বাচ্চা সব সময় বাণী শুনতে পছন্দ করে না। খাওয়ার আগে যতই আপনি মা কিংবা বাবা ‘হাত ধোও, হাত ধুয়ে এসো’ বলে আদেশ-নির্দেশ, উপরোধ-অনুরোধ জারি করছেন, শিশু তা কানেই তুলছে না। তবে মনে রাখুন, শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য এ পদক্ষেপ এত জরুরি যে বারবার টিয়াপাখির মতো আওড়াতে হলেও তা করবেন। শিশুর শরীরে জীবাণু প্রবেশ ঠেকানোর জন্য, জীবাণু একজন থেকে অন্যজনে ছড়ানো রোধে এ হলো সর্বোত্তম পন্থা।

রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ-প্রাচীর শিশুদেহে জীবাণু সংক্রমণের বহু পথ থাকছে। যেমন :
* ময়লা হাতের মাধ্যমে
* দূষিত ডায়াপার থেকে
* জীবাণুদূষিত খাবার, পানীয় পান, পানিবাহিত হয়ে
* হাঁচি-কাশির সাহায্যে বাতাসে ভর করে
* অসুস্থ ব্যক্তির ব্যবহূত জিনিসপত্রের মাধ্যমে
* অসুস্থ ব্যক্তির নিষ্কাশিত তরল, যেমন—রক্ত, কফ, মূত্র, মল ইত্যাদির সংস্পর্শে।
হাত ধোয়ার মাধ্যমে যেসব রোগ ঠেকানো যায়
শিশু যখন এসব দূষিত বর্জ্যের স্পর্শ পায়, তারা অজান্তেই নিজ চোখ, নাক ও মুখে হাত লাগায়। এতে জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। শিশুদেহে জীবাণু প্রবেশের পর পুরো পরিবার তাতে সংক্রমিত হয়ে যায়।
সুতরাং ভালোভাবে হাত ধোয়া রোগবিস্তারের বিরুদ্ধে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর সাহায্যে যেসব রোগ হওয়া থেকে সুরক্ষা দেওয়া যায়, সেগুলো হলো:
সাধারণ সর্দি-কাশি
মারাত্মক সব অসুখ
* মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহজনিত অসুখ)
* ব্রংকিওলাইটিস (শ্বাসতন্ত্রের অসুখ)
* হেপাটাইটিস-এ (যকৃতের প্রদাহ)
* বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া
* ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু
সঠিকভাবে হাত ধোয়া
* ঈষত্ গরম জলে হাত ধোয়া।
* সাবানজলে ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান লাগবে এমন কথা নেই। যেকোনো সাবান হলেই চলবে। সতর্ক থাকতে হবে, যেন আঙুলের ফাঁকে ও নখের ভেতর যেখানে জীবাণু লুকিয়ে থাকে, তা পরিষ্কার করা হয়। অবশ্যই হাতের কবজির কথা ভুলে গেলে চলবে না।
* পরিষ্কার জলে এবার ধুয়ে নিন, শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
কিছু টিপস
শিশু যদি হাত ধুতে না চায় তবে তাকে আকৃষ্ট করার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে পারেন।
* কিছু রঙিন সাবান, যা বাচ্চার জন্য তৈরি তা দিতে পারেন
* নানা আকৃতির সাবান, যা শিশুকে টানে
* ঘ্রাণ, যা শিশুর মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করে
* এ সময় তার প্রিয় একটা গান চালিয়ে দিন। গান শেষ হতে হতে হাত ধোয়া ও জীবাণুর বিদায় পর্ব শেষ হয়ে আসবে।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.