ধনী হওয়া বা আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ার বিষয়টি কি আসলে সবার জীবনে আসে? উত্তরটা হলো- "না"। এটা এমন একটি বিষয় যা একজন মানুষকে অর্জন করে নিতে হয় পরিশ্রম ও চর্চার মাধ্যমে। আপনি কি মাত্রই শিক্ষাজীবন শুরু করেছেন? তাহলে হয়তো নতুন বাস্তবতা এখন আপনাকে স্পর্শ করতে শুরু করেছে। আর ভবিষ্যতের জীবনটাকে যদি গুছিয়ে নিতে চান, যদি জীবনে হতে চান আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বা ধনী একজন মানুষ, তাহলে কিছু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলুন এখনই।
অর্থ বিনিয়োগের পূর্বে লাভ সম্পর্কে হিসেব করে নেয়াঃ
কোথাও টাকা খরচের আগে চিন্তা করে নিতে হবে। হুট-হাট খরচের অভ্যাসটা ছাত্রজীবনেই বাদ দিতে পারলে ভবিষ্যতে এ নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ার অবকাশ থাকবে না।
বিনা খরচে অথবা ছাড়-এ বস্তু ক্রয়ঃ
বিভিন্ন কোম্পানি বিক্রি বাড়াবার জন্য নানাপ্রকার অফার বা মূল্যছাড় দিয়ে থাকে। ছাত্রাবস্থায় আপনাকে খোঁজ রাখতে হবে কোথায় কখন কোন অফার চলছে। এর মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা সঞ্চয় করতে পারবেন। বাড়তি টাকা দিয়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচও সারতে পারবেন অনায়াসেই।
ধার করা,পুরনো জিনিস বিক্রি করা ও ভাগ করে নিতে শেখাঃ
এই তিনটি আচরণ শিখতে পারলে আপনি অনেক খরচ কমিয়ে আনতে পারবেন। অনেক সময় কোন জিনিসের খুব অল্প আমরা ব্যবহার করি আর বাকিটা অপচয় হয়। এসব এড়াতে হলে কোন বন্ধুর কাছ থেকে ধার করা যেতে পারে অথবা দুজন ভাগ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার পুরনো কোন বস্তু অযথা ফেলে না রেখে বিক্রি করে দেয়া যায়। এভাবে আপনি কেবল সাময়িক লাভবান হবেন,তা না এটি আপনাকে সফলতার পথে ভীষণ সাহায্য করবে।
শুধু অর্থ নয় মনোযোগী হন অভিজ্ঞতা অর্জনেঃ
শিক্ষাজীবনে কেবল অর্থের চিন্তা না করে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।এর দ্বারা কর্মজীবনে অভাবনীয় সাফল্য লাভ সম্ভব।
রুমমেটদের সাথে থাকাঃ
পড়াশোনার সময়টাতে একা থাকতে চাইলে খরচ অনেকখানি বেড়ে জায়।তাই একা না থেকে রুমমেটদের সাথে থাকতে পারলে বাড়তি টাকা সঞ্চয় করা যায়।
বহুমুখী কাজে জড়িত থাকাঃ
লেখাপড়ার পাশাপাশি বহুমুখী বিভিন্ন কাজে লেগে থাকতে পারলে কর্মদক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায় যা পরবর্তী জীবনে ভীষণ ভাবে উপকার করে। কর্মসংস্থান করতে মোটেও বেগ পেতে হয় না।
হেঁটে ক্লাসে যাওয়াঃ
ক্লাসে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস অনেক কার্যকরী। হাঁটলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি খরচ বেচে যায়।
হাঁটা সম্ভব না হলে পাবলিক বাস এ করে যাতায়াত করা যেতে পারে। এতে আপনার অভ্যাস হবে কঠিন জীবনের সাথে মানিয়ে নেয়ার।
হাঁটা সম্ভব না হলে পাবলিক বাস এ করে যাতায়াত করা যেতে পারে। এতে আপনার অভ্যাস হবে কঠিন জীবনের সাথে মানিয়ে নেয়ার।
অর্থ সঞ্চয়ঃ
পড়াশোনার ফাঁকে যদি কিছু আয় করা হয় তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন বন্ধুদের পেছনে খরচ না হয়ে যায়। সেই টাকা বছরব্যাপী জমানোর চেষ্টা করতে হবে।
সিভি সমৃদ্ধ করাঃ
ছাত্রদের এমন কাজে জড়িত থাকতে হবে যেগুলো তার সিভি কে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
অভিজ্ঞতা বহুল সিভি থাকলে পরবর্তী জীবনে ভাল চাকরি পেতে সুবিধা হয়।
অভিজ্ঞতা বহুল সিভি থাকলে পরবর্তী জীবনে ভাল চাকরি পেতে সুবিধা হয়।