জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পরই পুলিশ তাকে খুঁজছে। তবে শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী বাসা ত্যাগ করে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হ্যাপি নামের ১০ কি ১১ বছর বয়সের শিশু। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন। চোখ দু'টো ফুলে আছে। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে মিরপুর ২ নম্বরের স্থানীয় বাসিন্দারা।
'কে তোমার ওপর এমন নির্মম আচরণ করেছে'- প্রশ্ন স্থানীয়দের। জবাবে শিশুটি যা বললো তাতে সবার চোখ কপালে। শিশুটি জানায়, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী। শাহাদাত ও তার স্ত্রী তার ওপর নির্যাতন করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মারধর করে গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে ওই গৃহকর্মীকে। নির্যাতনের ঘটনাটি আড়াল করতে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে জিডি করেন এ ক্রিকেটার।
এ ঘটনায় মিরপুর থানার ওসি মাহবুব হোসেন জানান, 'ক্রিকেটার শাহাদাত রবিবার দুপুরের দিকে থানায় এসে কাজের মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ওই গৃহকর্মী উদ্ধার হয়। গৃহকর্মী হ্যাপি পুলিশের কাছে অভিযোগ করে শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী তার উপর নির্যাতন চালাতেন।
ওসি জানান, এ ঘটনার পর শাহাদাতের মিরপুরের বাসায় পুলিশ গেলে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি, বিষয়টি টের পেয়ে ক্রিকেটার শাহাদাত ও স্ত্রী বাসা ত্যাগ করে চলে যান। তবে তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
পল্লবী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় রাস্তায় দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। রাত ৮টার দিকে কালশী থেকে পল্লবী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মেয়েটি জানায়, সে ক্রিকেটার শাহাদাতের বাসায় কাজ করে। শাহাদাতই তাকে মারধর করেছে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
মিরপুর থানার এসআই আবদুস সালাম জানান, বিকালে ক্রিকেটার শাহাদাত নিজেই থানায় এসে একটি জিডি করেন। নম্বর-৩৬৮। ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাসার কাজের মেয়ে হারিয়ে গেছে। অথচ কয়েক ঘণ্টা পর মেয়েটিকে পল্লবী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ওই শিশুর শরীরের অধিকাংশ স্থানে ফোলা জখম, ডান পায়ে গরম খুনতির দাগ ও দুই চোখের নিচে আঘাতের ফোলা কালচে দাগ দেখা গেছে।
আবদুস সালাম জানায়, মেয়েটিকে নির্যাতনের পর কালশী এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে ক্রিকেটার শাহাদাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন।
মিরপুর থানার এসআই আবদুস সালাম জানান, বিকালে ক্রিকেটার শাহাদাত নিজেই থানায় এসে একটি জিডি করেন। নম্বর-৩৬৮। ওই জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাসার কাজের মেয়ে হারিয়ে গেছে। অথচ কয়েক ঘণ্টা পর মেয়েটিকে পল্লবী থানা পুলিশ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ওই শিশুর শরীরের অধিকাংশ স্থানে ফোলা জখম, ডান পায়ে গরম খুনতির দাগ ও দুই চোখের নিচে আঘাতের ফোলা কালচে দাগ দেখা গেছে।
আবদুস সালাম জানায়, মেয়েটিকে নির্যাতনের পর কালশী এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে ক্রিকেটার শাহাদাতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে মোবাইল ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন।