সাময়িকী.কম
আমরা আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের জন্য মস্তিষ্কের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের দেহ পরিচালনার জন্য প্রথম এবং প্রধান কাজ করে আমাদের মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক ব্যতীত আমরা একটি জড়পদার্থ। কিন্তু আমরা আমাদের মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য কতোটুকু কাজ করে থাকি?
আমরা আসলে শারীরিক সুস্থতায় থেকে ভুলে যাই মস্তিষ্কের কথা। আমাদের দেহ আপাত দৃষ্টিতে সুস্থ থাকলেও মস্তিষ্কে বাঁধতে পারে নানা রোগ। ক্ষতি হতে পারে আমাদের মস্তিষ্কের। শুনলে হয়তো অবাক হবেন আমাদের কিছু বাজে ও ভুল অভ্যাসে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ক্ষতি হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্কের।

সকালের নাস্তা না করা

অনেকেই সকালের নাস্তার ব্যাপারে অনেক উদাসীন। কিন্তু সারারাত আমরা থেমে থাকলেও আমাদের দেহের ভেতরটা কিন্তু থেমে থাকে না। সকালে নাস্তা না করলে দেহে ঘাটতি হয় সুগারের, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে পৌঁছোতে বাঁধা দেয়। এতে মস্তিষ্ক ঠিক মতো কাজ করতে পারে না এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়।

অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া

আমরা অনেকেই একবেলা খাবার বাদ দিয়ে পরের বেলা একবারে বেশি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। এটি দেহের জন্য যতোটা খারাপ মস্তিষ্কের জন্য আরও বেশি মারাত্মক। একবারে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হুট করে দেহে সুগার সহ অন্যান্য পুষ্টিউপাদান বেড়ে যায়। এবং মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরা শক্ত করে ফেলে। ফলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়।

ধূমপান ও মদ্যপান

ধূমপান ও মদ্যপান দুটোই মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপান মস্তিষ্কের জন্য অভিশাপে মতো। ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের শিরাউপশিরা সংকুচিত হয়ে আসে। এতে পুষ্টি, রক্ত, অক্সিজেন ইত্যাদির সরবরাহ সঠিক ভাবে হয় না। এতে করে স্মৃতিশক্তি লোপের মতো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মস্তিষ্ক।

অনেক বেশি মাত্রায় চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া

অনেক বেশি চিনি জাতীয় খাবার দেহের বিশেষ করে মস্তিষ্কের প্রোটিন ও পুষ্টির শোষণ ক্ষমতা একেবারেই কমিয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের নিউরন ও কোষ বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। এবং মস্তিষ্কের উন্নতি হয় না। তাই বাচ্চাদের চিনি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে রাখুন।

কম ঘুমানো বা না ঘুমানো

অনেকেই কাজের ব্যস্ততায় বা ইচ্ছে করে অনেক কম ঘুমিয়ে থাকেন। এতে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। দীর্ঘদিনের এই বাজে অভ্যাসটি মস্তিষ্কের সেল ড্যামেজ করে দেয়।

ঘুমানোর সময় মাথা ঢেকে ঘুমানো

মস্তিষ্কের জন্য আরেকটি মারাত্মক ক্ষতিকর বাজে অভ্যাস হচ্ছে মাথা ঢেকে ঘুমানো। মাথা ঢাকা থাকে বলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় অক্সিজেনের চাইতে কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি চলে যায় দেহে। এসময় অক্সিজেনের অভাব মস্তিষ্কের টিস্যুর স্থায়ী ক্ষতি করে।

অসুস্থতায় জোর করে কাজ করা

অনেক সময় কাজের চাপে পড়ে অনেকেই অসুস্থ শরীরে চাপ নিয়ে কাজ করতে থাকেন। এতে করে দেহের চাইতে বেশি ক্ষতি হয় মস্তিষ্কের। এই ধরণের কাজে ব্রেইন হ্যামারেজের মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়ে থাকে। সেন্সলেস হয়ে যাওয়া এবং বুদ্ধিলোপ পাওয়ার মতো অসুবিধাও দেখা দেয়।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.