চলছে পবিত্র রমজান মাস। আর এই রমজানে প্রতিদিনই ইফতারীতে খাওয়া হয় নানান রকমের ভাজাপোড়া খাবার। বিশেষ করে যারা বাইরের কেনা ইফতারী খান তাঁরা নানান রকম অস্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন প্রতিদিন। সারাদিন না খেয়ে থেকে দিন শেষে এই সব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরবর্তি রোজা গুলো রাখতে পারেন না কিংবা রাখলেও কষ্ট হয়। তাই এই রোজায় ইফতার খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কিছুটা সতর্ক হওয়া উচিত। জেনে নিন ইফতারের খাবারের কিছু উচিত অনুচিত সম্পর্কে।
চেষ্টা করুন ঘরে তৈরী খাবার খাওয়ার
রোজা রেখে যেহেতু সারাদিন না খেয়ে থাকা হয় তাই দিন শেষে ভালো মানের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। চেষ্টা করুন ঘরে তৈরি ইফতার খাওয়ার। একেবারেই নিরুপায় হলে কেনা খাবার খান। অন্যথায় সুস্থ থাকতে চাইলে রোজায় ঘরে তৈরী খাবারের বিকল্প নেই।
খাবারের গন্ধ ও রং দেখে কিনুন
অনেক সময়ে আগের দিনের খাবার পুনরায় তেলে ভেজে কিংবা ওভেনে গরম করে তাজা বলে বিক্রি করা হয় দোকানে। তাই তেলে ভাজা খাবারের রং যদি স্বাভাবিকের চাইতে গাঢ় থাকে কিংবা বাসী গন্ধ থাকে তাহলে সেই খাবার এড়িয়ে চলুন।
আলু,ডাল ও দুধ জাতীয় খাবার নিশ্চিত না হয়ে খাবেন না
আলু, ডাল ও দুধ জাতীয় খাবার গুলো বেশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সাধারণত দোকানের কেনা ইফতার গুলো দুপুরের মধ্যেই ভেজে ফেলা হয় কিংবা প্রস্তুত করে ফেলা হয়। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই আলু, ডাল ও দুধের তৈরি ইফতার গুলোতে ব্যাকটেরিয়া জন্মে যায় যা পেট খারাপ বা ফুড পয়জনিং এর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই খাবারের মান ভালো আছে কিনা সেটা নিশ্চিত না হয়ে এইসব উপাদানের তৈরি খাবার না খাওয়াই ভালো।
যেখানে সেখানে শরবত খাবেন না
ইফতারের সময় অনেক দোকানেই পাওয়া যায় শরবত। এমনকি রাস্তাঘাটেও ছোট খাটো ভ্রাম্যমান দোকানে শরবত কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এসব শরবত সবসময়ে স্বাস্থ্যকর হয় না। বরং অনেক সময়ে জীবাণুযুক্ত পানি না ফুটিয়েই শরবত প্রস্তুত করে খাইয়ে দেয়া হয় রোজাদারদেরকে। তাই বিশুদ্ধ পানি কিনা নিশ্চিত না হয়ে যেখানে সেখানে শরবত খাওয়া উচিত না।
অতিরিক্ত তেল/ ঝাল যুক্ত খাবার খাবেন না
সারাদিন রোজা রাখার পরে অতিরিক্ত তেল কিংবা ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ সারাদিন রোজা রাখার পরে এধরণের ভাজা পোড়া খাবার খেলে অনেকেরই বুক জ্বালা পোড়া সহ আরো নানান রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই এধরণের খাবার না খেয়ে চেষ্টা করুন কম তেল যুক্ত সেদ্ধ খাবার খাওয়ার।