মগ্ন হই
.....................
অভিজ্ঞতাগুলো জমে থাকে চেতনায়
অভিন্ন আভাসের খোঁজে-
উড়ে যায় কিছু রূপালী মাছ
শূন্যে, সমুদ্রের নাভি হতে।
মানুষ রহস্যের মূল চাবিকাঠি শত্রুতা,
দেখে দেখে সঙ্গ ছেড়ে দূরে যাই
কাছাকাছি থাকা সব মানুষ থেকে।
যেন আলোকচিত্রের মতো একফোঁটা আলো,
তবু দূর-চোখে মগ্ন হই মানুষের মাঝেই...
তবু দূর-চোখে মগ্ন হই মানুষের মাঝেই...
ছায়া খুঁজি করুণা খুঁড়ে খুঁড়ে
অস্পষ্ট বুকের কত নীচে মানুষের রক্ত ছায়া!
তবু দূর-চোখে মগ্ন হই মানুষের মাঝেই...
ছায়া খুঁজি করুণা খুঁড়ে খুঁড়ে,
অস্পষ্ট বুকের কত নীচে মানুষের রক্ত ছায়া!
সন্ধি
.........
ঝরছে নরম রোদ-
জানালায় জানালায় দুলছে শালপাতার পর্দা
বেঁচে থাকা মানুষের গোপনীয়তা
জেনে ফেলে যে মৃত মানুষ,
সে এখন, ঈশ্বরের ঊরুর মাঝে
সন্ধি খুঁজে ফেরে...
...........................
শহরের বালকগুলো নুনের মড়কে দেহ রেখে
আকাশে ছুঁড়ে দেয় ঘুড়ির বাইসাইকেল।
ব্যর্থ ঘুড়ি বাতাসের মস্তিস্ক থেকে
মগজ খুলে খুলে বৃষ্টির নোলক হয়ে ঝরে
পিপাসার ঢেউ খুলে নীল ডানার পাখিরা
বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়।
এতসব নীল নীল পাখিরা স্বপ্ন দেখতো যাদের নিয়ে,
এতসব নীল নীল পাখিরা স্বপ্ন দেখতো যাদের নিয়ে,
আজ তারাই অভিযোগ এনেছে বিশ্বাস ভঙ্গের।
যা দেখছো এ শহরে এসব হয়ে যাবে
মূল্যহীন কিংবা চতুর্থ বিষয়
কোথাও কেউ থাকে বা থাকে না,
যা আছে হয়তো ছায়ার কঙ্কাল...
উপহার
................
দাঁড়িয়ে আছি আমি ও একটি দেবদারু গাছ
কোন মোহময়ী লতা শরীর জড়িয়ে
উঠে যাবার শর্ত দিয়েছিল কিনা গাছটিকে,
সত্যিই জানিনা
তবু আমি,
বিনিময়যোগ্যতা হারানো কোন প্রদর্শনী শেষে
সমস্ত অচল মুদ্রাগুলো কিনে রাখি
এবং ঈশ্বর থেকে প্রাপ্ত নির্বাণ উপহার,
আমাকে বিদায় বলতে মৃত্যু নয় বরং
আত্মগোপন শিখিয়েছে...