা কেনো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
তবে তিনি ব্লগারদেরকেও লেখালেখির ব্যাপারে সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
দীপন হত্যা
ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেট বলে পরিচিত বহুতল একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল জাগৃতি প্রকাশনীর অফিস।
সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার দিকে তৃতীয় তলার অফিস কক্ষের বন্ধ দরজা ভেঙে বেড় করা হয় জাগৃতির মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ।
তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল, অফিস কামরার মেঝে ছিল রক্তে প্লাবিত।
আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতির অফিসে হামলা চালিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয় |
আজিজ সুপার মার্কেটটি মূলত বইপাড়া বলে পরিচিত, বহু প্রকাশনীর কার্যালয় এবং বইয়ের দোকান রয়েছে এখানে।
ঢাকার তরুণ বুদ্ধিজীবীদের আড্ডাস্থল বলেও এই আজিজ সুপার মার্কেটের খ্যাতি রয়েছে। নিহত দীপনের জাগৃতি প্রকাশনী এখানকার নামকরা একটি প্রকাশনা সংস্থা।
কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে, তা পুলিশ এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি।
পুলিশের রমনা জোনের এডিসি জসিম উদ্দিন বলেছেন, তদন্ত একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
তবে দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক অভিযোগ করছেন, আজ দুপুরে শুদ্ধস্বর প্রকাশনীতে ব্লগার ও প্রকাশকের উপর যারা হামলা চালিয়েছে এবং যে কারণে চালিয়েছে, দীপনকেও একই কারণে, একই ব্যক্তিরা হত্যা করেছে।
শাহবাগেরই আরেকজন প্রকাশকের কাছ থেকে জানা যাচ্ছে, জাগৃতি প্রকাশনী থেকে ইতিপূর্বে নিহত লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের দুটো বই প্রকাশিত হয়েছিল, তার মধ্যে একটি বইয়ের নাম ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বলে ওই প্রকাশক জানিয়েছেন।
সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টায় ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও এক ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে উৎসুক জনতা ও সাংবাদিকদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই অপরাধ-স্থলে তদন্ত শুরু করতে পারেনি পুলিশ।
সুত্র: বিবিসি