সাময়িকী.কম
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর এই প্রথম বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে বাংলাদেশ ভারতের দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত সিটমহল চুক্তির আনুষ্ঠানিক নিস্পত্তি হয়েছে।
দুদেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়। ঠিক যেভাবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছিটমহলবাসী পাবে কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক হওয়ার তকমা, ঠিক তেমনি পরিবর্তন হয়ে যাবে দুদেশের মানচিত্রের।
আর তাই উত্টরাধিকার সূত্রে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত বিভাগের পর থেকেই যেই মানচিত্রের আকার বাংলাদেশের (স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পূর্ব পাকিস্তান) ছিলো, সেটি এখন নতুন আকার পাবে। ৬৮ বছর পর কিছু নতুন ভূমি যুক্ত হচ্ছে আর ছেড়েও দিতে হচ্ছে কিছু। ফলে মানচিত্রেরও একটি পরিবর্তন আসবে। কেমন হবে সেই মানচিত্রের আকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানারেখায় পরিবর্তন আসবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আগে ছিটমহলগুলো সুষ্ঠুভাবে বিনিময় হোক, এরমধ্যে সীমানা পূর্নাঙ্গভাবে নির্ধারিত হবে। মানচিত্রে তো পরিবর্তন আসবেই। ছিটমহলের ভূমি যুক্ত হলে একটু পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল জলিল বলেন, দুদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বিনিময়ের ফলে কোথাও ভারতের সীমানারেখা বাংলাদেশের বর্তমান সীমানার ভেতর ঢুকে যাবে। আবার ঠিক উল্টো ঘটনাও ঘটবে। এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আয়তন কত হচ্ছে তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব না। কেননা অধিদপ্তর এখনো দলিল হাতে পায়নি। দলিল পাওয়ার পর সীমানা পিলার স্থাপনের পরই নিখুঁতভাবে আয়তন জানানো যাবে।’
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক পুস্তিকার মুহুরী নদী (বিলোনিয়া) সেক্টর শিরোনামে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সীমানা পিলার (২১৫৯/৪৮-এস) থেকে সীমানারেখা আরো পশ্চিম দিকে টেনে ১৯৭৭-৭৮ সালের যৌথ সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি মুহুরী নদী এলাকার নকশায় প্রদর্শিত বার্নিংঘাটের দক্ষিণ সীমায় গিয়ে মিলবে। এরপর তা উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে বার্নিংঘাটের বাইরের সীমা বরাবর গিয়ে বর্তমান মুহুরী নদীর কেন্দ্রে মিশবে। এটি আবার বিদ্যমান মুহুরী নদীর মধ্যস্রোত বরাবর গিয়ে ২১৫৯/৩-এস সীমান্ত পিলার পর্যন্ত যাবে। এটি হবে স্থায়ী সীমানা। তৃতীয় অংশে ‘লাঠিটিলা ও ডুমাবাড়ি’ শিরোনামে রেডক্লিফের আঁকা সীমানারেখা ১৩৯৭ নম্বর পিলার থেকে সোজা দক্ষিণে ডুমাবাড়ি, লাঠিটিলা ও বড় পুটনিগাঁও মৌজার লোহার ব্রিজ পর্যন্ত এবং এরপর তা দক্ষিণ দিকে পুটনিছড়া বরাবর সিলেট-ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত (পিলার নম্বর ১৮০০) টানার কথা বলা হয়েছে।
চতুর্থ অংশে দইখাতা ৫৬ (পশ্চিমবঙ্গ-জলপাইগুড়ি)/পঞ্চগড় শিরোনামে বলা হয়েছে, এই অংশের স্থায়ী সীমান্তরেখা ১৯৯৭-৯৮ সালের জরিপ অনুযায়ী দইখাতা-৫৬-এর সীমানা বরাবর ৪৪৪/৬ নম্বর সীমান্ত নকশায় (স্ট্রিপ শিট) বিদ্যমান ৭৭৪/৩২-এস সীমান্ত পিলার থেকে শুরু হবে। এরপর তা দইখাতা-৫৬-এর (পূর্ব থেকে পশ্চিম) দক্ষিণ সীমানা অনুসরণ করে ১৮ নম্বর পয়েন্ট পর্যন্ত যাবে।
