আল-আয়ান
সাময়িকী.কম
সাময়িকী.কম
জন্ম আমার তোমার থেকেই
তাই বুঝি আমি তোমার।
ছোট থেকেই তোমার পাশে,
আজ কেন নেই ?
ও আমিতো ভুলেই গেছি
এখন আমি বড় হয়েছি।
তাই তো থাকি অনেক দুরে।
ইচ্ছে করে ছুটে যাই -
তোমার কাছে মাগো।
না আমি পারিনা তা
কারন “এখন আমার ইচ্ছে গুলো
অন্ধকারে গাছের মত।
দুরে আছি তাই-
চোখ বুঝলেই তোমায় দেখতে পাই।
কাঁদতে আমি চাইনি মাগো
কষ্টো গুলো আমায় কাঁদায়।
যখন তুমি ছিলে পাশে
তখন কেন পারিনি বুঝতে,
এত ভাল বাসি তোমায়।
এখন আমি বড় একা
তুমি নেই বলে।
এখন আর কেউ বলে না
“সময় মত খা”
ভর দুপুরে রোদের তাপে-
খেলাই কি তোর সব।
শুনবি না তুই আমার কথা
বলতে তুমি রেগে।
তখন আমি ছিলাম উদাস,
কান দেই নি তাতে।
এখন আমায় কাঁদায় মাগো
তোমার সেই বারন ।
এখন আমায় কেউ বলে না
পড়তে বসার কথা।
বলতে তুমি---
এই বয়সে ছেলেরা নাকি নষ্ট হয়ে যায়।
দুষ্টমিতে বলতে আরো
বাবা প্রেম করছিস নাকি।
এত উদাস থাকিস কেন
রং লেগেছে নাকি।
এখন আমায় কেউ বলে না
দুধ খানা বাবা।
আদর করে চায়ের সাথে
দুধ মিশিয়ে দিতে খেতে।
এখন আমার ইচ্ছে করে
ছুটে যাই তোমার কাছে।
ভিজে ভিজে খেলতে গেলে
কেউ করে না মানা
তখন আমি বুঝতে পারি
আমি এখন একা।
সকাল হলে ডাকতে তুমি
বলতে কেন এত দেরি ?
নামাজ পড়ে খেতে আয়
দেরি করিস নাকো।
জানো আম্মু আজ আমার
ভীষন ভীষন জ্বর।
তুমি থাকলে মাথায় আমার
জলপট্টি দিতে।
তুমি নেই পাশে
তাই জলপট্টি এখন অনেক অচেনা।
মাগো তোমার কথাই ঠিক
এখনো আমি মানুষ চিনতে-
করি অনেক ভুল।
একলা যখন থাকি আমি
তোমার ছবি দেখি
ছবি দেখে তোমায় মাগো
কত ভাবে ডাকি।
জানো মাগো ক্লাসে একদিন
মায়ের গল্প শুনে
দু চোখ আমার ভরে ছিল
আলতো লবণ জ্বলে।
এখন আমি বড় একা
তুমি নেই পাশে।
বেল কনিতে একলা বসে
কষ্টো গুলোকে প্লেন বানিয়ে
দিলাম আকাশে ছেড়ে।
একটু পরে দেখতে পেলাম
প্লেনটা আমার বেল কনির পাশে।
প্লেনটাকে পাঠিয়ে ছিলাম
ঐ কাল আকাশে।
কেউ যেন দেখতে না পায়
আমার কষ্টটাকে।
ঘুমাতে গেলেই মনে পড়ে
শুয়ে ছিলাম তোমার কোলে।
চোখের পাতায় কি যেন
ছুটে চলে আসে।
সে দিন রাতে স্বপ্নে আমি
দেখি তোমায় পাশে,
মধ্য রাতে উঠে দেখি
তুমি নেইকো পাশে।
এনেছিলাম চুপ করে,
তোমার গায়ের গন্ধ মাখা-
একটা ওড়নাার কাপড়।
তারি গন্ধে ঘুম আসে মা
রাতো কেটে যায়।
সব সময় ইচ্ছে করে
তোমার কাছে যাই।