সাময়িকী.কম 

সারাদিন অনেক পরিশ্রমের পরে স্বভাবতই আমাদের শরীরের প্রয়োজন হয় বিশ্রামের। পরবর্তী দিনের জন্য নতুন করে দেহে এনার্জি জমাতে আমাদের প্রয়োজন বিশ্রামের। আর সে কারণেই আমাদের রাতে একটি সুখ নিদ্রার প্রয়োজন।

কিন্তু নানা কারনেই অনেকের রাতের এই শান্তির ঘুম নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেটা হতে পারে নিজের ভুলের জন্য অথবা আশেপাশের মানুষের জন্য কিংবা পরিবেশের কারণে। কারণ যাই হোক না কেন, আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই খুঁজে নিতে হবে একটি শান্তির ঘুম ঘুমানোর উপায়গুলো। তাহলে দেখে নেয়া যাক সেই কাজের তালিকাকে যা আপনার চোখে এনে দেবে শান্তির ঘুম।

একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন

একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস সুখ নিদ্রার জন্য অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আপনি প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাবেন। এমন কিছু করুন যেন একটি নির্দিষ্ট সময় ও তার কাছাকাছি আপনি ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। এতে ঘুম গভীর হবে।

রাতের খাবারের ঠিক পর পরই ঘুমাতে যাবেন না

খাওয়ার পর খানিকটা সময়ের প্রয়োজন হয় খাবার হজম হতে। ততোটা সময় আপনার শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন, ঘুমের নয়। তখন ঘুমাতে গেলে ঘুম আসবে না অনেকটা সময় এবং পাশাপাশি খাবার হজমে সমস্যা হবে। তাই রাতের খাওয়ার পর ২/৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যান।

বিকেলের পর থেকে চা/কফি পান বন্ধ করুন

চা/কফির ক্যাফেইন অনেকটা সময়ের জন্য দেহ ও মস্তিষ্ককে সতেজ ও চাঙা রাখতে সহায়তা করে। তাই রাতে ভালো একটি ঘুমের জন্য বিকেলের পর একেবারেই চা/কফি পান করতে যাবেন না।

একই সময় ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন

একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস আপনার রাতে সঠিক সময়ে ঘুম আসার সহায়তা করবে। ছুটি পেলে যদি দেরি করে ঘুম থেকে উঠে নিজের সময়ের হেরফের করেন তবে ঘুম নষ্ট হবে আপনারই।

সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম করুন

সুনিদ্রার জন্য দেহের পরিশ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি যদি সারাদিনে অনেক কাজ করে দেহকে পরিশ্রান্ত করেন তবে এটির প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনার শারীরিক পরিশ্রম না করা হয়ে থাকে তবে সন্ধ্যাবেলা ব্যায়াম করে দেহকে পরিশ্রান্ত করে নিতে পারেন। এতে রাতে ভালো ঘুম হবে।

বিছানা ও তার আশেপাশে কম জিনিসপত্র রাখুন

বিছানায় শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বালিশ ও চাদর রাখুন এবং শোবার ঘর যতোটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। এতে ঘুম ভালো হবে। ঘরে এবং বিছানায় যতো জিনিস বেশি থাকবে ততো ঘরটি ঠাণ্ডা হতে বেশি সময় নেবে। এতে ঘুমে সমস্যা হবে।

অন্ধকার ঘরে ঘুমুতে যান

আলোর মধ্যে ঘুম ভালো হয় না এবং দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ঘুমাতে যান অন্ধকার ঘরে। এতে ঘুম ভালো হবে। যদি একেবারে অন্ধকার ঘরে ঘুমাতে না পারেন তবে খুব কম আলোর ডিম লাইট জ্বালাতে পারেন।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.