বোসমারী-মাধুগারি (কুষ্টিয়া-নদীয়া) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপ ও ২০১১ সালের জুন মাসে দুই দেশের সম্মতি অনুযায়ী, এ সীমান্ত ১৯৬২ সালের মানচিত্র অনুসারে ১৫৪/৫-এস সীমানা পিলার থেকে শুরু করে মাথাভাঙ্গা নদীর পুরনো ধারা অনুসরণ করে ১৫১/১-এস নম্বর সীমান্ত পিলারে গিয়ে মিশবে।
চর মহিষকুন্ডি (কুষ্টিয়া-নদীয়া) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপ ও ২০১১ সালের জুনে উভয় দেশের সম্মতির ভিত্তিতে এ এলাকার সীমানারেখা বিদ্যমান সীমান্ত পিলার ১৫৩/১-এস থেকে টেনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীর বরাবর ১৫৩/৯-এস নম্বর সীমান্ত পিলার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।
বেরুবাড়ী (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১৯৯৬-১৯৯৮ সালে যৌথভাবে চিহ্নিত সীমান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের অপদখলে থাকা বেরুবাড়ী (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) এবং ভারতের অপদখলে থাকা বেরুবাড়ী ও সিংঘাপাড়া-খুদিপাড়ার (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) সীমানারেখা আঁকা হবে। প্রটোকলের অপদখলীয় ভূমি অংশে মেঘালয় সেক্টরের ছয়টি এলাকার উল্লেখ রয়েছে।
ডাউকি/তামাবিল এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১২৭৫/১-এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ১২৭৫/৭-এস নম্বর সীমান্ত পর্যন্ত সীমান্তরেখা আঁকা হবে। উভয় পক্ষ এ সীমান্তের শূন্যরেখায় বেড়া দেয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে। মুক্তাপুর-ডিবির হাওর এলাকা প্রসঙ্গে প্রটোকলে বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকরা এ এলাকার কালীমন্দির পরিদর্শন করতে পারবেন। এছাড়া মুক্তাপুর এলাকার পাড় থেকে মুক্তাপুর/ডিবির হাওর এলাকার জলসীমানা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা পানি উত্তোলন ও মাছ ধরতে পারবেন। সূত্র : চাদপুর কন্ঠ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর এই প্রথম বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে বাংলাদেশ ভারতের দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত সিটমহল চুক্তির আনুষ্ঠানিক নিস্পত্তি হয়েছে।
দুদেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়। ঠিক যেভাবে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ছিটমহলবাসী পাবে কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিক হওয়ার তকমা, ঠিক তেমনি পরিবর্তন হয়ে যাবে দুদেশের মানচিত্রের।
আর তাই উত্টরাধিকার সূত্রে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত বিভাগের পর থেকেই যেই মানচিত্রের আকার বাংলাদেশের (স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পূর্ব পাকিস্তান) ছিলো, সেটি এখন নতুন আকার পাবে। ৬৮ বছর পর কিছু নতুন ভূমি যুক্ত হচ্ছে আর ছেড়েও দিতে হচ্ছে কিছু। ফলে মানচিত্রেরও একটি পরিবর্তন আসবে। কেমন হবে সেই মানচিত্রের আকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চুক্তিটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানারেখায় পরিবর্তন আসবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আগে ছিটমহলগুলো সুষ্ঠুভাবে বিনিময় হোক, এরমধ্যে সীমানা পূর্নাঙ্গভাবে নির্ধারিত হবে। মানচিত্রে তো পরিবর্তন আসবেই। ছিটমহলের ভূমি যুক্ত হলে একটু পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল জলিল বলেন, দুদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বিনিময়ের ফলে কোথাও ভারতের সীমানারেখা বাংলাদেশের বর্তমান সীমানার ভেতর ঢুকে যাবে। আবার ঠিক উল্টো ঘটনাও ঘটবে। এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আয়তন কত হচ্ছে তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব না। কেননা অধিদপ্তর এখনো দলিল হাতে পায়নি। দলিল পাওয়ার পর সীমানা পিলার স্থাপনের পরই নিখুঁতভাবে আয়তন জানানো যাবে।’
