ঢেঁড়স ভাজি, ঢেঁড়সের তরকারি পছন্দ করেন না এমন লোক পাওয়া কঠিন। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটির ফলন আমাদের প্রচুর। ঢেঁড়স দেখতে অনেকটা নারীর সরু কোমল আঙুলের মতো হওয়ায় একে ‘লেডিস ফিঙ্গার’ ডাকা হলেও এর প্রকৃত ইংরেজি নাম Okra। ঢেঁড়স অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ঔষধিগুণ সম্পন্ন। ‘প্রিয়’ পাঠক, আপনার হয়তো জানা নেই ঢেঁরস সুস্বাস্থ্যের জন্য কতোটুকু গুরুত্ব রাখতে পারে। আসুন জেনে নেই কোনসব অসুখে ঢেঁড়স ঔষধের মতো কাজ করে।
১। হাঁপানিতে উপকারী:
ঢেঁড়স হাঁপানী রোগে খুব উপকারী। প্রাচীন হারবাল চিকিৎসায় হাঁপানি রোগ সারাতে ঢেঁড়সকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহারা করা হয়েছে। ঢেঁড়স বীজের তেল শ্বাসকষ্ট কমাতে পারে।
২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে:
ব্লাড সুগার কমাতে ঢেঁড়সের তুলনা নেই। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ০.০১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন। যা ডায়াবেটিক রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবারাহ করে সতেজ রাখে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিদিন খাবার পাতে রাখা উচিত ঢেঁড়স।
৩। প্রোস্টেট গ্রন্থির অসুখে:
ঢেঁড়সের একটা দারুন ঔষধিগুণ হলো এইট প্রসাবের প্রবাহ বৃদ্ধি করে। এতে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধি কমে যায়। ঢেঁড়স পানিতে সেদ্ধ করে তরল পিচ্ছিল পদার্থ ছেঁকে পান করলে প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়বে।
৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর আঁশ। আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সহজে হজম হয় বলে বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।
৫। ত্বকের যত্নে:
ঢেঁড়স ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঢেঁড়স খেলে ব্রণ কম হয়। ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে। রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে বলে, ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়।
৬। হাড় ও দাঁতের যত্নে:
প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা। ফলে ঢেঁড়স হাড়কে মজবুত রাখে। দাঁত ও মাড়ির রোগেও ঢেঁড়স উপকারী।
৭। চুলের যত্নে:
চুলের ঢেঁড়সের রয়েছে প্রাকৃতিক ব্যবহার। ঢেঁড়সকে প্রাকৃতিক কণ্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। চুল পড়া কমায়, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
সুস্বাস্থের খাতিরে ঢেঁড়স রাখুন প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। এটি আপনাকে দেবে অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা।