চিন্তার
ব্যাকরণ
মেঘবালিকা, কোন এক
ব্যাকরণিক সন্ধ্যায় তোমার শরীর জুড়ে প্রজাপতির অলস দুপুর আল্পনার রঙ তুলিতে অন্য
সাজে; তখন মনের গেরস্থালিতে জ্যামেতিক অঙ্ক কষে চিন্তার ব্যাকরণ। পুরাণ ঘেটে চলে
মেঘের সওদা, মন খারাপ করা প্রজাপতির আগমনী গানে আকাশ বিক্রি হয় নক্ষত্রের দামে।
মেঘবালিকা, তুমি তবু মহাকালের প্রেমিকা- প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের।
গভীর
ঘুমে
সভ্যতার পিঠে সুতো বেয়ে নামে পুরনো আলোর মিছিল,
নৈতিকতার হসপিটালে প্রগতিশীলতার চেতনা মুমূর্ষু থেকে মুমূর্ষুতর; রাষ্ট্রীয় লোমকুপে
অন্ধকার জমাট বাঁধে, শিরা উপশিরায় শতাব্দীর নিংড়ানো বাত। বৈশ্বিক
জোয়ারে আদর্শের গর্জন কিন্তু রাষ্ট্র এখনো গভীর ঘুমে।
একটুকরো
বাদামী প্রেম
প্রত্যাশার ওয়াডড্রফে ভ্যাঁপাসে ছত্রাকের
বিস্তৃত পরিসর থেকে পুরাতন পাংশুটে স্বপ্ন বেরিয়ে নতুনের পথে, দূর দিগন্তে সোনালি
আলোর ক্যানভাসে একটুকরো বাদামী প্রেম অদ্ভুত কুয়াশার চাদরে নৈঃশব্দে ও
অস্তিত্বের মুখোমুখি।
কাব্যসুধা
বিকিনি পড়া সময়ের পাদপৃষ্ঠে কাকঘুম স্বপ্নের
নির্যাস পান করে গোপন সৌন্দর্য সৃষ্টির পথে উন্মুখ- শব্দ সমুদ্রে তোমার চুম্বনের
তরী আল্পনার তিলক আঁকে; কালের খাণ্ডব দাহন ছুঁয়েও ভাবের রাজপথে উসখুস মিছিলের
প্রেম বৃন্দাবন, কাশি, গয়া হয়ে ফিরতি পথে। প্রকৃতির জৌলুস্য পান করে তৃপ্তির বাসরে উন্মুখ আঁখি- সভ্যতার কাদামাটিতে লেপ্টে আছে
তোমর তৃতীয় বিশ্বের মত মন। কাব্যের সুধাপানে ক্রমাগতই গর্ভবতী তোমার চোখ-
অন্যরকম সাজে।
বিক্ষিপ্ত
আলো
পোয়াতি শব্দের খেয়াঘাটে বিকিনি পড়া রাজনীতির
মৃদু উল্লাস, সৈরাচারের পৃষ্ঠতলে চাপা সুতো দিয়ে বানানো জোৎস্নাজল; বাগ্মিতার
রঙ্গমঞ্চে অতৃপ্ততার ঢেঁকুর অবগাহন, প্রাগৈতিহাসিক চেতনার প্রচ্ছদ জুড়ে নগ্ন
ক্ষমতার পূজোর অদ্ভূত আল্পনা - উন্নয়নের জোয়ারে গর্ভবতী দেশ, বিকলাঙ্গতার
দ্বারপ্রান্তে বহুল প্রত্যাশিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রীয় চিন্তায়
মাৎস্যন্যায় ভিন্ন সাজে; অদূরে অস্তরেখায় নৈতিকতার বিক্ষিপ্ত আলো, কেবলি নিভু
নিভু।
নির্ভেজাল
ভবিষ্যৎ
উলঙ্গ শব্দের সুইমিং পুলে নির্বাক স্বপ্নের
বিস্তার, নির্ঘুম রাত ভক্ষণ করে প্রত্যাশা শীষ দেয় ভাবের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে;
বোবা রাজনীতির বিষাক্ত সরাইখানায় সোনালি ভবিষ্যৎ কুঁকড়াতে কুঁকড়াতে চিৎপটাং,
সভ্যতার তলপেটে লাইসেন্স বিহীন উইপোকার আবাসন মেলা- তবুও যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের
মৌলিক আল্পনায় তিলক আঁকে নির্ভেজাল ভবিষ্যৎ।
প্রেমের শুদ্ধাশুদ্ধি
অন্ধকার চিবুতে চিবুতে পুরাণের ভিতর প্রেমের শুদ্ধাশুদ্ধি, কামের গন্ধ মুছে বিশ্বস্ত শব্দগুচ্ছেরা আবারও পুরাণের সমুদ্রে, নিরেট কথার ওলানে মধুর বৃষ্টি; সভ্যতার দর্পণে প্রত্যাশার ভ্যাঁপাসে গন্ধের নীলগালিচায় প্রেমের বোঁটাশুদ্ধ শুকনো
আমসি বুক রূপ-রস-গন্ধহীন।
সততার রোদ
সময়ের শিশ্নে ভক্তি করে রাজনীত ঘুমায় কুৎসিত
উল্লাসের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়। চক্ষু
লজ্জার ভেতরে আরণ্যক সোঁদা গন্ধ; নৈতিকতার ন্যাংটো মাঠে সততার রোদ কঁকিয়ে কাঁদে
শতাব্দী থেকে শতাব্দিকাল।
স্বপ্নের বুনট
অসুস্থ রাজনীতির ওলান ভরা প্রাগতৈহাসিক চিন্তার
পসরা, বিকিনি পড়া অন্ধকারের দৌরাত্মে মধ্যবিত্তের মধ্যবিন্দু অনাদিকাল থাকে
ব্যাকরণিক নিয়মের বাইরে। সব পরিচিত মুখই মুখোশের পঠনপাঠনে সিদ্ধ, শান্তির ব্যাংকে প্রত্যাশিত স্বপ্নের বুনট রাজনৈতিক মুক্তির অন্তরালে অন্যরকম।
মুনশি
আলিম
টিলাগড়, সিলেট