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক পুস্তিকার মুহুরী নদী (বিলোনিয়া) সেক্টর শিরোনামে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সীমানা পিলার (২১৫৯/৪৮-এস) থেকে সীমানারেখা আরো পশ্চিম দিকে টেনে ১৯৭৭-৭৮ সালের যৌথ সমীক্ষার ভিত্তিতে তৈরি মুহুরী নদী এলাকার নকশায় প্রদর্শিত বার্নিংঘাটের দক্ষিণ সীমায় গিয়ে মিলবে। এরপর তা উত্তর দিকে বাঁক নিয়ে বার্নিংঘাটের বাইরের সীমা বরাবর গিয়ে বর্তমান মুহুরী নদীর কেন্দ্রে মিশবে। এটি আবার বিদ্যমান মুহুরী নদীর মধ্যস্রোত বরাবর গিয়ে ২১৫৯/৩-এস সীমান্ত পিলার পর্যন্ত যাবে। এটি হবে স্থায়ী সীমানা। তৃতীয় অংশে ‘লাঠিটিলা ও ডুমাবাড়ি’ শিরোনামে রেডক্লিফের আঁকা সীমানারেখা ১৩৯৭ নম্বর পিলার থেকে সোজা দক্ষিণে ডুমাবাড়ি, লাঠিটিলা ও বড় পুটনিগাঁও মৌজার লোহার ব্রিজ পর্যন্ত এবং এরপর তা দক্ষিণ দিকে পুটনিছড়া বরাবর সিলেট-ত্রিপুরা সীমান্ত পর্যন্ত (পিলার নম্বর ১৮০০) টানার কথা বলা হয়েছে।
চতুর্থ অংশে দইখাতা ৫৬ (পশ্চিমবঙ্গ-জলপাইগুড়ি)/পঞ্চগড় শিরোনামে বলা হয়েছে, এই অংশের স্থায়ী সীমান্তরেখা ১৯৯৭-৯৮ সালের জরিপ অনুযায়ী দইখাতা-৫৬-এর সীমানা বরাবর ৪৪৪/৬ নম্বর সীমান্ত নকশায় (স্ট্রিপ শিট) বিদ্যমান ৭৭৪/৩২-এস সীমান্ত পিলার থেকে শুরু হবে। এরপর তা দইখাতা-৫৬-এর (পূর্ব থেকে পশ্চিম) দক্ষিণ সীমানা অনুসরণ করে ১৮ নম্বর পয়েন্ট পর্যন্ত যাবে।
বোসমারী-মাধুগারি (কুষ্টিয়া-নদীয়া) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপ ও ২০১১ সালের জুন মাসে দুই দেশের সম্মতি অনুযায়ী, এ সীমান্ত ১৯৬২ সালের মানচিত্র অনুসারে ১৫৪/৫-এস সীমানা পিলার থেকে শুরু করে মাথাভাঙ্গা নদীর পুরনো ধারা অনুসরণ করে ১৫১/১-এস নম্বর সীমান্ত পিলারে গিয়ে মিশবে।
চর মহিষকুন্ডি (কুষ্টিয়া-নদীয়া) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপ ও ২০১১ সালের জুনে উভয় দেশের সম্মতির ভিত্তিতে এ এলাকার সীমানারেখা বিদ্যমান সীমান্ত পিলার ১৫৩/১-এস থেকে টেনে মাথাভাঙ্গা নদীর তীর বরাবর ১৫৩/৯-এস নম্বর সীমান্ত পিলার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে।
বেরুবাড়ী (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১৯৯৬-১৯৯৮ সালে যৌথভাবে চিহ্নিত সীমান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের অপদখলে থাকা বেরুবাড়ী (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) এবং ভারতের অপদখলে থাকা বেরুবাড়ী ও সিংঘাপাড়া-খুদিপাড়ার (পঞ্চগড়-জলপাইগুড়ি) সীমানারেখা আঁকা হবে। প্রটোকলের অপদখলীয় ভূমি অংশে মেঘালয় সেক্টরের ছয়টি এলাকার উল্লেখ রয়েছে।
ডাউকি/তামাবিল এলাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ১২৭৫/১-এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ১২৭৫/৭-এস নম্বর সীমান্ত পর্যন্ত সীমান্তরেখা আঁকা হবে। উভয় পক্ষ এ সীমান্তের শূন্যরেখায় বেড়া দেয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছে। মুক্তাপুর-ডিবির হাওর এলাকা প্রসঙ্গে প্রটোকলে বলা হয়েছে, ভারতীয় নাগরিকরা এ এলাকার কালীমন্দির পরিদর্শন করতে পারবেন। এছাড়া মুক্তাপুর এলাকার পাড় থেকে মুক্তাপুর/ডিবির হাওর এলাকার জলসীমানা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা পানি উত্তোলন ও মাছ ধরতে পারবেন। সূত্র : চাদপুর কন্ঠ