মেসি। বিশ্বের বর্তমানে সেরা ফুটবলার। তিনি মাঠে থাকা মানে অন্যরকম অনুভূতি, অন্যরকম উত্তেজনা। আর সেই মেসিকে নিয়েই আজকের গল্প। তবে আজকের গল্পের বা ঘটনার মেসি অন্য কেউ। তারও জার্সি নাম্বার দশ।
দেশটা আর্জেন্টিনা নয়, ইরাক। সাল ২০০৯। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য। শহরের এক কোনে বাবা মা’র সাথে থাকে ছোট্ট হামুদি। বয়স ৮। ছোট্ট বয়সেই একটি পা নেই তার। কিন্তু ফুটবলের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা তাকে দমিয়ে রাখতে পারে নি। একটি পা নিয়েই সে বন্ধুদের সাথে ফুটবল খেলে। হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ভালবাসে মেসিকে। মেসি’র নম্বর ১০ জার্সিটি গায়ে লাগিয়ে সে খেলে।
যেহেতু তার একটি পা নেই তাই দলের হয়ে গোল রক্ষকের ভূমিকায় অবর্তীর্ন হয় সে। বার্সেলোনার গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলো হামুদি ও তার বন্ধুরা মিলে উপভোগ করে। এভাবেই একদিন সময় আসে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল খেলার, যেখানে প্রতিদ্বন্দিতা করবে বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু হামুদির বাসার টিভি যে নষ্ট! দরিদ্র বাবা ছোট্ট হামুদির অনুভূতি বুঝতে পেরে একসাথে রওনা হয় শহরের দিকে। টিভিটা যে ঠিক করতে হবে…
গল্পটা ছিল একটা ইরাকি শর্ট ফিল্মের। প্রথম রিলিজ হয় ২০১২ এর ডিসেম্বেরে (আরব আমিরাতে)। ছবিটি পরিচালনা করেন- সাহিম ওমর খালিফা। ছবির দৈর্ঘ ১৯ মিনিট। মিউজিক কম্পোজ করেছেন হ্যানস ডি ম্যায়ার। অভিনয়ে ছিলেন- আলি রাদ আল-জাইদাউয়ি, নূর আল-হোদা, হায়দার হেলো।
স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়েছে যুদ্ধ বিগ্রহ হানাহানিতেও ইরাকি ছেলেয়েদের ফুটবলের প্রতি ভালবাসা একটুও কমেনি। পরবর্তীতে বাগদাদ মেসি’র ভূমিকায় অভিনয় করা হামুদির সাথে দেখা করেন দ্যা গ্রেট মেসি।
"বাগদাদ মেসি" শর্টফিল্ম টি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভালে ২০১২ সালে ১ টি ও ২০১৪ তে জিতে নেয় ২ টি পুরষ্কার।