অসুস্থতাই আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয় সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা। আর খুঁজলে এমনও অনেক তারকা পাওয়া যাবে যারা এই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিনোদন জগতের এইসব তারকাকে সবসময়ই আমরা ঝলমলে রূপে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু তারকারাও কখনো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন, সাধারণ মানুষের মতই কষ্ট পেতে পারেন তা যেন আমরা কখনোই ভাবিনা। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম এমন সব তারকাদের তালিকা নিয়ে যারা শুধু মারাত্মক রোগে আক্রান্তই হননি বরং এই যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন এবং এখনো লড়ে যাচ্ছেন।
বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় এবং সুদর্শন নায়কদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই অভিনেতা ১৫ বছর ডিপ্রেশন রোগের সাথে যুদ্ধ করেছেন, শুধু তাই নয় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে তিনি মদ্যপানেও আসক্ত হন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তার ফিল্ম ক্যারিয়ারেও ধ্বস নামে। এবং দীর্ঘ ১৫ বছর এই রোগের সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে মুক্তি লাভ করেন এবং সিনেমা জগতে আবারো নতুন করে মনোনিবেশ করেন।
বলিউডের সম্রাট ৭২ বছর বয়সেও কুড়ি বছরের যুবকের ন্যায় কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত এই অভিনেতা। প্রতি বছর প্রতি মিলিয়নে গড়ে ৩-৩০ জন আক্রান্ত হন Myasthenia gravis রোগে আক্রান্ত হন আর তাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন একজন। শুধু তাই নয় খুব সম্প্রতি এই অভিনেতা লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এখানেই শেষ নয় এই অভিনেতাকে বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিম কারদাশিয়ান বরাবরই তার সৌন্দর্যের জন্য সুপরিচিত হলেও আপনি কি জানেন এই অভিনেত্রী মারাত্মক খোশ- পোঁচড়ায় আক্রান্ত। এই রোগটির নাম সরিয়াসিস। সারা শরীর জুড়ে ছোট ছোট গোলাকাকার বৃত্তের ন্যায় দেখা যায় । শুধু তাই নয় নয় এই স্থান গুলো ঢাকতে কিম সবসময় মেক আপ স্প্রে ব্যবহার করেন। এই টিভি রিয়েলিটি তারকা আজো এই রোগের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন।
বলিউডের মিষ্টি হাসির অধিকারিণী অভিনেত্রী নানা বিতর্কে জড়িয়ে কিছু দিনের জন্য রূপালি জগত থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। সবাই ভাবতে শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্র জগতে তার কেরিয়ার বোধয় শেষ। কিন্তু না বিদেশের মাটিতে এই অভিনেত্রী তখন মরণব্যাধি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধেরত। মন ভোলানো হাসির অধিকারিণী মনীষা কৈরালা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালে প্রথম মনীষার ক্যান্সার রোগটি ধরা পড়ে।
লিসা রয় বলিউডে পা রেখেই আলোচনার সৃষ্টি করতে পেড়েছিলেন। এই অভিনেত্রীরও ২০০৯ সালে মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় শ্বেত কণিকা উৎপন্ন হয় এবং এক্সময় শরীর নিজে থেকে রক্ত উৎপন্ন করা বন্ধ করে দেয়। যদিও এই অভিনেত্রী এখন পুরোপুরি ক্যান্সারমুক্ত নন কিন্তু তিনি এই রোগ নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে এবং এই রোগের সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে আর একবার প্রমাণ করেছেন যে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ জীবন জাপন করতে পারে।
বলিউডের অন্যতম সুদর্শন পুরুষ সালমান খানো বাদ জাননি এই তালিকা থেকে। এই হিরো ট্রিজিমিনাল নিউরালজিয়া রোগে আক্রান্ত। এটি অত্যন্ত মারাত্মক একটি ব্যাধি। সাধারনত মাথা ব্যাথা থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে পুরো শরীরে ব্যাথা ছরিয়ে পড়ে শুধু তাই নয় ব্যাথা জন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে আজো সালমান এই রোগের সাথে লড়ে যাচ্ছেন।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.