টিনএজ বয়সের ত্বকের উজ্জ্বলতা বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে। কেমন যেনো ফিকে হয়ে আসে ত্বক। বয়সটা ৩০ বছর পার করতে না করতেই ত্বকের উজ্জ্বলতা একেবারেই চলে যায়। সেই সাথে শুরু হয় ত্বকের নানা সমস্যা। এসকল সমস্যা ৩০ পার করতে না করতেই ত্বককে বুড়িয়ে তোলে।
কিন্তু আপনি চাইলেই ধরে রাখতে পারেন চেহারার উজ্জ্বলতা। এবং তা আজীবন। কিন্তু কী করতে হবে? বয়স ৩০ এর পর কিছুটা বাড়তি যত্ন এবং সাবধানতাই ধরে রাখবে আপনার ত্বকের সৌন্দর্য। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক বয়স ত্রিশ পার হলে ত্বকে যে সমস্যা হতে পারে সেগুলো এবং আজীবন সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করণীয়।
বয়স ত্রিশ হলে ত্বকের যে সমস্যা হয়ঃ
বয়স ত্রিশ হলে ত্বকের যে সকল সমস্যা শুরু হয় তার বেশীরভাগই দেহের হরমোনের জন্য হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে দেহে উপকারী হরমোনের নিঃসরণ অনেক কমে যায়। ফলে ত্বকের কোলাজেন টিস্যু নষ্ট হয়ে পড়ে। ১৮ বছর বয়সে যেখানে দেহে হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা থাকে ৯০০, সেখানে ত্রিশের পর কমে হয়ে যায় ২০০। একারনেই ত্বকে শুরু হয়ে যায় নানা সমস্যা।
- ত্বকে বয়সের ছাপ ও রিংকেল পড়ে যাওয়া। ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না হলে দ্রুত রিংকেল পড়ে যায়।
- অ্যাডাল্ট অ্যাকনে অর্থাৎ বয়স হয়ে যাওয়ার পরও ব্রণের সমস্যা। এই সমস্যা সাধারণত মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে।
- পিগমেন্টেশন। সাধারণত ত্বক অনেক বেশি রোদে পুড়লে ত্বকের টিস্যু ড্যামেজ হয়ে যায় ত্রিশের পর।
- ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া এবং ত্বক ঝুলে পড়া।
- অ্যাডাল্ট অ্যাকনে অর্থাৎ বয়স হয়ে যাওয়ার পরও ব্রণের সমস্যা। এই সমস্যা সাধারণত মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে।
- পিগমেন্টেশন। সাধারণত ত্বক অনেক বেশি রোদে পুড়লে ত্বকের টিস্যু ড্যামেজ হয়ে যায় ত্রিশের পর।
- ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া এবং ত্বক ঝুলে পড়া।
ত্বকের উজ্জলতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে করণীয়ঃ
ত্বকের সৌন্দর্য ত্রিশ পার করেও অটুট রাখতে প্রতিদিন করতে পারেন এই কাজগুলো-
ক্লিনজিং করুন
প্রতিদিন সকাল এবং রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে সকল মেকআপ ভালো করে তুলে পরিষ্কার করে ভালো একটি ব্র্যান্ডের ক্লিনজার দিয়ে ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নেয়া উচিৎ। এতে করে ত্বক ভালো করে হাইড্রেট থাকে।
এক্সফোলেইট বা স্ক্রাব করুন প্রতিরাতে
প্রতিদিন রাতে ত্বক ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের ওপরের মরা কোষ তুলে ফেলার জন্য ত্বক এক্সফোলেইট বা স্ক্রাব করা উচিৎ। এতে পুরো রাত ত্বকের কোলাজেন টিস্যু নতুন করে কাজ করে পরের দিনের জন্য ত্বককে প্রস্তুত করে ফেলে এবং ত্বকের নিষ্প্রাণভাব দূর হতে সাহায্য করে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
প্রত্যেকদিন ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাতে কখনোই ভুলবেন না। এসপিএফ অধিক মাত্রার এবং ভালো ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। এতে করে ত্বকের ওপর সূর্যের আলোর প্রভাব কম পড়বে। ত্বক পুড়বে না এবং ত্বকে বয়সের ছাপ অনেক দেরিতে পড়বে।
রক্ষা করুন ত্বককে
ত্বককে সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করুন ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম বা ভিটামিন সি সিরাম। তবে প্রথমে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সিরাম লাগাবেন।
ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করুন
কখনোই দেহ ও ত্বককে পানিশূন্য হতে দেবেন না। গরম পানিতে ৫ মিনিটের বেশি গোসল করবেন না। প্রয়োজন না পড়লে গোসলে গরম পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। ৪/৫ ফোঁটা এসেনশিয়াল বডি অয়েল কিংবা আলমণ্ড অয়েল/ ভিটামিন ই তেল ২ মগ পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন গোসলের শেষে।
ময়েসচারাইজ করুন
ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ ত্বকের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন। ক্রিম, বডি লোশন, সাবান যাই ব্যবহার করুন না কেন ময়েসচারাইজার সমৃদ্ধ কিনা তা দেখে নিন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন
দেহ ও ত্বককে হাইড্রেট রাখতে প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করবেন। এবং এর পাশাপাশি নানা ধরণের পানীয় পান করবেন। পানি সমৃদ্ধ ফলমূল রাখবেন খাবার তালিকায়।
মানসিক চাপ কম নিতে চেষ্টা করুন
মানসিক চাপের কারণে ত্বকের ওপর অনেক প্রভাব পড়ে। একারনেই যারা অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকেন তাদের ত্বক বুড়িয়ে যায় এবং চুল পেকে যায়। তাই যতোটা সম্ভব মানসিক চাপ কম নেয়ার চেষ্টা করুন।