বেশ কয়েকটি উন্নত দেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দেয়ার আওতা সংকুচিত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আর ঢালাওভাবে অফিসিয়াল পাসপোর্ট পাবেন না।
দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাব অনুযায়ী পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক নিয়োগকৃত প্রথম শ্রেণী (ক্যাডার ও ননক্যাডার) ও দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার বাইরে অন্য কাউকে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দেয়া হবে না। এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব জনবলের কেউ অফিসিয়াল পাসপোর্ট পাবেন না।
রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক সভায় এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনার ওপর বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মুসতাক আহমেদ। সভায় মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, উন্নত দেশগুলোতে সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তো দূরের কথা কর্মকর্তাদের সবাইকে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দেয়া হয় না। যেহেতু এ পাসপোর্টের বিপরীতে দ্রুত ভিসা পাওয়া থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় সেহেতু একটি ধাপ রক্ষা করে শুধু পদস্থ কর্মকর্তারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গড়ে সবাই অফিসিয়াল পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। এমনকি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই সুবিধা ভোগ করেন। এতে করে এ বিশাল ভলিয়ুম দেখে প্রায়ই বিভিন্ন দেশ তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে আসছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, অফিসিয়াল পাসপোর্টের মধ্যে সচিব থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বা লাল রঙের পাসপোর্ট পেয়ে থাকেন। অফিসিয়াল পাসপোর্টের রঙ নীল। এছাড়া অন্যান্য সাধারণ পাসপোর্টের রঙ সবুজ হয়ে থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের দুধরনের পাসপোর্ট থাকবে। যারা অফিসিয়াল পাসপোর্টের জন্য প্রাধিকার হবেন তারা সরকারি সফরের ক্ষেত্রে নীল রঙের অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করবেন। এর বাইরে প্রাধিকার/নন-প্রাধিকার নির্বিশেষে অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সবুজ রঙের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর