জামালপুরের শেষ প্রান্তে যমুনাচরের সানন্দবাড়ির আকন্দপাড়ায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা আনোয়ার হোসেন আকন্দের। তার বাবা মৌলভী আতাউর রহমান আকন্দ ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি ছিলেন একজন বইপ্রেমী উদার, ধার্মিক মানুষ। ১০ বছরের বালক দুরন্ত আনোয়ার হোসেনকেও সেই একই নেশায় পেয়ে বসে।
অনেকেই অনেক কিছু সংগ্রহ করে। মানুষের সংগ্রহের তালিকায় থাকে দুর্লভ চিত্রকর্ম, গাড়ি, ঘড়ি, ডাকটিকিট, মুদ্রাসহ আরও অনেক কিছু। আনোয়ার হোসেন আকন্দ লক্ষাধিক বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা আর মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা কেটে সেগুলো নিজেই বাঁধাই করে বানিয়েছেন তিন হাজারের বেশি বই। পত্রিকা কেটে যে বিষয়ভিত্তিক হাজার হাজার বই তৈরি করা যায়, তা দেখিয়েছেন আনোয়ার হোসেন আকন্দ। বিভিন্ন ম্যাগাজিনের পাতা কেটে বানিয়েছেন হাজারখানেক ক্লিপিংস, যা দেশের একমাত্র ক্লিপিংস মিউজিয়াম হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
মানুষের বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে আনোয়ার হোসেন আকন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসতেন। এ জন্য তিনি গঠন করেছেন ঊষা পারিবারিক লাইব্রেরি। তার লাইব্রেরিতে আছে অর্ধশতাব্দীর প্রাচীন বিভিন্ন পত্রিকা, ঐতিহাসিক দলিল ও বই। ১৮২৭ সালের মক্তব সাহিত্য, ১৮৩৮ সালের পাঠান গৌরবসহ তার সংগ্রহে আছে ৭০ লাখের বেশি ছবির অ্যালবাম। আছে নারী সম্পর্কিত প্রায় চার হাজার বই। ১৯৭৪ সাল থেকে শুরু হওয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির টিকিটসহ অন্যান্য টিকিট। ৮২ বছর আগের বিয়ের মানপত্র ও মেট্রিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ অনেক দুষ্প্রাপ্য দলিল, যা আমাদের আবহমান ইতিহাসের গতিপথ পরিমাপে গবেষকদের স্মারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আনোয়ার হোসেনের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের পরের বেশ কিছু দুর্লভ সংবাদপত্র আছে তার সংগ্রহে। সংবাদপত্রগুলোর অধিকাংশই ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি এবং দেশে ফেরার ঘটনাবলী নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ওই সময়ের বেশ কয়েকটি পত্রিকা তার সংগ্রহে রয়েছে। জ্ঞানসেবী এই মানুষটির জীবনের গতি শ্লথ হয়ে এসেছে। সংসার চলত কৃষিকাজের মাধ্যমে। বর্তমানে তার শারীরিক ও আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। হার্টে বাইপাস সার্জারি করিয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন বললেন, সংগৃহীত বই ও সংবাদপত্রের কাটিং এখন রাখাটাই মুশকিল হয়ে গেছে। ঘরে জায়গা নেই। সরকার বা জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী কোনো ব্যক্তি তার তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে তিনি সবকিছু দিয়ে দিতে আগ্রহী।
আনোয়ার হোসেন আকন্দ মনে করেন, তার এই মিউজিয়াম ঢাকা অথবা এর আশপাশে স্থানান্তর করতে পারলে এ সংগ্রহশালা থেকে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। তার নিজের সে সামর্থ্য নেই। তাই সরকার বা কোনো মহৎ ব্যক্তি এগিয়ে এলে তার খবরের এ জাদুঘরটি ঢাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব। আনোয়ার হোসেন আকন্দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেউ এগিয়ে আসবেন কি?
