আর মাত্র কদিনের অপেক্ষা, তারপরই জমে উঠবে শারদীয় দুর্গাপূজা। আর পূজা মানেই খুব খাওয়া দারুণ সাজ, ঝলমলে আলোর সাজ, নাচ, গান আরও কত কী! আপনি প্রস্তুতি নিয়েছেন তো পূজার? কেমন রাঁধবেন, কই ঘুরবেন ইত্যাদি তো ভেবে ফেলেছেন নিশ্চয়ই। কীভাবে সাজবেন, স্টাইল কেমন হবে সেগুলো ভেবেছেন কী?
পূজার জন্য লাল-সাদা একটি ট্রাডিশনাল রঙ। এর বাইরে এখন তো সব ধরনের রঙই ব্যবহার হচ্ছে। যেহেতু এখন শরৎকাল তাই নীল রঙটা থাকতেই পারে। এর পাশপাশি মেরুন, সবুজ. ব্রাউন রঙও বেছে নেয়া যায়।
যারা একটু পোশাক সচেতন, তারা বরাবরই চেষ্টা করেন নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে। এই মানুষগুলো ইচ্ছে করলেই পূজার পাঁচটি দিন নিজের সুবিধা মতো ভাগ করে নিতে পারেন। পাঁচটি দিনে পরতে পারেন নিজের পছন্দ মতো পোশাক।
যারা একটু পোশাক সচেতন, তারা বরাবরই চেষ্টা করেন নিজেকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে। এই মানুষগুলো ইচ্ছে করলেই পূজার পাঁচটি দিন নিজের সুবিধা মতো ভাগ করে নিতে পারেন। পাঁচটি দিনে পরতে পারেন নিজের পছন্দ মতো পোশাক।
তবে এ ক্ষেত্রে একটু সচেতন হওয়াটা খুবই জরুরি।
কেননা আমাদের দেশে পূজার সময় কখনও বৃষ্টি হয় আবার কখনও দেখা যায় রোদ ঝলমল আকাশ। তাই এক্ষেত্রে আপনি যে পোশাকই পরেন না কেন, আপনার উচিত আবহাওয়ার কথা মাথায় রাখা। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি পূজার পাঁচটি দিনকে দুই ভাগে ভাগ করে নেন তাহলে।
দিনের বেলাটা সাধারণত একটু গরম থাকে। তাই মণ্ডপে থাকার সময় ছেলেরা ইচ্ছে হলেই পরতে পারেন সুতির পাঞ্জাবি কিংবা ফতুয়া। পূজার ক্ষেত্রে ধুতি-পাঞ্জাবি-উত্তরীয় পুরুষদের জন্য ট্রাডিশনাল পোশাক হলেও আজকালকার তরুণরা শুধু এর ভেতরেই আবদ্ধ থাকতে চাইছেন না। তাদের জন্য থাকছে টিশার্ট, শার্ট, প্যান্ট ও জ্যাকেট।
মেয়েরা দিনের বেলা একটু কম জাঁকজমক জামা পরাই ভালো। তাই মেয়েরাও সপ্তমী কিংবা অষ্টমীর দিন পরতে পারেন সুতির কোনো সালোয়ার কামিজ। তবে আরেকটা কাজ করলেও মন্দ হয় না। পছন্দ মতো ড্রেসের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন পূজার দিনগুলো। যেমন সপ্তমীর দিন ওয়েস্টার্ন ড্রেস, অষ্টমীর দিন বাঙালি কিংবা নবমীর দিন মাড়োয়ারি। এভাবে যদি পছন্দমতো ড্রেসের সঙ্গে পূজার দিনগুলো ভাগ করে নেয়া যায় তাহলে পোশাক সচেতনরা আরও বেশি সুন্দর করে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারেন।
মেয়েরা যদি উৎসবের দিনগুলোতে শাড়ি পরতে চান, তাহলে রাতের বেলা শাড়ি পরাটাই বেশি উত্তম। শাড়ি পরার মাঝেও ইচ্ছে হলে আপনি পরিবর্তন আনতে পারেন। এক পেঁচে কিংবা কুঁচি দিয়ে কিংবা একেক দিন একেক স্টাইলে শাড়ি পরে নিতে পারেন ব্যতিক্রমধর্মী সব লুকস। রাতে বাইরে যাওয়ার সময় জমকালো সাজেই ভালো লাগবে। বেছে নিতে পারেন চওড়া পাড়ের কাতান শাড়ি। সঙ্গে সোনা বা রুপার গয়না। হাতভর্তি চুড়ি।
চুলের স্টাইলেও আনতে পারেন পরিবর্তন। এ পাঁচ দিন একরকম চুলের স্টাইল না রেখে একেক দিন একেকভাবে চুলের স্টাইল করতে পারেন। মন- অষ্টমীর অঞ্জলি দেয়ার সময় শাড়ির সঙ্গে মানাবে ঘাড়ের কাছে আলগা হাতখোঁপা। কিন্তু খোঁপায় যদি সাদা রঙের গাজরার মালা বা বেলি ফুলের মালা না থাকে, তাহলে পুরো সাজটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আবার নবমী ও দশমীর দিনে বা রাতের পার্টিতে গর্জিয়াস কাতান শাড়ি যদি পরেন, তাহলে চুলে হালকা কার্ল বা খোঁপাও করে নিতে পারেন।
পূজায় দিনের বেলায় সিম্পল থাকলেও রাতের বেলা একটু জাঁকজমক সাজলে মন্দ লাগবে না। রাতের বেলা একটু জাঁকজমক শাড়ি কিংবা ছেলেরা যদি একটু কাজ করা পাঞ্জাবি কিংবা শেরওয়ানি পরেন তাহলে দারুণ মানাবে। আর কেউ যদি দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে পরতে পারেন জিন্সের সঙ্গে ফতুয়া কিংবা টি-শার্ট। মেয়েরা যদি ওয়েস্টার্ন লুকস নিয়ে থাকেন তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন রকম হ্যাটস।
পূজায় দিনের বেলায় সিম্পল থাকলেও রাতের বেলা একটু জাঁকজমক সাজলে মন্দ লাগবে না। রাতের বেলা একটু জাঁকজমক শাড়ি কিংবা ছেলেরা যদি একটু কাজ করা পাঞ্জাবি কিংবা শেরওয়ানি পরেন তাহলে দারুণ মানাবে। আর কেউ যদি দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে পরতে পারেন জিন্সের সঙ্গে ফতুয়া কিংবা টি-শার্ট। মেয়েরা যদি ওয়েস্টার্ন লুকস নিয়ে থাকেন তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন রকম হ্যাটস।
বাঙালিদের কাছে পূজা মানেই একটা অন্যরকম আনন্দ, একটু অন্যরকম অনুভূতি। আপনার এ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে একটু ভিন্নভাবে পোশাক পরিধান আর একটু ভিন্নভাবে রুচিশীল সাজের কোনো বিকল্প নেই। তাই একটু পোশাক সচেতন হলেই আপনিও হতে পারেন অনেকের মধ্যে অনন্য।
ছবি কৃতজ্ঞতা- অঞ্জনস