সাময়িকী.কম
যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া রেলওয়ের অব্যাহত লোকসান থেকে টেনে তুলে লাভজনক করতে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিশ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বিদ্যমান ৪৪টি জেলার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, নড়াইল, সাতক্ষীরাসহ ৮টি জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে ট্রেন ও বগির সংখ্যা।
তৈরি হচ্ছে নতুন স্টেশন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা রিমডেলিংসহ আরো ৫৭১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ। রেলওয়েকে নিরাপদ গণপরিবহনে রূপ দিতে শিগগির কর্মযজ্ঞ শুরু হচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন।
রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে পৃথক ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুনধুম ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ, ঢাকা-কুমিল্লা হাইস্পিড স্ট্যান্ডার্ডগেজ রেললাইন নির্মাণ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে উন্নয়নের এই মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা রেলওয়েকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বিদেশ থেকে রেলের ইঞ্জিনসহ বগি আনা হচ্ছে। আনা হচ্ছে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও মালবাহী ওয়াগন। এ সব এলে আমাদের রেলের বহরে আরও অনেক ট্রেন যোগ হবে।’
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে ৫৭১.৩০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটুকু হয়ে গেলে যাত্রীদের সময় বাচবে। বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও। আবার নতুন রেলপথের আওতায় ঈশ্বরদী হতে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ৭৮.৮০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলমান।
এছাড়া, সরকারি অর্থায়নে পাচুরিয়া-ভাঙ্গা সেকশনের পুকুরিয়া-ভাঙ্গা ৫.৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
এলওসি অর্থায়নে খুলনা হতে মংলা পর্যন্ত নতুন ৬৪.৭৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও এলাইনমেন্ট নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণকাজের ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র এবং সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামী ২০১৮ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। এটি সম্পন্ন হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, নতুন রেলপথের মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল, ডুয়েলগেজ, মিটারগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তী সময়ে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে এডিবির অর্থায়নে আরসিআইটিএ প্রকল্পের আওতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইনের কাজ চলমান আছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ১২৮.২৬ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মিত হবে।
যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া রেলওয়ের অব্যাহত লোকসান থেকে টেনে তুলে লাভজনক করতে রেলপথ মন্ত্রণালয় বিশ বছরের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বিদ্যমান ৪৪টি জেলার পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, নড়াইল, সাতক্ষীরাসহ ৮টি জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে ট্রেন ও বগির সংখ্যা।
তৈরি হচ্ছে নতুন স্টেশন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা রিমডেলিংসহ আরো ৫৭১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ। রেলওয়েকে নিরাপদ গণপরিবহনে রূপ দিতে শিগগির কর্মযজ্ঞ শুরু হচ্ছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দিয়েছেন।
রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে পৃথক ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুনধুম ডুয়েলগেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ, ঢাকা-কুমিল্লা হাইস্পিড স্ট্যান্ডার্ডগেজ রেললাইন নির্মাণ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে উন্নয়নের এই মহাপরিকল্পনা সম্পর্কে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা রেলওয়েকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। বিদেশ থেকে রেলের ইঞ্জিনসহ বগি আনা হচ্ছে। আনা হচ্ছে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও মালবাহী ওয়াগন। এ সব এলে আমাদের রেলের বহরে আরও অনেক ট্রেন যোগ হবে।’
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে ৫৭১.৩০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এ ছাড়া সরকারি অর্থায়নে তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
আবার ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিটুকু হয়ে গেলে যাত্রীদের সময় বাচবে। বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও। আবার নতুন রেলপথের আওতায় ঈশ্বরদী হতে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন ৭৮.৮০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলমান।
এছাড়া, সরকারি অর্থায়নে পাচুরিয়া-ভাঙ্গা সেকশনের পুকুরিয়া-ভাঙ্গা ৫.৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
এলওসি অর্থায়নে খুলনা হতে মংলা পর্যন্ত নতুন ৬৪.৭৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই ও এলাইনমেন্ট নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণকাজের ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র এবং সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আগামী ২০১৮ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। এটি সম্পন্ন হলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মংলা সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হবে।
রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেন, নতুন রেলপথের মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল, ডুয়েলগেজ, মিটারগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তী সময়ে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে এডিবির অর্থায়নে আরসিআইটিএ প্রকল্পের আওতায় সম্ভাব্যতা সমীক্ষা এবং বিশদ ডিজাইনের কাজ চলমান আছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ১২৮.২৬ কিলোমিটার নতুন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মিত হবে।