কোনও উদ্যোগেই রোধ করা যাচ্ছে না প্রশ্নপত্র ফাঁস। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী থেকে শুরু করে বিসিএস- সকল স্তরেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। সম্প্রতি উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। কিন্তু অপরাধীদের তথ্য উদঘাটনে কূলকিনারা পাচ্ছেন না তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
দৈনিক আমাদের সময় এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রশ্নপত্র ফাঁসে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হলেও তদন্ত কমিটিতে নেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। ফলে শিক্ষা বোর্ড অফিস ও বিজি প্রেস পরিদর্শনেই সমাপ্তি ঘটছে তদন্তকাজের। অনুমাননির্ভর প্রতিবেদন তৈরি করা ছাড়া গতি থাকছে না তদন্ত কর্মকর্তাদের।
সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। সেই প্রশ্নপত্র দিয়েই নেওয়া হয় পরীক্ষা। তবে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলেছেন, তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাননি। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ইংরেজি ২য় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গঠন করে তদন্ত কমিটি।
কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। কোনও ক্লু পাচ্ছেন না- কে কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। কমিটির একাধিক সদস্যরা বলছেন- মোবাইল ফোন ও ফেসবুকসহ নানা পদ্ধতিতে একটি চক্র ফাঁস করেছে প্রশ্ন। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর কোনও অনুসন্ধান করতে পারছেন না তারা।
এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসকে গুজব বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। গত ২৪ এপ্রিল এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এমন গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানান।
সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়