আজকাল সম্পর্ক ভাঙনের জন্য খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। খুব সামান্য ব্যাপারেই হুটহাট সম্পর্কে ভাঙন আসতে দেখা যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে ছোটোখাটো বিষয়গুলো আপাত দৃষ্টিতে যতোটা ছোটো মনে হয়, তা আসলেই এতো ছোট হয় না। অনেক সময় এগুলো বড় আকার ধারণ করে ফেলে যা মেনে নিয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেন না অনেকেই।
এর পাশাপাশি ইদানীং মানুষের ধৈর্য অনেক কমে গিয়েছে, ফলে একে অপরকে বুঝে নিয়ে এই ছোটোখাটো বিষয়গুলো মিটমাট করে নেয়ার মতোও কিছু করা সম্ভব হয় না। তাই সম্পর্কে শান্তি চাইলে এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলে এই ব্যাপারগুলো দূর করে দেয়া উচিৎ। জানতে চান কী সেই বিষয়গুলো? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক।
যোগাযোগের অভাব
এই আধুনিক যুগে যেখানে চাইলেই যখন খুশি তখন যোগাযোগ করে নেয়া যায় সেখানে যদি কোনো কারণে দুজনের মধ্যে যোগাযোগের অভাব হয় তাহলে সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। এই ব্যাপারটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে না হলেও এর থেকেই সম্পর্কচ্ছেদ হতে পারে। এই একটি জিনিসের অভাবের ফলে একে অপরকে ঠিকভাবে বুঝে ওঠাও সম্ভব হয় না, যার ফলে সম্পর্কে আসে ভাঙন।
প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার
ডেটে গিয়ে ফোনের পেছনেই সময় বেশি ব্যয় করলেন, সব সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনলাইন থাকেন, ইত্যাদি কারণ খুব বেশি ছোটোখাটো মনে হলেও আসলে তা নয়। প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে ঠিকই কিন্তু সম্পর্কগুলো থেকে দূরে সরে যাওয়ার পথও সুগম করে দিয়েছে। তাই অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
প্রেমিক/প্রেমিকার পরিবারকে গুরুত্ব না দেয়া
অনেকেই মনে করেন যাকে ভালোবাসেন তার সাথেই সম্পর্ক ভালো থাকলে চলবে, অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার একেবারেই প্রয়োজন নেই। কিন্তু এই কাজটি আপনার সম্পর্কে এনে দিতে পারে ভাঙন। আপনি যদি আপনার প্রেমিক/প্রেমিকার পরিবারকে গুরুত্ব না দেন তবে আপনি আপনার ব্যক্তিত্বকে ছোটো করে ফেললেন। এতে করে ঝগড়া এবং সম্পর্কে ভাঙন আসতে দেখা যায়।
প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ থাকা
অনেকেই মনে করেন প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলে কোনো ঝামেলা হবে না। অথবা বন্ধুত্ব নয় সামান্য কুশলাদি বিনিময়ের সম্পর্ক থাকলেও সমস্যা হবে না। কিন্তু এই ছোট্ট ব্যাপারটি আপনার বর্তমানের প্রেমিক/প্রেমিকার মনে শঙ্কা, ভয় এবং বিরক্তির সৃষ্টি করতে পারেন। সুতরাং প্রাক্তন প্রেমিক/প্রেমিকাকে নিজের জীবন থেকে একেবারেই মুছে ফেলুন।
দুজনের লক্ষ্যের মিল না থাকা
‘ধীরে ধীরে সবকিছু মিলে যাবে’ এই ধরণের কথা বইয়ের পাতায় বেশ ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তব জীবনে এটি হওয়া সম্ভব নয়। কারণ দুজনের লক্ষ্য বা চিন্তাধারা তখনই আলাদা থাকে যখন মানুষদুটি একেবারেই আলাদা থেকে থাকেন। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কিছুটা হলেও লক্ষ্যে মিল থাকা প্রয়োজন।
ছোটোখাটো ব্যাপারে সন্দেহ করা
আপনি যখন আপনার সঙ্গীকে কোনো কারণে সন্দেহ করছেন তখন প্রকৃতপক্ষে তাকে অপমান করা হচ্ছে। কারণ ভালোবাসার মূল ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। আপনি যখন এই বিশ্বাসটুকুই করতে পাড়ছেন না আপনার সঙ্গীকে সেখানে সম্পর্ক রাখা আসলেই সম্ভব হয় না। এবং এই ছোটোখাটো ব্যাপারে সন্দেহ করা আপাত দৃষ্টিতে ছোটো মনে হলেও এটি কোনো ছোটো বিষয় নয়।