পরীক্ষার হলে পড়ালেখা, ইন্টার্ভিউ বোর্ডে প্রশ্নের উত্তর কিংবা দরকারের সময় প্রয়োজনীয় জিনিস কোথায় রেখেছেন তা মনে না পরার কারণে নিজের ব্রেইনটাকে তো কতোই গালাগালি করছেন। ভাবছেন সব দোষ আপনার মস্তিষ্কের যা ঠিকমতো কাজ করে না একেবারেই। বিশেষ করে প্রয়োজনের সময় তো নয়ই। স্মৃতি ধরে রাখা ক্ষমতা নেই একেবারেই।
যদি এভাবেই নিজের অকর্মা মস্তিষ্কের ওপর রাগ ঝাড়তে থাকেন তবে জেনে রাখুন এতে আপনার মস্তিষ্কের কোনো দোষ নেই। আপনার মস্তিষ্ক ঠিকই আছে, তাকে অকর্মা ও অক্ষম আপনি নিজেই বানিয়ে ফেলছেন।
সব সময় বিষণ্ণ থাকা
জীবনে অনেক কিছুই থাকে মন খারাপ করে থাকার জন্য। কিন্তু তাই বলে সব সময় বিষণ্ণ থাকাটা একেবারেই উচিত নয়। এতে মনের ওপর তো চাপ পরেই সেই সাথে ভাপ পড়ে আপনার মস্তিষ্কের ওপরে। এতে মস্তিষ্কে ‘কারটিসোল’ নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটে যা মস্তিষ্কের ‘সিন্যাপ্স’ যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগ বজায় রাখে তা নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয়। তাই নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন একটু কষ্ট হলেও।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেয়া ও দুশ্চিন্তা করা
অনেকেই কারণে অকারনে অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন এবং দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপের অর্থ মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি মাত্রায় চাপ ফেলা। এতে করেও স্ট্রেস হরমোন কারিসোলের নিঃসরণ ঘটে যা মস্তিষ্কের নিউরনের মধ্যকার সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায় ‘সিন্যাপ্স’ নষ্ট করে দিয়ে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা করে তো লাভ হচ্ছে না। তাই অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা না করে সমাধান খুঁজুন সব কিছুর।
ধূমপান করা
দীর্ঘদিন ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায়। কারণ ধূমপানের ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলে। এতে করে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। এবং এর প্রথম প্রভাবই পড়ে স্মৃতিশক্তির ওপর। তাই ধূমপান বন্ধ করুন আজই।
কম ঘুমানো
ইচ্ছে হলেই রাত জেগে থাকেন। ঘুমানোর খুব প্রয়োজন না হলে ঘুমুতে যান না। তবে জেনে রাখুন, কম ঘুমানোর কারণেও আপনি প্রতিনিয়ত নষ্ট করছেন আপনার স্মৃতিশক্তি। গবেষণায় দেখা যায় ঘুম আমাদের মস্তিষ্কের সিন্যাপ্টিক প্লাস্টিসিটি উন্নত করে ফলে মস্তিষ্কের সিন্যাপ্স থাকে সুস্থ। কম ঘুমের কারণেও মস্তিষ্কের সিন্যাপ্স দুর্বল হয়ে পড়ে যা নিউরনের সংযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে ধীরে ধীরে আমরা হারাতে থাকি স্মৃতিশক্তি। সুতরাং অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
সূত্রঃ হেলথডাইজেস্ট