নিত্যনতুন সাজে নিজের ঘরটাকে দেখতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু সব সময় তো আর নতুন নতুন জিনিস কিনে ঘর সাজানো সম্ভব হয় না। বিশেষ করে ঘর সাজানোর অনেক উপকরণই থাকে মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধ্যের বাইরে। তাই বলে কি ঘর সাজানো বাদ থাকবে? একটু কৌশল খাটিয়ে বাড়ির পুরোনো এটা-সেটা দিয়েই নতুন করে সাজানো যায় ঘর। আর যদি কিনতেই হয়, কম দামে জিনিস কিনে তা দিয়েও পালটে ফেলা যায় ঘরের চেহারা।

কুশনের কারিকুরি :

বসার ঘরের সোফায় বা শোবার ঘরের বিছানায় কুশন রাখলে তাতে বসতে বা শুতে বেশ আরাম। এগুলো দেখতে খুব একটা সুন্দর না হলে কিন্তু আরামের চেয়ে অস্বস্তিটাই লাগে বেশি। দেখতে সুন্দর এমন কুশন কেনাটা বেশ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। আপনার বাড়িতে হয়তো পড়ে আছে বেনারসি বা ব্রোকেডের টুকরো অথবা জরির পাড়। একরঙা সস্তার কুশন কভার কিনে তার ওপর বাড়িতেই বসিয়ে ফেলুন এগুলো। কম খরচে তৈরি হয়ে গেল চমত্‍কার কুশন কভার।

আড়াল হোক নষ্ট দেয়াল :

দেয়ালে ড্যাম্প ধরলে তা না সারিয়ে রং করা যায় না। কিন্তু সেটা বেশ খরচের ব্যাপার। আবার ছাতা ধরা স্যাঁতস্যাঁতে দেয়াল দেখতেও বিশ্রী লাগে। এই ড্যাম্প দেয়ালকেই দেশীয়ভাবে সাজাতে এবং ঢাকতে পারেন খুব সহজেই। মাদুর বা শীতলপাটি লাগিয়ে দিতে পারেন দেয়ালে। কাঠের ফ্রেম করে অথবা পেরেক দিয়ে আটকে দিতে পারেন। এতে রং দিয়ে নকশা করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফ বা অন্য কোনো দেয়ালসজ্জাও টাঙাতে পারেন।
দেয়ালের খুঁত ঢাকতে করতে পারেন আরেকটি কাজ। পাতলা প্লাই দিয়ে দেয়ালটি ঢেকে দিন। প্লাইয়ের ওপরে মাটি লেপে দিন। মাটির সাথে আঠা মিশিয়ে নেবেন। মাটি শুকিয়ে গেলে অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে এর ওপর আলপনা করুন বা আপনার পছন্দমতো ছবি আঁকুন। শুধু রঙিন হাতের ছাপ দিলেও অনেক আকর্ষণীয় হবে।

সেলাই মেশিন যখন টেবিল :

অনেক বাড়িতেই পুরোনো সেলাই মেশিন থাকে। এখন হয়তো আর ব্যবহার করা হয় না অথবা নষ্ট হয়ে গেছে। পদচালিত সেলাই মেশিনটি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন বাচ্চার পড়ার টেবিল অথবা আপনার কাজের টেবিল হিসেবে। সেলাই মেশিনটি ফ্রেম থেকে খুলে ফেলুন। ফাঁকা জায়গায় বসিয়ে দিন পাতলা কাঠ বা বোর্ড। এরপর বাড়িতেই এনামেল পেইন্ট দিয়ে পুরোটা রং করুন। তৈরি হয়ে গেল একটা নতুন টেবিল। এটা আপনি যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
বিভাগ:

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.