হুট করেই ঠাণ্ডা-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে শহরে। টানা দীর্ঘমেয়াদী জ্বর, সাথে গলা ব্যথা ও কাশি, মাথা ব্যথা, শরীরের যন্ত্রণা। খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব। একবার হলে ৮/১০ দিন না ভুগিয়ে যাচ্ছেন না। এরপরেও শরীর থাকছে দুর্বল। সাথে মাথা ঘোরানোর মত সমস্যাও আছে। আপনারও কি হয়েছে এমন? এই মৌসুমি ঠাণ্ডা-জ্বরে একটু সুস্থ থাকার উপায় আজ বাতলে দিচ্ছে প্রিয় ডট কম।
আসুন, জানি বিস্তারিত।
প্রচুর তরল খাবার
জ্বরের প্রধান ও প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে প্রচুর তরল খাবার খাওয়া। পানি তো পান করবেনই, সাথে গরম স্যুপ, আদা চা, জুস ইত্যাদি পান করুন। গরম পানীয়তে আপনার কাশিটাও নিয়ন্ত্রণে আসবে। এবং আদা চায়ের মত পানীয় গলা ব্যথা ও মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়ক হবে।
শক্তিবর্ধক খাবার খান
মুখে অরুচি, কিছুই ভালো লাগে না? চেষ্টা করুন শরীরের বল যোগায় এমন খাবার খেতে। তাতে অল্প খেলেও শরীরের উপকার হবে। বাচ্চা মুরগির স্যুপ বা ঝোল, ডিম, মাছের ঝোল দিয়ে ভাত, দুধ ইত্যাদি কষ্ট করে হলেও খান। দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। বিশেষ করে বাচ্চা মুরগির স্যুপটা খুবই কাজে দেবে।
হলুদ দুধে দূর হবে জ্বর
এক গ্লাস দুধ নিন, তাতে এক ইঞ্চি সাইজের কাঁচা হলুদ টুকরো করে ফেলে দিন। এবার জ্বাল দিন। মিনিট পাঁচেক পর হলুদ ফেলে দিয়ে চিনি বা মধু মিশিয়ে এই দুধ পান করুন। দ্রুত জ্বর নিরাময় হবে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সাথে শরীরের ব্যথাটাও দূর হবে।
প্রয়োজন ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেনট
যে কোন অসুখে দূর করতেই অ্যান্টিঅক্সিডেনট ও ভিটামিন সি এর যোগান শরীরের থাকা চাই। যদি অসুখে ভিটামিন ফলমূল খাওয়া ছেড়ে দেন, তাহলে চলবে না মোটেও। বরং অনেকটা বেশী খেতে হবে। প্রচুর ফলমূল ও সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো মুখে ভালো না লাগলে আমলকী, লেবু, কাঁচামরিচ ইত্যাদি হলেও খান।
চাই বিশ্রাম ও ঘুম
অসুখ নিয়ে কাজ করছেন? একেবারে করবেন না। একটু খানি বিশ্রাম করুন। এই বিচ্ছিরি ঠাণ্ডা জ্বর বিশ্রাম না নিলে সারবে না।
ঠাণ্ডা-গরম লাগানো চলবে না মোটেই
গোসল করে খুব ভালো করে চুল শুকিয়ে নিন। এসি থেকে গরমে বা গরম থেকে এসিতে যাওয়া চলবে না। ঘামে ভেজা কাপড় ও চুল নিয়ে থাকা চলবে না একদম। হাঁচির সমস্যাও থাকছে এইসময়ের জ্বরে। তাই পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করুন, সেই রুমালে আবার চোখ মুছবেন না যেন!
দ্রুত নিরাময় হোক রোগ। শুভকামনা!
ছবি কৃতজ্ঞতা- প্রথম আলো