প্রতিটি মানুষের মাঝে এক ধরনের শিশুসত্ত্বা বিরাজমান যা বয়সের এবং ব্যস্ততার কারণে ঢাকা পড়ে যায়। বয়স মানুষকে অনেক বেশি গম্ভীর করে ফেলে। তাই হয়ত বাসনা থাকা সত্ত্বেও তারা অনেক কিছুই করতে পারে না। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এই ধরনের প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকার পরও কোনো কাজ না করতে পারার ফলাফল মানুষের জীবনের জন্য বেশ ক্ষতিকারক। ধীরে ধীরে মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে থাকতে দরকার ভেতরের শিশুসত্ত্বাটিকে জাগ্রত করা। আসুন জেনে নিই ভেতরের সত্ত্বাটিতে জাগিয়ে তোলার অনন্য কয়েকটি কৌশল।
১. যা মন চায় তাই করুন :
আপনি কখনই ভাববেন না যে আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। ছোট্ট বেলার সেই শিশুটির মতই নিজেকে বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানাযুক্ত সেই ছোট্ট শিশুটি যে দিগন্ত জুড়ে দৌড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।
২. বাচ্চাদের সাথে বেশি করে মিশুন :
বাচ্চাদের মনটা অনেক বেশি পবিত্র। তাদের সাথে মিশলে আপনার মনটিও অনেক বেশি পবিত্র হয়ে যাবে। কোনো ধরনের জটিলতা আপনার মাঝে কাজ করবে না। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি জেগে উঠবে আর বাচ্চাদের মতই আপনার মনটি হয়ে উঠবে পবিত্র।
৩. অসম্ভব কিছু করে ফেলুন :
সবসময় ভাববেন কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। এই ভেবে এমন কিছু অসম্ভব কাজ করে ফেলুন যা দেখে আপনি নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এর ফলেও আপনি অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারেন।
৪. সৃজনশীল কোনো কাজ করুন :
যারা ফিক্সট কোনো কাজ করেন তারা নিজের সত্ত্বাটিকে বিকাশের কোনো সুযোগই পেয়ে থাকেন না। এ কারণে আপনি পারলে কিছু সৃজনশীল কাজ করে ফেলুন। আপনার যে কাজগুলো করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন।
৫. ভালোলাগার জায়গাগুলোতে ঘুরতে যান :
মন ভালো থাকলে সৃজনশীল কাজ করতে ভালো লাগবে। আর তাই মনকে প্রফুল্ল রাখতে ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের জায়গাগুলোতে। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি কাজ করতে থাকবে, নিত্যদিনের কাজের চাপে তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে থাকবে না। সার্বিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন।