রোববার বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনের সামনে বটতলায় ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইপেব) এর আয়োজনে জাতীয় মেধাসম্পদ দিবস-২০১৪ উপলক্ষে ‘নকল রুখবো দেশ গড়ব’ ব্যানারে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির স্থানে ছিলেন এসময়ের হার্টথ্রব এম এ জলিল অনন্ত।
দেশীয় চলচ্চিত্রে পাইরেসি বন্ধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে জলিল বলেছেন, “চলচ্চিত্রের পাইরেসি বন্ধ না হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে না। হুমকির মুখে পড়বে চলচ্চিত্র নির্মাতারা। চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করে দেবেন তারা। ফলে এক সময় মানসম্মত চলচ্চিত্র আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাবে।”
পাইরেসির সঙ্গে জড়িতদের হুমকি দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল বলেছেন, “তোরা ভালো হওয়ায় ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ মুভি করেছিলাম। কিন্তু তোরা ভালো হলি না। ভাবতে বড় কষ্ট লাগে।”
তিনি আরও বলেন, ‘তোদের মতো দেশদ্রোহীকে আমি ভালো হওয়ার জন্য মোস্ট ওয়েলকাম জানিয়েছিলাম, তোরা ভালো হসনি। তাই আর মোস্ট ওয়েলকাম নয়, এবার গুড বাই।’
অনন্ত জলিল বলেন, “আমাদের যে মেধা আছে সেটিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। সরকার চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এটিকে সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে মেধার সংরক্ষণ হতে পারে। তাই আমাদের প্রত্যেককে মেধার সঠিক ব্যবহার করতে হবে।”
আইপেব-এর সভাপতি মুরাদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়িকা বর্ষা, আইপেব-এর সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দেশীয় চলচ্চিত্রকে পাইরেসির হাত থেকে রক্ষার জন্য অনন্ত জলিলের নেতৃত্বে একটি ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র তৈরি করা হচ্ছে যা প্রধানমন্ত্রী মোড়ক উন্মোচন করবেন বলে জানান জলিল। এ ছাড়া ওই অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আক্ষেপ করে অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি যখন বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসি, তখন টার্গেট ছিল বাংলাদেশের ইয়াং ও এডুকেটেড জেনারেশন হলে যাবে। কিন্তু হলে যখন মুভি চলে তখন তা পাইরেসি হয়ে যায়। মুভি যদি পাইরেসি হয়ে যায় তাহলে আজকের এই অনন্ত জলিল কালকে থাকবে না।’