গত তিন দশকে বিশ্বের বেশ সফল এক রক মিউজিশিয়ানের নাম ব্রায়ান অ্যাডামস। কানাডিয়ান এ শিল্পীর জন্ম ৫ নভেম্বর ১৯৫৯ সালে। সারা বিশ্বব্যাপী লাখো ভক্ত ছড়িয়ে আছে তার আর এ ভক্তদের সুরের মুর্ছনায় মাতাতে সাড়া বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্যুরে ব্যস্ত থাকেন তিনি। ব্রায়ান অ্যডামসের জনপ্রিয় গানের লিস্ট করতে গেলে বিশাল এক খাতা নিয়েই বসতে হবে ভক্তদের। অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে এ শিল্পীর। কানাডা তো বটেই পুরো বিশ্বের রক মিউজিকের আইকন হিসেবে অনেকেই অনুসরন করে থাকে অ্যাডামসকে। শিল্পীজীবনে সীকৃতি সরূপ পুরষ্কারও পেয়েছেন অসংখ্য। ব্রায়ান অ্যাডামসের পুরো সংঙ্গীত জীবন নিয়ে লিখতে গেলে হয়ত পাতার পর পাতা শেষ হয়ে যাবে। বরং চলুন দেখে নেয়া যাক এ শিল্পীর জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য অজানা তথ্য যা হয়ত আপনি জানেন না।
- -ব্রায়ান কানাডিয়ান হলেও তার বাবা-মা দু'জনেই ব্রিটিশ নাগরিক। এবং বর্তমানে তিনি ব্রিটেনের পাশেই থাকছেন। যদিও কানাডাতে তার এখনও স্টুডিও রয়েছে।
- -তার 'রিকলেস' অ্যালবামটি এখন পর্যন্ত কানাডার সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবাম। এ অ্যালবামের জন্যই প্রথম কানাডিয়ান হিসেবে ডায়মন্ড সেলস অ্যাওয়ার্ডের কীর্তি অর্জন করেন তিনি।
- -ব্রায়ান এখন পর্যন্ত ১৭বার গ্র্যামী অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
- -ইউকে টপচার্টে তার 'এভরেথিং আই ডু' গানটি টানা ৪ মাস ছিল নাম্বার ১ পজিশনে।
- -মিউজিকে অবদানের জন্য 1998 সালের 20শে এপ্রিল লাভ করেন কানাডার মেম্বার অফ অর্ডার(সিএম) এবং ১৯৯৮ সালের ৬ই মে অফিস অফ অর্ডার (সিও)
- -১৯৯২ সালে জনপ্রিয় গান 'এভরেথিং আই ডু' স্প্যানিস ভাষায় এবং ২০০৭ সালে 'হেয়ার আই এম' ফ্রেঞ্জ ভাষায় নতুন করে রেকর্ড করেন তিনি।
- -ব্যক্তিগত জীবনে ব্র্যায়ান কখনোই বিয়ে করেন নি। তবে দীর্ঘদিনের অ্যাসিসটেন্ট এ্যালিসিয়া গ্রিমালডির গর্ভে এসেছে তার দুটি সন্তান। প্রথম সন্তান মিরাবেল্লা অ্যাডামস জন্ম নেয় ২০১১ সালে এবং দিতীয় সন্তান লুলা রসেলা ২০১৩ সালে।
- -অ্যাডামস একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। বেশ মুগ্ধ করার মতোই ফটোগ্রাফির হাত রয়েছে তার। এছাড়াও অভিনয়, রেকর্ড প্রডিউসার এবং সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত তিনি।
- -গত 30বছরে শিল্পচর্চায় অনবদ্য অবদানের জন্য অর্জন করেন 'গভর্নর জেনারেল পারফর্মিং অার্ট অ্যাওয়ার্ড।
- -মূলত গিটারিস্ট হিসেবে পরিচিত হলেও বেশ ভালো পিয়ানো, বেস ও হারমনিকাও বাঝাতে পারেন তিনি।
- -বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্য দিয়ে মানবতার শান্তির বানী ছড়াচ্ছেন তিনি। অ্যডামস তার বিভিন্ন লাইভ শো এর টাকা তার নিজস্ব 'দ্যা ব্র্যায়ান অ্যাডামস ফাউনডেশন" এর পিছনে ব্যায় করেন। এ ফাউনডেশন থেকে সারা বিশ্বে দরিদ্র শিশু ও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার সুযোগ দেওয়া হয়।
- -একজন সত্যিকারের শিল্পী সত্বা বহন করা এ শিল্পী এখনো স্টেজ মাতিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। মে ৩ তারিখ থেকে তার ‘রিকলেস’ অ্যালবামের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ট্যুরে বের হচ্ছেন। এ সময় বিভিন্ন দেশের ৪৪টি কনসার্টে অংশ নেবেন ব্র্যায়ান।
ব্র্যায়ান অ্যডামসের নিজের একটি কথা দিয়েই শেষ করব।
'আই অলওয়েজ নো আই উড বি ইন মিউজিক ইন সাম সর্ট অফ ক্যাপাসিটি। আই ডিড নট নো ইফ আই উড বি সাকসেসফুল অ্যাট ইট, বাট আই নো আই উড বি ডুয়িং সামথিং ইন ইট। মেবি গেট এ জব রেকর্ড স্টোর, মেবি ইভেন প্লে ইন অ্যা ব্যান্ড। আই নেভার গট ইনটু দিস টু বি অা স্টার'
ব্র্যায়ান অ্যাডামস তারকা হবার কথা চিন্তা করুন আর নাই করুন তার শিল্পকর্ম তাকে পুরো বিশ্বের কাছে এক অনবদ্য রোল মডেলে পরিনত করেছে।