সেখ সাদ্দাম হোসেন

এক-পা দু-পা করে দামোদরের চড়ে গিয়ে দাঁড়ায়
তট থেকে জল অনেক দূরে নিঃশ্বাস ফেলছে
এখন গ্রীষ্ম, প্রেম ঘেঁটে ঘ ....
ডিঙিটা আজও পশ্চিম গায়ে, বয়স হয়েছে অনেক
শরীর থেকে খসে যাচ্ছে চামড়া, পাটাতন ।
হয়তো আমার আরেকটি কবিতা শুনে
আগামী বর্ষায় বানভাসি হয়ে গঙ্গায় দেহত্যাগ
তাই এই অপেক্ষা ......
আমি পাশে গিয়ে বসি, কবিতাটা শেষ হতেই
আচমকা বলে ওঠে, ‘শুনে রাখ্উৎসমুখে জীবন সারশূন্য
যত দিন যাবে, তত বয়ে যাবি...
ভেঙে ভেঙে যাবি এ পৃথিবীর দেহতত্ত্ব
ঠিক নদীর মতো ।
পরিণতি নয়, দৃষ্টিতে থাকবে সৃষ্টিমুখ নান্দিমুখ
তবেই সমভূমিতে ফিরে আসা ....
এতদিন তোকে যারা অচ্ছুত ভেবে কেড়ে নিয়েছে পালক
একদিন তারাই ছাইভস্ম হাতে তোকে ছোঁবে
জীবনের সংকীর্ণ পরিসর থেকে উড়াল নিতে
সাগরে মহাসাগরে ....।।

সূর্য তখন দূরের জলে হাত-মুখ ধুয়ে বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত
আরও দূরে দুজন যুবক যুবতী
ওদের তাড়া নেই, ভুলের উৎসবে মশগুল ।
আমার কিছুতেই মন বসেনা আর ...
কথাগুলো কচি বাছুরের মতো লাফিয়ে পড়ছে বুকে
আমি ফিরে চলেছি, ডিঙিটা ক্রমশ একা হতে হতে অদৃশ্য
আমি ফিরে চলেছি .....
বর্ষার আগে দেখা হবে কিনা জানি না ।।

বর্ধমান, মাধবডিহি, পশ্চিমবঙ্গ

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.