চট্টগ্রামের মেয়ে মেহজাবিন চৌধুরী। আজকাল যে কোন পর্যায়ের দর্শকের মাঝে, এমনকি ফেসবুকেও ছড়িয়ে আছে তার সৌন্দর্যের প্রশংসা। অনেকটা শখের বসেই ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখান তিনি। সেখানে সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হওয়ার পর বদলে যেতে শুরু করে এই সুন্দরীর চারপাশ। একের পর এক বিজ্ঞাপন আর নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব আসতে শুরু করে। সর্বপ্রথম জনপ্রিয় নির্মাতা ইফতেখার আহমেদ ফাহমির ‘তুমি থাকো সিন্ধুপারে’ নাটকের মাধ্যমে ছোটপর্দায় অভিষেক ঘটে।
কয়েকটা নাটকের কিছুদিন পর হালে আর পানি পাচ্ছিলেন না। ক্যারিয়ার ঝিমিয়ে গিয়েছিল। আর তারপরেই মেহজাবিন ফিরে আসেন নতুন রূপে। আগের চাইতে অনেক বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে। এবং তারপর আর তাঁকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
নিজের সৌন্দর্য দিয়ে সবাইকে মোহিত করে ইতিমধ্যেই তিনি তৈরি করে ফেলেছেন অসংখ্য ভক্ত। বিশেষ করে ফেসবুকে তার রেকর্ড সংখ্যক ফলোয়ার ও বিশাল ফ্রেন্ডলিস্ট তো রীতিমত সাড়া ফেলার মত। কিন্তু এই মেহেজাবিন কি সেই আগের মেহজাবিনই আছেন? নাকি তার মাঝে এসেছে কোনো পরিবর্তন? তার এই সৌন্দর্য, গায়ের রং, টানা চোখ, মুক্তার মত দাঁত কি আগেও ছিলো? নাকি এসবই বদলে গিয়েছে? আর যদি বদলেই গিয়ে থাকে, তাহলেও কীভাবে সম্ভব সেটা? তবে কি মেহেজাবিনও বলিউডের নায়িকাদের পথেই পা বাড়িয়ে প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে বাড়িয়েছেন নিজের সৌন্দর্য? নাকি কেবলই মেকআপের জাদু? ... গত কিছু সময় ধরেই এমন প্রশ্ন কিংবা সন্দেহ দেখে গেছে অনেকের মনেই। তবে কোন তথ্য প্রমাণ মেলেনি কখনো।
যারা ২০০৯ সালের লাক্স ফটো সুন্দরী প্রতিযোগীতার মেহজাবিনকে যারা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই হয়তো আগের চেহারার সাথে বর্তমানের চেহারা মেলাতে একটু হিমশিমই খান। আগের মেহজাবিনের সাথে বর্তমানের মেহজাবিনের চেহারার যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য। চেহারার গড়ন, চোখ, হাসি, গায়ের রং সব কিছুই কিছুটা আলাদা। বিশ্বাস না হলে নিজেই মিলিয়ে দেখুন ছবি ও ভিডিওতে!
একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন তো! দুজনেই একই মানুষ, কিন্তু চেহারায় আর গায়ের রং-এ কত পার্থক্য।
মেহজাবিনের বর্তমানের টানা টানা ভ্রু কি আগেও ছিলো? দুটি ছবির সাথে মিলিয়ে নিজের চোখেই দেখে নিন মেহজাবিনের চোখ ও ভ্রুয়ের পরিবর্তনটা।
মেহজাবিনের সমসাময়িক সময়ের কিছু ছবিতে তার গায়ের রং এর উজ্জ্বলতাটা হঠাৎ করেই লক্ষ্য করার মত বেড়ে গিয়েছে। এখন যেন মেহজাবিন দুধে আলতা। তবে তিনিও কি বলিউডের কাজল, শিল্পাদের মত মেলানিন সার্জারি করিয়েছেন?
এবার লক্ষ্য করুন মেহেজাবিনের দাঁত আর হাসির দিকে। ২০০৯ সালে মেহেজাবিন যখন লাক্স ফটো সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন তখন তার দাঁত ছিলো বেশ অসমান। সেই অসমান দাঁতগুলোকে একেবারে মুক্তোর মত সমান্তরালে সাজানো দাঁত করে নিয়েছেন মেহেজাবিন। সেই সঙ্গে বদলেছে তার হাসি এবং মুখের আকৃতিও।
মেহজাবিনের চেহারার পরিবর্তনটা আরো ভালো ভাবে লক্ষ্য করতে চাইলে দেখুন লাক্স ২০০৯ সালের প্রতিযোগীতায় মেহজাবিনের অংশগ্রহনের এই ভিডিওটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেবল মেকআপের মাধ্যমে কি চেহারার এতটা পরিবর্তন সম্ভব? সাদামাটা মেহজাবিন কীভাবে বদলে গেলেন এতটা?