হাল সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় জুটি অনন্ত-বর্ষাকে কে না চেনে বলুন? পর্দার এই জনপ্রিয় জুটি বাস্তব জীবনেও সফল দম্পতি। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছিলো তাদের তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী। আর সেই উপলক্ষে কাছের মানুষদেরকে নিয়ে বেশ আনন্দেই সময় কাটিয়েছেন এই যুগল। আর এই বিবাহ বার্ষিকীটা তাদের জন্য একটু বিশেষই বটে। কারণ বর্ষা মা হতে চলেছেন। সম্প্রতি ফেসবুকে অনন্ত তার গর্ভবতী স্ত্রীর সাথে বিবাহ বার্ষিকীর কেক কাটার ভীষণ মিষ্টি কিছু ছবি আপলোড করেছেন। দেখুন সেই মিষ্টি ছবি গুলো আর সেই সঙ্গে জেনে নিন তাদের রূপকথার মতো প্রেম কাহিনীটি।
ঠিক যেন রূপকথার গল্পের রাজপুত্র আর রাজকন্যার মতোই অনন্ত বর্ষার পরিচয় হয়েছিলো। একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম দুজনের পরিচয়। বর্ষার প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে গিয়েছিলো অনন্তকে। আর তাই অনন্তের সাথে যোগাযোগ করতেও বিলম্ব করেন নি তিনি। সেই থেকে নিয়মিত ফোনে কথা বলা, ঘোরাফেরা, একসঙ্গে আইসক্রিম খাওয়া, সিনেমা দেখা শুরু হয়ে গিয়েছিলো। ধীরে ধীরে সম্পর্কটি বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে পরিণত হলো। দুজনই অনুভব করলেন তারা একে অপরের জন্য ‘পারফেক্ট’।
অনন্ত একটু লাজুক স্বভাবের। আর তাই ভালোবাসার কথাগুলো মুখ ফুটে বর্ষাকেই বলতে হয়েছিলো। অনন্তও নিজের মনের মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসার প্রস্তাব পেয়ে খুশিতে ডগমগ। এভাবেই শুরুটা হয়েছিলো তাদের প্রেম কাহিনীর।
বর্ষার মডেলিং করার ইচ্ছা ছিলো। অনন্ত সুযোগ করে দিলেন বর্ষাকে মডেলিং করার। বর্ষার মেধাকে আরো ভালো করে সবার সামনে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে নিজের সিনেমার নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব দিলেন অনন্ত। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জন্ম হলো সফল এক জুটির।
অতঃপর বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করলেন অনন্ত বর্ষা। ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঘরোয়া পরিবেশে কাছের মানুষদেরকে নিয়ে আকদ করা হলো। তার অল্প কিছুদিন পরেও ঘটা করে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান হলো তাদের। বর্ষার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে হেলিকপ্টারে চড়ে আসলেন অনন্তকে। পুরো গ্রামবাসীকে মুগ্ধ করে নিজের স্বপ্নের রাজকন্যাকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিয়ে আসলেন অনন্ত। এই দারুণ বিয়ের খবর তখন ছেপেছিলো জনপ্রিয় সব পত্রিকাতেও।
বিয়ের পর তারা হানিমুন করেছেন বিশ্বের সবচাইতে দামি হানিমুন স্পটগুলোতে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং স্পেনের নানান স্থান ঘুরেছেন দুজনে মিলে। আজও সে সব মধুর স্মৃতিচারণ করেন মিষ্টি এই দম্পতি।