রফিকুল ইসলাম সাগর 
সাময়িকী.কম

মালয়েশিয়ায় এস এস সি পরীক্ষা দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ছুটি থাকে তিন মাস। এই তিন মাস তারা ঘরে বসে থাকেনা। বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত একটি প্রশিক্ষণে যেতে হয় তাদের। এই প্রশিক্ষণ নাকি সবার জন্য বাধ্যতা মূলক। কেউ যেতে না চাইলে বিশাল অংকের জরিমানা ও অভিভাবকে লিখত জবানবন্দি দিতে। না যাওয়াটা অনেক ঝামেলার। তিন মাসের এই প্রশিক্ষণে তাদের কাজ কর্ম শিখানো হয় এবং এই প্রশিক্ষণ নাকি আর্মির প্রশিক্ষণের মতই। মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমী করে তোলা। এস এস সি পাশ করার পর চাকরি নিশ্চিত। তারপর কেউ যদি আরো পড়াশুনা করতে চায় তাহলে খরচ বহন করে সরকার। উচ্চ শিক্ষার জন্য যদি কেউ বিদেশ যেতে চায় সে খরচও বহন করে সরকার। যে সব শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ে তাদের বছরে তিনটি পরীক্ষা আমাদের দেশের মতই। প্রতিটি পরীক্ষা শেষ করে কেউ ঘরে বসে থাকতে পারেনা। যে কয়দিন ছুটি থাকে অভিভাবক তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পাঠিয়ে দেয়। প্রতিবন্ধীদের চাকরির নিশ্চয়তা সহ পড়া লেখার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে সরকার। 

আমাদের সরকার আমাদের জন্য কি করে? এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে প্রতিবছর পরীক্ষার ফিস না দিতে পারার জন্য এস এস সি পরীক্ষা দিতে পারেনা। প্রতিবন্ধীরা পড়া লেখা করলে কাজের কোনো নিশ্চয়তা নেই। শুধু প্রতিবন্ধী না সবার পড়াশুনার খরচ নিজ অভিভাবককে বহন করতে হয়। অনেক শিক্ষার্থী কোনো রকমে এস এস সি পাশ করলেও পরে টাকার জন্য আর বেশিদূর পড়তে পারেনা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও কাজের কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী যারা দেশের জন্য কিছু করতে চায়,দেশ পরিবর্তনে ভুমিকা রাখতে পারে তারা শেষে কাজ না পেয়ে বিদেশে চলে যায়। যারা মেধাবী বিদেশে ঠিকই তারা তাদের মেধার দাম পায়। আমাদের দেশে তাদের দাম দেয়া হয় না। 
বিভাগ:

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.