শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেলো ঋত্বিক-সুজানের ১৩ বছরের সংসার। শত চেষ্টা করেও তাদের সংসার টেকাতে পারেননি তাঁদের অভিভাবকেরা। গত ৩০ এপ্রিল আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন দুজন। এবং জানা গেছে বিচ্ছেদের আবেদন করার পরপরই নাকি বলিউডের অভিনেতা অর্জুন রামপালের সঙ্গে পার্টি করতে মেতে ওঠেন সুজান। অন্যদিকে, ঋত্বিকও তাঁর কাছের বন্ধুদের নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সুজান এখনো নিজেকে মিসেস রোশন বলেই পরিচয় দেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জিনিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিচ্ছেদের আবেদন করার পর একটুও বিমর্ষ দেখায়নি সুজানকে। বরং তাঁকে দেখে অনেক বেশি আনন্দিতই মনে হয়েছে। বিচ্ছেদের পর অর্জুন রামপালের সঙ্গে রীতিমতো আনন্দযজ্ঞে মেতে ওঠেন সুজান। মুম্বাইয়ের একটি নৈশ ক্লাবে তাঁদের দেখা যায়। সে সময় চমত্কার পোশাকে দারুণ হাসিখুশি দেখাচ্ছিল সুজানকে। বলা যায়, তিনি অর্জুনের সঙ্গে মিলে বিচ্ছেদের আনন্দই উদযাপন করেছেন। উল্লেখ্য যে অর্জুনের সাথে কিন্তু স্ত্রী ছিল না, সুজানকে নিয়ে একাই ছিলেন তিনি। এবং ঘনিষ্ঠ অবস্থায় অনেক ছবিও তুলেছেন তারা।
অন্যদিকে, সুজানের মতো ঋত্বিকও বিচ্ছেদ উদযাপন করেছেন। তবে সুজানের মত বিশেষ কারও সঙ্গে নয়, কাছের বন্ধু ও সহকর্মীদের নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন তিনি। তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে পার্টিতে হাজির হন বলিউডের একাধিক তারকা ও নির্মাতা। তাঁরা সবাই মিলে পুল পার্টিতে মেতে ওঠেন।
বিচ্ছেদ সম্পর্কে ঋত্বিক ও সুজান মুখ না খুললেও তাঁদের বিচ্ছেদের পেছনে অর্জুন রামপালের হাত রয়েছে বলে খবর চাউর হয়েছিল। অবশ্য বিষয়টিকে অস্বীকার করেছিলেন অর্জুন। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘ঋত্বিক ও সুজান দুজনই আমার খুব কাছের বন্ধু। তাঁদের বিচ্ছেদে আমার সম্পৃক্ততা নিয়ে আজেবাজে কেচ্ছা-কাহিনি রটানো হচ্ছে। এটা আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে।’
অর্জুনের পক্ষে সুজানও সাফাই গেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ঋত্বিক ও আমার খুবই কাছের একজন বন্ধু অর্জুন। আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন অনেক বেশি দৃঢ়। অযথাই কাউকে দোষারোপ করার বিষয়টি একদমই অনুচিত একটি কাজ।’