দেশের সব অফিস আদালতসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা প্রচলনে আগামী ১৫ মের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আদালত বলেন, বাংলা পত্রিকায় বাংলায় এবং ইংরেজি পত্রিকায় ইংরেজিতে বিজ্ঞাপন দিতে পারবে। তবে অন্য সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা প্রচলনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
আদেশে বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার পর মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে সব বিদেশী ভাষার বিজ্ঞাপন এবং গাড়ির নেম প্লেট বাংলায় পরিবর্তনের জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
দুই সপ্তাহের মধ্যে বিবাদী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির হয়ে জবাব না দিলে তাদের তলব করে আদালতে দাঁড় করিয়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী ইউনুস আলী জানান, বাংলাদেশ সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদে রয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা। এছাড়া ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের আমলে ‘বাংলা ভাষা প্রচলন আইন’ প্রণয়ন করা হয়। বাংলা ভাষা প্রচলন আইন ১৯৮৭ এর ৩ নং ধারায় বলা হয়েছে, দেশের সব অফিস আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন করা হবে। কিন্তু এর বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই সর্বত্র বাংলা চালুর নির্দেশনা চেয়ে এই রিট করা হয়।