রামেশ্বরমে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-এনডিটিভি |
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সাবেক রাষ্ট্রপতি আবুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর, সংসদবিষয়কমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডুসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে তামিলনাড়–র মুখ্যমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ বিশিষ্টজনেরা। এপিজে আবদুল কালামকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে অনেকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগানও দিয়েছেন। বিবিসি, এনডিটিভি।
রামেশ্বরমে ড. কালামের মরদেহ নেয়া হলে হাজারও মানুষ শহরটিতে ভিড় করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসে, ট্রেনে এমনকি নৌকায় করে অনেকে উপস্থিত হয়েছেন তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। বুধবার রাতে অনেকে সড়কের পাশে ঘুমিয়েছেন। উড়িয়েছেন ভারতের পতাকা।
জানাজার আগে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় একটি মসজিদে। সেখানে জানাজা নামাজের পর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সমাধিস্থলে। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ অক্টোবর এ রামেশ্বরমেই জন্মেছিলেন ভারতের ‘মিসাইলম্যান’খ্যাত এপিজে আবদুল কালাম। ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন ছিলেন।
আবদুল কালামের মরদেহ বুধবার একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে তার জন্মস্থানে নেয়া হয়।
মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের একটি হাসপাতালে সোমবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় হার্ট অ্যাটাকে মারা যান ৮৪ বছর বয়সী এ পরমাণু বিজ্ঞানী। ‘বাসযোগ্য পৃথিবী’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট শিলংয়ে গিয়েছিলেন উইংস অব ফায়ারের রচয়িতা আবদুল কালাম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন ড. কালাম। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালামের মৃত্যুতে ভারতে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়। এ বিজ্ঞানী ভারতের প্রতিরক্ষা ও মহাশূন্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জনের মূল নায়ক। ১৯৯৮ সালে ভারত পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের সময় তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।