মানুষের জীবনে বন্ধু এবং বন্ধুত্বের গুরুত্ব অনেক বেশি। বন্ধু ছাড়া মানুষ থাকতে পারে না। একদম ছোটকাল থেকে শুরু করে বার্ধক্য পর্যন্ত বন্ধুত্বের সম্পর্কে ঘিরে থাকে সবাই। বন্ধুত্বের সম্পর্ক এমন একটি সম্পর্ক যা দেখে শুনে বুঝে হয় না বরং আপনা আপনিই হয়ে যায়। পড়ালেখা একইসাথে করার সুবাদে সহপাঠীর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গভীর হয়ে আসে। প্রতিদিন একই সাথে ক্লাস করা, আসা যাওয়া করা প্রতিটি কাজে একই সাথে থাকার মাধ্যমে গাঢ় হয় বন্ধুত্ব। কিন্তু সকল বন্ধুত্বের সম্পর্ক বেশিদিন টেকে এমন কিন্তু নয়। আবার কিছু কিছু বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়াই ভালো কোনো কোনো ক্ষেত্রে। কারণ কিছু কিছু বিষাক্ত বন্ধুত্বের সম্পর্ক কুলষিত করে বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক এমনই বিষাক্ত কিছু বন্ধু যাদের সাথে ২০ বছর বয়সের পর আর সম্পর্ক না রাখাই ভালো।
দুমুখো বন্ধু
অনেকেই আছেন আপনার সামনে অনেক ভালো থাকেন এবং বেশ ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করেন কিন্তু আপনার পিঠ পিছে আপনার নামে বদনাম করেন। অনেক সময় এমন বন্ধুটিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না। কিন্তু যদি কখনো কোনোদিন বুঝতে পারেন তবে তার সাথে সম্পর্ক না রাখাই ভালো। কারণ এই ধরণের বন্ধুরা সব সময় আপনার ক্ষতিই করবেন।
ফ্লার্টি বন্ধু
অনেক মেয়েই এমন দু একজন বন্ধু থাকেন যারা তাদের অনেক পছন্দ করেন এবং বেশিরভাগ সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার পরও ফ্লার্ট করেন। এই ধরণের বন্ধুদের সাথে বেশিদিন সম্পর্ক না থাকাই ভবিষ্যতের জন্য ভালো। কারণ যখন আপনি নিজের জন্য সত্যিকারের একটি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াতে যাবেন তখন এই বন্ধুরা অনেক সমস্যা করে থাকে।
যে বন্ধুটি সব সময় আপনাকে ছোট করার তালে থাকে
বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাঝে এমন অনেকেই ঢুকে পরেন যাদের মুখের ওপর অনেক কিছু বলে দেয়া যায় না। শুধুমাত্র বন্ধুত্বের খাতিরে তাদের কথা হজম করতে হয়। এরা সব সময় তালে থাকেন কখন কোন কথা দিয়ে আপনাকে ছোট করা যাবে। এই ধরণের বন্ধুদের সাথে ছাত্রজীবনের পর বন্ধুত্ব না থাকাই ভালো।
নেতিবাচক চিন্তার বন্ধু
অনেকেই নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করে থাকেন। এটা একটি মানসিক সমস্যার পর্যায়ে পরে। কারণ সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক চিন্তা করা সাভাবিক মানুষের লক্ষণ নয়। এই ধরণের মানুষের চিন্তা ভাবনা বলতে গেলে ছোঁয়াচে। কারণ একজন প্রতিদিন আপনার সামনে অনবরত নেতিবাচক কথা বলতে থাকলে আপনি কিছুতা হলেও প্রভাবিত হবেন যা আপনার ভবিষ্যতের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই এই ধরণের বন্ধু থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
আত্মকেন্দ্রিক বন্ধু
অনেকেই আছেন প্রত্যেক কথাতে নিজের উদাহরণ নিয়ে আসেন। আপনি কোনো সমস্যায় থাকলেও তিনি নিজের সমস্যার কথা দিয়ে উদাহরণ দেন। এই ধরণের বন্ধুরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এরা নিজেদের বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারেন না। এই ধরনের বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক অবশ্য বেশিরভাগ সময় আপনাআপনিই শেষ হয়ে যায়। তারপরও এদের কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।
প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধু
অনেক বন্ধু এমন আছেন যারা নিজের বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতা করে থাকেন। প্রকাশ না করলেও বিভিন্ন সময় আচার আচরনে এই প্রতিদ্বন্দ্বী মনোভাব প্রকাশ পেয়ে যায়। এই ধরণের বন্ধুরা অন্বক ক্ষতিকর। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকাই ভালো।