আলাউদ্দিন আহমেদ, সানন্দবাড়ি
অনেকেই অনেক কিছু সংগ্রহ করে। মানুষের সংগ্রহের তালিকায় থাকে দুর্লভ চিত্রকর্ম, গাড়ি, ঘড়ি, ডাকটিকিট, মুদ্রাসহ আরও অনেক কিছু। আনোয়ার হোসেন আকন্দ লক্ষাধিক বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা আর মাসিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা কেটে সেগুলো নিজেই বাঁধাই করে বানিয়েছেন তিন হাজারের বেশি বই। পত্রিকা কেটে যে বিষয়ভিত্তিক হাজার হাজার বই তৈরি করা যায়, তা দেখিয়েছেন আনোয়ার হোসেন আকন্দ। বিভিন্ন ম্যাগাজিনের পাতা কেটে বানিয়েছেন হাজারখানেক ক্লিপিংস, যা দেশের একমাত্র ক্লিপিংস মিউজিয়াম হিসেবে পরিগণিত হতে পারে।
মানুষের বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে আনোয়ার হোসেন আকন্দ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই দিয়ে আসতেন। এ জন্য তিনি গঠন করেছেন ঊষা পারিবারিক লাইব্রেরি। তার লাইব্রেরিতে আছে অর্ধশতাব্দীর প্রাচীন বিভিন্ন পত্রিকা, ঐতিহাসিক দলিল ও বই। ১৮২৭ সালের মক্তব সাহিত্য, ১৮৩৮ সালের পাঠান গৌরবসহ তার সংগ্রহে আছে ৭০ লাখের বেশি ছবির অ্যালবাম। আছে নারী সম্পর্কিত প্রায় চার হাজার বই। ১৯৭৪ সাল থেকে শুরু হওয়া রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির টিকিটসহ অন্যান্য টিকিট। ৮২ বছর আগের বিয়ের মানপত্র ও মেট্রিক পরীক্ষার সার্টিফিকেটসহ অনেক দুষ্প্রাপ্য দলিল, যা আমাদের আবহমান ইতিহাসের গতিপথ পরিমাপে গবেষকদের স্মারক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আনোয়ার হোসেনের দাবি, মুক্তিযুদ্ধের পরের বেশ কিছু দুর্লভ সংবাদপত্র আছে তার সংগ্রহে। সংবাদপত্রগুলোর অধিকাংশই ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি এবং দেশে ফেরার ঘটনাবলী নিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ওই সময়ের বেশ কয়েকটি পত্রিকা তার সংগ্রহে রয়েছে। জ্ঞানসেবী এই মানুষটির জীবনের গতি শ্লথ হয়ে এসেছে। সংসার চলত কৃষিকাজের মাধ্যমে। বর্তমানে তার শারীরিক ও আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। হার্টে বাইপাস সার্জারি করিয়েছেন। কথা প্রসঙ্গে আনোয়ার হোসেন বললেন, সংগৃহীত বই ও সংবাদপত্রের কাটিং এখন রাখাটাই মুশকিল হয়ে গেছে। ঘরে জায়গা নেই। সরকার বা জ্ঞানচর্চায় আগ্রহী কোনো ব্যক্তি তার তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে তিনি সবকিছু দিয়ে দিতে আগ্রহী।
আনোয়ার হোসেন আকন্দ মনে করেন, তার এই মিউজিয়াম ঢাকা অথবা এর আশপাশে স্থানান্তর করতে পারলে এ সংগ্রহশালা থেকে অনেক মানুষ উপকৃত হবে। তার নিজের সে সামর্থ্য নেই। তাই সরকার বা কোনো মহৎ ব্যক্তি এগিয়ে এলে তার খবরের এ জাদুঘরটি ঢাকায় স্থানান্তর করা সম্ভব। আনোয়ার হোসেন আকন্দের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কেউ এগিয়ে আসবেন কি?
আলাউদ্দিন আহমেদ, সানন্দবাড়ি