নিজস্ব প্রতিবেদক 
সাময়িকী.কম
ছবি : সাময়িকীডটকম 

ঢাকা : রাজধানীর মহাখালী টি এন্ড টি মাঠ সংলগ্ন আমতলীর সরকারী ঝিল দখল করে স্থাপনা নির্মান দিন দিন বেড়েই চলছে। রাতের আধারে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে চলছে এ ঝিল দখলের প্রতিযোগিতা। 

শনিবার দুপুরে টি এন্ড টি মাঠের পাশ দিয়ে বনানী যাওয়ার সড়কটি পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সড়কটির দু'পাশেই ঝিলের বেশ কিছু অংশ দখল করে টিনের ঘর ও দোকানপাট নির্মান করা হয়েছে। এসব নির্মান যোগ হয়েছে বনানী এক নম্বর রোড সংলগ্ন গোডাউন বস্তির সাথে। কিছু কিছু ঘর, দোকান স্থাপনে ব্যবহৃত টিন দেখা গেছে একেবারেই নতুন। এতে বুঝা যায়, সদ্য দখল করে নির্মান হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ ঘর ও দোকানে বৈদ্যুতিক সংযোগে ফ্যান, টিভি, ফ্রিজ চলতে দেখা গেছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললে জানা যায়, কয়েক মাস আগেও এখানে দখলের পরিমান এতো বেশি ছিল না, রাতারাতি এই অবৈধ দখল বাড়ছে। একজনের দেখাদেখী অন্যজন দখলের প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে দখলদারীদের আগ্রাসী থাবার পড়ে পাল্টে গেছে সড়কটির চিত্র। তার সাথে পার্শবর্তী আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বস্তির সাথের দোকান গুলোতে অতিরিক্ত মানুষের আড্ডা, আনাগোনায় গাড়ি চলাচলে নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। সড়কটিতে ঘন ঘন যানজট সৃষ্টিসহ হইচই, ঝগড়াঝাটির কারণে পথচারীদের পথ চলতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে। 

গোডাউন বস্তিবাসীর কয়েকজন জানায়, এ বস্তির ভেতরে কয়েকজন বাড়িওয়ালা আছে। বস্তিতে যারা কয়েক বছর পুরাতন এবং একটু জমানো টাকা আছে তারাই বাড়িওয়ালা। এসব বাড়িওয়ালারাই অবৈধ দখল করে ঘর ও দোকানপাট নির্মান করছে। জানা যায়, প্রতিমাসে এ বাড়িওয়ালারা ঘর ও দোকান প্রতি এক থেকে আড়াই হাজার টাকা ভাড়া তুলেন। কেউ কেউ দখল করে ঘর ও দোকান নির্মানের পর বিশ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা দরে বিক্রিও করে দেয়। বস্তিবাসীর কেউ ভয়ে এসব বাড়িওয়ালাদের নাম প্রকাশ করেনি।

অবৈধ দখলের কবল থেকে ঝিলটি রক্ষা ও সড়কটিতে সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিভাগ:

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.