সাময়িকী.কম
সাইবেরিয়ার ইয়ামাল অঞ্চলে হঠাৎ করেই উদয় হওয়া রহস্যময় গর্তটির ভেতরে প্রথম দৃষ্টিপাত করলেন গবেষকেরা। এর পাশাপাশি সাইবেরিয়ান টাইমসের একটি হেলিকপ্টার থেকে এর ভেতরে কি আছে তা দেখার চেষ্টা করা হয়।
ধারণা করা হয়েছিলো এই গর্তের ব্যাস প্রায় ৮০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু State Scientific Centre of Arctic Research এর আন্দ্রে প্লেখানভ সাইবেরিয়ান টাইমসকে বলেন, গর্তটি মোটামুটি ৩০ মিটার চওড়া এবং একে ঘিরে থাকা অস্থিতিশীল নরম মাটিসহ বিবেচনা করলে তা ৬০ মিটারের মতো। শুধু তাই নয়, এই গর্তের তলায় কি আছে তাও দেখতে পাওয়া গেছে। ৭০ মিটার গভীর গর্তের তলায় আছে একটি জমাট বাঁধা হ্রদ। এখানে থেকে মাটি, বায়ু এবং পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাথমিক গবেষণা থেকে ধারণা করা হচ্ছে গত দুই বছরের মাঝে কোনো এক সময়ে মাটির নিচে গর্তটি তৈরি হওয়া শুরু হয়। প্লেখানভ বলেন, পার্মাফ্রস্টের ভেতর থেকে বের হয়ে এসেছে এই অংশটি। তবে যেহেতু কোনো উত্তাপ সৃষ্টি হয়নি তাই ধরে নেওয়া যায় এর পেছনে কোনো রকমের বিস্ফোরণ কাজ করেনি।
আগে ধারণা করা হয়েছিলো এখানে মাটির নিচে বরফে আটকা পড়ে ছিলো অনেক বেশি পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাস, কারণ এই এলাকা হাজার হাজার বছর ধরে পার্মাফ্রস্টের মাঝে জমাট বেঁধে আছে। বরফ গলে এবং গ্যাস উত্তপ্ত হয়ে গেলে এখানকার চাপ বৃদ্ধি হবার কারণে গ্যাস বাইরের দিকে তীব্রবেগে উঠে আসার কারণে গর্তটি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এই এলাকায় ২০১২ এবং ২০১৩ সালের গ্রীষ্ম স্বাভাবিকের চাইতে বেশি গরম ছিলো। কিন্তু এখনই কোনো নির্দিষ্ট কারণ ধরে নিতে নারাজ বিজ্ঞানীরা। গর্ত থেকে নেওয়া নমুনাগুলো বিশ্লেষণ সম্পন্ন হলে তবেই রহস্য উদ্ঘাটন হবে।
(মূল: IFLScience)