সাময়িকী.কম
নির্বাচনের এখনও ও বাকি ১১ দিন। রাজধানীর পাড়া-মহল্লা ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। অলি-গলি, রাস্তা-ঘাটসহ দোকান-পাট এমনকি বাড়ির ছাদেও দেখা যাচ্ছে পোস্টার। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত আয়তনে এবং সাদাকালো রঙের পোস্টার ছবি ও মার্কা দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন এলাকায় ভোট চেয়ে ব্যানার অনেক আগেই টাঙানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও এলাকায় খোকন : শুক্রবার সকালে দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন গণসংযোগ করেন খিলগাঁও এলকায় এবং বিকালে যান যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় এ সময়। তিনি এসব এলাকায় এ সময় পথসভায় বক্তব্য দেন এবং মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সহস্র নাগরিক কমিটি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী খোকন বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা রাজনৈতিক কৌশল মাত্র। চাচির (আব্বাসের স্ত্রী) কিছু একটা বলা প্রয়োজন তাই বলছেন। আমি ওনাকে নির্বাচনী প্রচারণায় আবার কি বাধা দিলাম!
সাইকেল র্যালিতে আনিসুল হক : সহস্র কমিটি সমর্থিত উত্তরের প্রার্থী আনিসুল হক শুক্রবার সাইক্লিং সংগঠন বিডি সাইক্লিস্টের ১৫০তম বাইক ফ্রাইডেতে অংশ নেন। সংগঠনটির সদস্যদের সঙ্গে ৫ কিলোমিটার সাইকেল চালান আনিসুল হক। মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজ থেকে সাইক্লিস্টদের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। এ সময় সাইকেল চালিয়ে তিনি মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত ফিরে আসেন।
এর আগে তিনি বসিলা এলাকায় গণসংযোগ ও একটি পথসভা করেন। গুলশানে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। দুপুরে কাজীপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার মুসল্লিদের কাছে আনিসুল হকের পক্ষে টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট ও দোয়া চান। এরপর বিকালে বাড্ডার ডুমনি ও শিমুলতলী এলাকায় গণসংযোগের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন আনিসুল হক। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রহমতউল্লাহ।
আনিস-খোকন-নাসিরকে বাকবিশিস’র সমর্থন : শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন এবং চট্টগ্রামে আ জ ম নাসিরকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শিক্ষক সমাজের ভূমিকা’ শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
কামরাঙ্গীরচরে আব্বাসের পক্ষে স্ত্রী : শুক্রবার সকাল ১০টায় কামরাঙ্গীরচরের ঝাউচর এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন আফরোজা আব্বাস। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারে গেলে কর্মীদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, এ সরকার স্বৈরাচারী ও জালিম সরকার। খুন-গুম সন্ত্রাসের মাধ্যমে এ সরকার ত্রাসের রাজত্ব জারি করেছে। তারা আমাদের নির্বাচনী প্রচারের সময় নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে, বিভিন্ন জায়গায় নেতাকর্মীর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
নানা ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে মির্জা আব্বাসকে সামনে আসতে দেয়া হচ্ছে না দাবি করে আফরোজা আববাস বলেন, মনে করেছিলাম বৃহস্পতিবার তৃতীয় বিচারপতির আদালতে তিনি জামিন পাবেন। কিন্তু সরকার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে পিছিয়ে দিচ্ছে। মির্জা আব্বাসকে জামিন দিয়ে প্রচারণার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
বনশ্রীতে তাবিথ আউয়াল : বিএনপি সমর্থিত উত্তরের মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল শুক্রবার সকালে গুলশানে সুজনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। দুপুরে জুমার নামাজ আদায় করেন রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরের একটি মসজিদে। সেখানে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে আলিঙ্গন এবং কুশল বিনিময় করেন। বিকালে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমন্বয় সভায় যোগ দেন তিনি। সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বনশ্রী এলাকায় গণসংযোগ করেন তাবিথ আউয়াল। এ সময় তাবিথ বলেন, গত শুক্রবার থেকে আমি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণ ভোটের অপেক্ষায় আছে, আমাদের জোটকে সমর্থন দেয়ার জন্য। দলের সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, যে কয়টা দিন আছে, আমরা যেন সম্মিলিতভাবে কাজ করি। আমি সবার সমযোগিতা চাই।
দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদন
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মেয়র প্রার্থীরা ততই বাড়াচ্ছেন প্রচারণার গতি। তারা ছড়িয়ে পড়ছেন রাজধানী ঢাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। শুক্রবার শহর দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক সাইকেল র্যালিতেও অংশ নেন। এছাড়া ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। উল্লেখযোগ্য প্রায় সব প্রার্থীই এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন।
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল, ২০১৫