সাময়িকী.কম
ছবি: সংগৃহীত |
ইরাকে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) জঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান থেকে হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। সুন্নিপন্থি জঙ্গিদের হাত থেকে ইরাকের সংখ্যালঘুদের রক্ষার কথা উল্লেখ করে শুক্রবার এ হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, ইরাকের আরবিলে আইএসআইএসের কামান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। সেখান থেকে জঙ্গিরা কুর্দিস্তানের যোদ্ধাদের মোকাবিলা করে থাকে।
এর আগে ইরাকের জঙ্গিদের ওপর হামলা করার অনুমোদন দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, মানবতার চরম লঙ্ঘন দেখে বসে থাকা যায় না। তবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণের জন্য কোনো মার্কিন সেনা পাঠাবেন না তিনি। আইএসআইএসের জঙ্গিরা গত কয়েক মাস ইরাকের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি শহর দখল করে নিয়েছে। তারা সংখ্যালঘু, বিশেষ করে খ্রিষ্টানদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। এ কারণে ওই সব অঞ্চল থেকে প্রাণ রক্ষার তাগিদে কয়েক লাখ সংখ্যালঘু ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলের মসুল শহর দখল করে নেয়। এ ছাড়া গত সপ্তাহে তারা কারাকোশ শহরও দখল করে।
পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরবিলে জঙ্গিদের একটি কামান লক্ষ্য করে দুটি এফ/এ-১৮ বিমান থেকে ৫০০ পাউন্ডের লেজারনিয়ন্ত্রিত বোমা ফেলা হয়েছে।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কিরবি জানিয়েছেন, জঙ্গিরা আরবিলে তাদের দখল ধরে রাখতে ওই সব সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ওবামা তার এক বক্তব্যে বলেন, ইরাক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক সহায়তা চেয়েছে। এতে সাড়া দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সতর্কভাবে ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে জঙ্গিদের দমন করে সেখানকার ইয়াজিদি ও খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুদের রক্ষা করবে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, আরবিলে খ্রিষ্টান ও ইয়াজিদিরা চরম মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার সংখ্যালঘু ঘরছাড়া হয়েছে। ব্রিটেন ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফেলন এই সমর্থনের কথা জানান। পাশাপাশি তিনি ইরাকে ব্রিটিশ সেনা পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে দেন।
অন্যদিকে ইরাকী ও কুর্দি কর্মকর্তারা মার্কিন বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইরাকের সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাবাকের জেবারি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগে সেখানে বড় ধরণের পরিবর্তন আনবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।